মধ্যপ্রদেশের পর এবার আয়কর দফতরের নজরে দিল্লি। দিল্লিতে ২৩০ কোটি বেনামি লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ভোটের এক দিন আগে আরও বিব্রত কংগ্রেস। কমলনাথের পর অস্বস্তি বাড়ল আহমেদ প্যাটেলের। ভোপালে কালো টাকা কাণ্ডে নাম জড়াল কংগ্রেস নেতা ঘনিষ্ঠদের। হাওয়ালার মাধ্যমে ২০ কোটি টাকার লেনদেন। আয়কর দফতরের নজর তুঘলক রোডের পার্টি অফিসে।
আরও পড়ুনঃ অনুপ্রবেশকে সহ্য করা হবে না, ভোট ইস্তেহারে বলছে বিজেপি
বিপুল পরিমাণ অর্থের একটি অংশ, প্রায় ২০ কোটি টাকা দিল্লিতে একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে পাঠানো হচ্ছিল, জানিয়েছে আয়কর দফতর। যা হাওয়ালার মাধ্যমে নয়াদিল্লির তুঘলক রোডের এক সিনিয়র নেতার বাড়ি থেকে রাজনৈতিকদলের সদর দফতরে পাঠানো হচ্ছিল। জানানো হয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডায়রেক্ট ট্যাক্সেস-এর পক্ষ থেকে। যদিও রাজনৈতিক দল এবং তাদের সিনিয়র নেতা সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুনঃ মিগ ২১-র হামলায় পাক যুদ্ধবিমান এফ ১৬ ভেঙে পড়ার ব়্যাডার ইমেজ প্রকাশ বায়ুসেনার
কি বলছে আয়কর দফতর, দেখুনঃ
এই নগদের একটা অংশ কংগ্রেসের দিল্লি সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০ কোটি টাকা, যা হাওয়ালা চ্যানেলের মাধ্যমে দিল্লির তুঘলক রোডে কংগ্রেসের প্রবীণ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। আয়কর দফতরের নজরে এবার তুঘলক রোডের পার্টি অফিস।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি প্রার্থী বালি ও বৌ নিয়ে পড়েছিলেন, বাঁকুড়ায় ‘অশালিন’ অভিষেক
গত দুদিন ধরে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে আয়কর দপ্তর একটি ‘সুবিস্তৃত’ ও ‘সুসংগঠিত’ চক্রের সন্ধান পেয়েছে। ওই চক্রের সঙ্গে নগদ ২৮১ কোটি টাকা জড়িয়ে রয়েছে যার কোনও হিসাব মেলেনি। আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই খবর দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে ২৮১ কোটির টাকা চোরাচালানের হদিশ পেয়েছে আয়কর দপ্তর।
আরও পড়ুনঃ কেন গ্রেফতার করা হবে না, রাজীব কুমারকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের
আয়করের দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ টাকার একটা অংশ একটি বড় রাজনৈতিক দলের দিল্লির কার্যালয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ২০ কোটি টাকা দিল্লির তুঘলক রোডের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাড়ি থেকে হাওলার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু নগদ নয়, সাড়ে ১৪ কোটি টাকা মূল্যের বাঘের চামড়া, ২৫২ বোতল মদ এবং কিছু অস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট বন্ধ করে দেবার হুমকি লকেটের
আয়কর দপ্তরের বিবৃতি অনুসারে দুদিনের হানায় যা যা আটক করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বাঘের চামড়া, হিসাব–বহির্ভূত নগদ ১৪.৬০ কোটি টাকা, ২৫২ বোতল মদ এবং কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। তার সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে হাতে লেখা ডায়েরিতে অর্থ সংগ্রহ এবং অর্থ দেওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, কম্পিউটার ফাইল এবং কিছু এক্সেল শিট।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারে কাশ্মীরের ৩৭০ এবং ৩৫ এ নং ধারা বিলোপের প্রতিশ্রুতি
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিব প্রবীণ কাক্কার এবং প্রাক্তন পরামর্শদাতার বাড়িতে তল্লাশি চলে। ইন্দোর এবং দিল্লিতে দু’জনের বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। ওই ঘটনার কিছু দিন আগে কর্নাটকে জেডিএস–কংগ্রেস সরকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় দপ্তর। দুটি ঘটনাতেই শাসককে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকার ভয় দেখাতে চাইছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় ভোটে ভোটকর্মীদের কিছু হলে সম্পূর্ণ দায়ি থাকবেন সেই জেলার জেলাশাসক
এরপরেই আয়কর দফতরের নজর পড়ে দিল্লিতে। দিল্লিতে ২৩০ কোটি বেনামি লেনদেনের হদিশ মিলেছে। আয়কর দফতরের নজর তুঘলক রোডের পার্টি অফিসে। ভোটের বাজারে কংগ্রেসকে বদনাম করতে বিজেপি চক্রান্ত করছে, অভিযোগ কংগ্রেসের। আইন আইনের কাজ করছে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুনঃ ঘোড়া গাধা খচ্চর বিতর্কের পর গরুর গাড়িতে প্রচার, বিরোধী মতে মরার গাড়িতে তৃণমূল
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।