নিউ দিল্লি: মোদীর হাত ধরে ২৩ ধাপ এগোল ভারত। ১০০ তম স্থান থেকে একেবারে ৭৭ তম স্থানে। সহজে ব্যবসার পরিবেশ তৈরির নিরিখে (ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস) বিশ্ব ব্যাংকের তালিকায় ২৩ ধাপ উঠে এল ভারত। রিপোর্টে প্রকাশ, ১৯০টি দেশের মধ্যে ৭৭ তম স্থানে রয়েছে ভারত। একাধিক ইস্যুতে লোকসভা ভোটের আগে সমস্যায় পড়া মোদী সরকারের কাছে বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্ট যথেষ্ট স্বস্তির কারণ।
বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ গঠনে বছরের সেরা ১০ দেশের তালিকায় ভারতের নাম উল্লেখ করেছে বিশ্ব ব্যাংক। এই নিয়ে পর পর দু’বছর এই তালিকায় জায়গা ধরে রাখল মোদী সরকার। BRICS সদস্যদের মধ্যে একমাত্র দেশ হিসেবে তালিকায় রয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: মোদীর ভারতে সর্দার প্যাটেলের রেকর্ড ভাঙবে ছত্রপতি শিবাজীর মূর্তি
গত দু’বছরে এই তালিকায় মোট ৫৩ ধাপ উপরে উঠেছে ভারত। এমন পারফরমেন্স প্রতিবেশী দেশ ভুটান ছাড়া বিশ্বের আর কোনও দেশের নেই। ব্যবসার পরিবেশ তৈরির ১০ টি সূচকের মধ্যে ৮ টি তেই যথেষ্ট ভালো করেছে ভারত, জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
বিশেষ উল্লেখযোগ্য জমি বরাদ্দ ও নির্মাণের অনুমতিতে। বিশ্বের ১৯০ টি দেশের মধ্যে ৫২ তম স্থানে রয়েছে ভারত। এই ক্ষেত্রে ১২৯ ধাপ উপরে উঠে মোদীর ভারত। এছাড়াও সীমান্ত-বাণিজ্য, ঋণ প্রদান-সহ ৬টি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রসঙ্গত, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সেরা অর্থনীতি’ হিসেবে ‘ইজ ইফ ডুয়িং বিজনেস ২০১৯’ রিপোর্টে ভারতের নাম উল্লেখ করেছে বিশ্ব ব্যাংক।
বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্টে, নতুন ব্যবসা শুরু করা ও তা বজায় রাখার ১০ টি মাপের মধ্যে ৬ টি মাপে বেশ এগিয়েছে ভারত। এই রিপোর্টে নিউজিল্যান্ড প্রথম স্থান ধরে রেখেছে। আর সোমালিয়া হল কোন ব্যবসা শুরু করার পক্ষে সবচেয়ে বাজে দেশ। ভারতের মত উন্নতি করেছে চীনও।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ, লড়াই পিছিয়ে গেল
যদিও বিশ্ব ব্যাংকের মতে নতুন ব্যবসা শুরু ও কর গ্রহণে এখনও অনেক পিছিয়ে ভারত। সাংবাদিক বৈঠকে বুধবার একথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর মতে, ‘এই ক্ষেত্রগুলিতে আমরা এখনও পিছিয়ে।’ নতুন ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে ১৩৭ স্থানে রয়েছে ভারত। যেটাও গত বছরের থেকে ১৯ ধাপ উপরে।
এই রিপোর্টে ব্যবসা শুরু করা, অনুমতি পাওয়া, বিদ্যুৎ পাওয়া, লোন পাওয়া, ট্যাক্স দেওয়া ও ছাড় পাওয়া, সীমান্ত দিয়ে ব্যবসা করা, এই সব কিছুই বিবেচনা করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্টে (ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস) আপাতত বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে পারবে জেটলির অর্থ দফতর।
আরও পড়ুন: মেয়াদ বৃদ্ধি রাজ্য পে কমিশনের হতাশ রাজ্য সরকারি কর্মীরা
নোটবন্দী ও জিএসটি চালু হবার পর যে সমালোচনার মুখে পড়েছিল মোদী সরকার, বিশ্ব ব্যাংক এই রিপোর্টে তা থেকে রেহাই দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের আগে বিশ্ব ব্যাংকের এই রিপোর্ট যথেষ্ট স্বস্তিতে রাখবে মোদী- জেটলির বিজেপি সরকারকে।