The News বাংলা, কলকাতাঃ বাংলার মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। আরও একটি সম্মান রাজ্যের ঝুলিতে। দেশের সেরা পুলিশ ও গোয়েন্দাদের টপকে সেরার সেরা লালবাজার ও ব্যারাকপুর-এর দুই অফিসার।
ডাটা সিকিউরিটি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (DSCI -NASSCOM) এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ডে এবার বাংলার জয়জয়কার। সাইবার নিয়ে কাজ করা তদন্তকারীদের কাছে এই সম্মান দেশের সেরা। NIA, CBI অফিসারদের টপকে দেশের সেরা তদন্তকারী লালবাজারে, দুইয়ে ব্যারাকপুর। দেশের সবকটি রাজ্যের পুলিশ, CBI, NIAর মতো সংস্থা পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে নাম লেখায় প্রতিযোগিতায়। সবাইকে হারিয়ে পুরস্কার বাংলার দুই অফিসারের হাতে।
দিল্লিতে দেশের সেরা তদন্তকারীর সম্মান ছিনিয়ে নিয়েছেন লালবাজারের সাইবার থানার তদন্তকারী অফিসার অক্ষয় সাহা। এই বিভাগে দ্বিতীয় সেরা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অনুপম চক্রবর্তী। শুধু তাই নয় ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বিভাগে দেশের দ্বিতীয় সেরা থানার সম্মান পেয়েছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম থানা। জোড়া সম্মান ছিনিয়ে আনায় কলকাতা পুলিশের আধিকারিকদের মুখে চওড়া হাসি।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টে জিতে মোদীর ‘রথ যাত্রা’ আটকালেন মমতা
গত বছর মে মাসের ঘটনা। কলকাতার একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালের ওয়েবসাইটে দেখা যায় একটি পোস্ট। ওই হাসপাতালের রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের কিডনি ইনস্টিটিউট নাকি চাইছে কিডনি। বলা হয় ইচ্ছুক কিডনি দাতারা যেন যোগাযোগ করেন। ওই পোস্টের সঙ্গে দেওয়া হয় একটি ফোন নম্বর। ঘটনায় হইচই পড়ে যায় কলকাতার চিকিৎসক মহলে।
কারণ, কিডনি এইভাবে কোনও হাসপাতাল নিতে পারে না। ঘটনা সেখানেই থেমে থাকেনি। এক ব্যক্তি ওই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন। উল্টোদিকের ব্যক্তি ইংরেজিতে জানান, হাসপাতালের হয়ে কিডনি কিনতে তিনি ইচ্ছুক। বলা হয় এক একটি কিডনির জন্য দেওয়া হবে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার মার্কিন ডলার!
আরও পড়ুন: মোদী সরকারের গড়িমসিতে ‘সার্কিট বেঞ্চ’ চালু হচ্ছে না অভিযোগ মন্ত্রীর
পরে দেখা যায় হায়দরাবাদ, দিল্লি, মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি হাসপাতালের নামে এই পোস্ট রয়েছে। ওই ফোন নাম্বারে যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁকে বলা হয় প্রথমে ৮৫০০ টাকা দিয়ে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। এ বিষয়ে প্রায় সবকটি হাসপাতালই জানিয়ে দেয় ওই ওয়েবসাইট জাল। কলকাতায় ওই নামি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের করে সাইবার ক্রাইম থানায়।
আরও পড়ুন: রথ যাত্রার আগেই দিলীপ ঘোষের গাড়িতে তৃণমূলের হামলা
ঘটনার তদন্তে নামেন লালবাজারের সাইবার ক্রাইমের তদন্তকারী অফিসার অক্ষয় সাহা। দক্ষ হাতে তদন্ত চালিয়ে পর্দাফাঁস করেন ওই চক্রের। জানা যায়, ডেভিড ওজোমা উরা নামে এক নাইজেরীয় ব্যাঙ্গালুরুতে বসে চালাচ্ছে প্রতারণা চক্র। রীতিমতো ঘাম ঝরিয়ে, বুদ্ধির জেরে প্রতারককে গ্রেপ্তার করেন অক্ষয়। সেই তদন্তই অক্ষয়কে এনে দিল গোটা দেশের মধ্যে সেরার সম্মান। এই বিভাগে দ্বিতীয় সেরা ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অনুপম চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ‘অনুগ্রহ করে সব টাকা নিন’ বিজয় মালিয়ার টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত
লালবাজার সূত্রের খবর, এর আগে এই সম্মান আর একবারই পেয়েছিলেন সাইবার ক্রাইম থানার এক তদন্তকারী অফিসার। ২০১৪ সালে প্রেমজিত চৌধুরী পান সেরার সম্মান। ২০১৬ সালেও সাইবার ক্রাইম থানা পেয়েছিল এক্সেলেন্স সম্মান। সব মিলিয়ে চওড়া হাসি রাজ্যের পুলিশ কর্তাদের মুখে।