বাবা মার সম্পর্কের টানাপোড়েন, পৃথিবী ছাড়ল জি ডি বিড়লা স্কুলের মেধাবী ছাত্রী

10111
বাবা মা এর সম্পর্কের টানাপোড়েনেই কি পৃথিবী ছাড়ল জি ডি বিড়লা স্কু্লের ছাত্রী/The News বাংলা
বাবা মা এর সম্পর্কের টানাপোড়েনেই কি পৃথিবী ছাড়ল জি ডি বিড়লা স্কু্লের ছাত্রী/The News বাংলা

জি ডি বিড়লা স্কুলে ছাত্রীর রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে; তৈরী হয়েছে এক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। অনেক প্রশ্ন উঠছে; ছাত্রীর এই রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে। বাবা মার সম্পর্কের টানাপোড়েনই; কি মেয়ের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াল? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ; ছাত্রীর বাবা মাকেও জেরা করবে; এই মৃত্যুর কারণ জানতে।

আত্মহত্যা করার আগে; ছাত্রী একটি সুইসাইড নোট লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল, “দিন দিন মা-বাবার থেকে দূরত্ব বেড়ে যাওয়াই তাঁর মৃত্যুর কারণ। তার মৃত্যুর জন্য কাউকে যেন বিব্রত করা না হয়”। কেন বাবা-মা এর থেকে দুরত্ব? কি ঘটেছিল বাবা মা এর মধ্যে? উঠছে নানান প্রশ্ন।

ছাত্রীর নাম কৃত্তিকা পাল; দশম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার দুপুরে সে সিক্সথ ক্লাসের মনিটরকে বলে, “আমার শরীর খারাপ লাগছে; আমি সিক রুমে যেতে চাই”। এই বলে সে ক্লাসের বাইরে বেড়িয়ে আসে। তবে কৃত্তিকা সিক রুমেও যায়নি; সে গেছিল টয়লেটে।

পরের ক্লাসে এসে ম্যাডাম কৃত্তিকাকে দেখতে পাননি। সন্ধান শুরু করতে; টয়লেট থেকে দরজা ভেঙে; বের করা হয় রক্তাক্ত ওই ছাত্রীকে। হাতের শিরা কাটা অবস্থায়; অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। মুখে প্লাস্টিক জড়ানো ছিল। উদ্ধার হয় ৩ পাতার একটি সুইসাইড নোটও। তাতে পারিবারিক অশান্তির কথা আছে; পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর।

ওই ছাত্রীর হাতের শিরা কাটা ছিল। তার মুখ থেকে সাদা গ্যাঁজলা উঠছিল; বলেও জানিয়েছে পুলিশ। শিরা কাটা অথচ মুখে প্লাস্টিকের প্যাকেট জড়ান কেন? আর এই দুটোই ভাবাচ্ছে পুলিশকে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা; খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সিসিটিভি মনিটর করার লোক থাকলে, শুক্রবার স্কুলে কৃত্তিকার গতিবিধি নজর করা যেত; বলেই মনে করছে পুলিশ। এদিকে কৃত্তিকার কাছে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে; পারিবারিক বিবাদের কথা উল্লেখ থাকায় ধন্দে তদন্তকারীরা। তার বাবা, মা এবং পরিবারের সদস্যদের; জিজ্ঞাসাবাদের কথাও ভাবা হচ্ছে।

আগে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ঘটনায়; রানিকুঠির জিডি বিড়লা স্কুল খবরের শিরোনামে এসেছে। কখনও ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা; কখনও স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে স্কুল। অভিভাবকদের চাপে পড়ে স্কুল চত্বরের ভিতরে; অপ্রীতিকর ঘটনা নজরে আনতে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও যে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি; শুক্রবারের ঘটনাই তার প্রমাণ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন