স্কুল ছাত্রদের হাতে তৈরি স্যাটেলাইট এবার পাড়ি দিল মহাকাশে। স্যাটেলাইটটির নাম রাখা হয়েছে বিজ্ঞানী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামের নামে। সেই সঙ্গে ভারতীয় সেনার একটি স্যাটেলাইটও মহাকাশে নিয়ে গিয়ে নজির গড়ল ইসরো।
ভারতীয় গবেষণা সংস্থার জন্য এই বছরের প্রথম সাফল্য এল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। পিএসএলভি সি-৪৪ মহাকাশযানের মাধ্যমে মহাকাশ কক্ষে পৌঁছল ছাত্রদের হাতে তৈরি ১.২৬ কেজি ওজনের স্যাটেলাইট ‘কালামস্যাট’। এটি ভারত থেকে পাঠান সবচেয়ে ছোট ও হালকা কৃত্রিম উপগ্রহ। পাশাপাশি ৭৪০ কেজির মিলিটারি স্যাটেলাইট ‘মাইক্রোস্যাট-আর’ কেও মহাকাশে পাঠাল ইসরো।
বৃহস্পতিবার রাত ১১.৩৭ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান সেন্টার থেকে এই কৃত্রিম উপগ্রহ দুটি উত্ক্ষেপণ করা হয়। সফল অভিযানের জন্য দলকে এবং কালামস্যাট বানানো ছাত্রদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন। টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও।
আরও পড়ুনঃ
চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার উপযুক্ত স্পেসএক্স স্টারশিপ এর ছবি প্রকাশ
গুগলের ইউটিউবকে টেক্কা দিচ্ছে ফেসবুক ওয়াচ
কালামস্যাট কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করেছেন চেন্নাইয়ের বেসরকারি সংস্থা স্পেস কিডজ-এর ছাত্রছাত্রীরা।। ৪৬তম অভিযানে এই দুই স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে বসিয়েছে ৪৪.৪ মিটার লম্বা পিএসএলভি।
বেসরকারি সংস্থা ‘স্পেস কিডজ’-এর ছাত্ররা অনেক পরিশ্রম করে বানিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে হালকা সেই উপগ্রহ। তাই সেই উপগ্রহকে কক্ষপথে পাঠানোর জন্য একটি টাকাও নেয় নি ইসরো। দেড় কিলোগ্রামেরও কম ওজনের সেই উপগ্রহটির নাম রাখা হয়েছে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের নামে। “কালামস্যাট”।
পিএসএলভি রকেট একই সঙ্গে কক্ষপথে পৌঁছে দিল সেনাবাহিনীর গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় আরও একটি উপগ্রহকে। যার নাম- “মাইক্রোস্যাট-আর”। ওজন ৭৪০ কিলোগ্রাম।
আরও পড়ুনঃ
রহস্যভেদ করতে সূর্যের সবচেয়ে কাছে ‘পার্কার সোলার প্রোব’
বিশ্বে আলোড়ন ফেলে চুমু খেতে রাজি সোফিয়া
এই নিয়ে ৪৪.৪ মিটার লম্বা এবং ২৬০ টন ওজনের পিএসএলভির উৎক্ষেপণ হল ৪৬ বার। এই পিএসএলভির ভিতরেই মঙ্গলের কক্ষপথে পাঠানো হয়েছিল ‘মঙ্গলযান’কে। ‘চন্দ্রযান-১’কেও চাঁদের কক্ষে পাঠিয়েছিল ইসরোর এই পিএসএলভি রকেটই। গত নভেম্বরে এই পিএসএলভির ভিতরে ঢুকেই কক্ষপথে পৌঁছেছিল ভূপর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপগ্রহ ‘হাইসিস’।
“মাইক্রোস্যাট-আর” এবং “কালামস্যাট” ভারতীয় মহাকাশ গবেষনা সংস্থার উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (পিএসএলভি) সি-৪৪ বৃহস্পতিবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এতে ভারতের মিলিটারী উপগ্রহ ‘মাইক্রোস্যাট-আর’ এবং ছাত্রদের ফেমটো উপগ্রহ ‘কালামস্যাট’ বহন করে নিয়ে যাওয়া হল।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ওয়ার্কহর্স পোলার রকেট ২৮ ঘন্টা ফিরতি গণনার শেষে রাত ১১টা ৩৭ মিনিটে প্রথম উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এটি ২০১৯এ ইসরোর প্রথম মিশন। ৪৬তম উড়ানে পোলার উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (পিএসএলভি-সি৪৪) দুটি উপগ্রহকেই উৎক্ষেপণের ১৪মিনিটের মাথায় সূর্য সমলয় কক্ষে স্থাপন করেছে বলে ইসরো জানিয়েছে।
কালামস্যাট একটি ফেমটো উপগ্রহ। ১০০গ্রামের কম ওজন বিশিষ্ট কৃত্রিম উপগ্রহকে ফেমটো উপগ্রহ বলা হয়। ভূপৃষ্টের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি বড় মাদার উপগ্রহের দরকার হয় ফেমটো উপগ্রহের ক্ষেত্রে। ২০১১র মে মাসে চূড়ান্তে মিশনে মহাকাশ যান এন্ডেভারে তিনটি নমুনা চিপ উপগ্রহকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেগুলিকে আইএসএস বাহ্যিক প্লাটফর্মের ম্যাটেরিয়াল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের পরিক্ষা নিরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুনঃ
কলেজে অধ্যাপক পিটিয়ে এগিয়ে বাংলার মুখে ফের চুনকালি দিল তৃণমূল
পিটিটিআই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের
স্পেস কিডজ-এর সিইও শ্রীমতী কেসন জানিয়েছেন, “৬ বছর ধরে এটা নিয়ে কাজ করছিলাম আমরা। তরুণ বিজ্ঞানীদের অনেকেই জড়িত রয়েছে প্রকল্পটির সঙ্গে। সবচেয়ে কনিষ্ঠ সদস্য এখন পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছে”।
কালামস্যাট নামকরণ করা হয় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. এপিজে আব্দুল কালামের নামে। নেতৃত্ব দেন রিফাথ শারুক নামের ১৮ বছর বয়সের একটি ছেলে। তার বাড়ী তামিলনাডুর পাল্লাপাট্টি শহরে। এর ফলে গোটা ভারতের পড়ুয়া মহলে উত্তেজনা ও আগ্রহের সৃষ্টি হবে বলেই মনে করছে গবেষকরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
নেতাদের পর সিনেমার প্রয়োজক, চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার শ্রীকান্ত মোহতা
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মা দুর্গার সাক্ষাৎ অবতার, পোস্টার কংগ্রেসের
ভরা ক্লাসে উষ্ণ চুম্বন, ছাত্র ছাত্রীদের কীর্তি দেখে সবাই তাজ্জব
জন্মদিনে নেতাজি সুভাষের মৃত্যুদিন নিয়ে ছেলেখেলা রাহুলের কংগ্রেসের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।