লজ্জায় ডুবল বাংলা, আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী

331
লজ্জায় ডুবল বাংলা, আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী
লজ্জায় ডুবল বাংলা, আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী

লজ্জায় ডুবল বাংলা, আদালতের নির্দেশে; স্কুল সার্ভিস কমিশন দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যুগান্তকারী নির্দেশ, রাতেও আদালতে শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গতকালই রাত সাড়ে বারোটার পর থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন(SSC) দফতরের দখল নেওয়ার নির্দেশ CRPF কে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাল দুপুর ১টা পর্যন্ত কেউ SSC দফতরে ঢুকতে পারবেন না। যাতে কোন তথ্য, নথি নষ্ট না হয়; তার জন্যেও কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দিলেন জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় এর সিঙ্গেল বেঞ্চ। সারাদিনের পর রাতেও নজিরবিহীন নির্দেশ বিচারপতির।

রাতারাতি পরিবর্তন হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর সিবিআই-তে হাজিরার দিনেই, আচমকা ইস্তফা দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। মাত্র চারমাস হল, তাঁকে এই পদে আনা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে এসএসসির চেয়ারম্যানের; পদত্যাগের কারণ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এই পদত্যাগের পরেই আইএএস শুভ্র চক্রবর্তীকে; এসএসসির নতুন চেয়ারম্যান করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, দুর্নীতির জালে জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন

আর এরপরেই এসএসসি মামলায় নাটকীয় মোড়; মাঝরাতেই খোলে কলকাতা হাইকোর্ট। চাকরি দুর্নীতির নিয়োগ নথি নষ্টের আশঙ্কায়; হাইকোর্টে মামলা করেন মামলাকারী চাকরিপ্রার্থী-দের আইনজীবীরা। অবিলম্বে সিআরপিএফ বসিয়ে; চাকরির সমস্ত নথি সংরক্ষণের দাবি তোলে মামলাকারিরা। মামলাকারী-দের দাবি ছিল; অবিলম্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে কেন্দ্রীয়-বাহিনী মোতায়েন করা হোক; না হলে সব নথি উধাও হয়ে যাবে। যে মামলার আর্জি গৃহীতও হয়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রাতেই শুরু হয় শুনানি; কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন-ভাবে রাতেই খোলে কোর্ট। জরুরি ভিত্তিতে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ; শুরু হয়েছে শুনানি। নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা; আর সেই নির্দেশই দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। SSC অফিস সেই মুহূর্ত থেকেই; কেন্দ্রীয় বাহিনীর হেফাজতে।

গতকাল রাত থেকেই এসএসসি দফতরকে; সিআরপিএফ নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলার নির্দেশ দেন। দফতরের সিসিটিভি ফুটেজও; আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে, এই ঘটনা নজিরবিহীন বলেই দাবি সবার। হাইকোর্টের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার দুপুর একটা পর্যন্ত; কোনও আধিকারিক বা কর্মী, কমিশনের অফিসে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্দেশের পর বিচারপতির চেম্বার থেকেই; সিআরপিএফের অফিসে ফোন করা হয়।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন