শিলং থেকে কলকাতায় পা দিয়েই ফের বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। অভিযোগ চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন সিবিআই কেও। এবার সিবিআই তদন্তের মাঝেই রাজীবের বিরুদ্ধে সারদা মামলায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আনলেন কুণাল। আর এর জেরে সারদা চিটফান্ড মামলায় রাজীব কুমারকে ভয়ঙ্কর বিপদে ফেললেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ বিধায়ক খুনে রাম নেতাকে বাঁচাতে আসরে বাম নেতা
“শিলং-এ কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমারের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছি”, মঙ্গলবার শিলং থেকে ফিরেই কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন কুণাল ঘোষ। এদিন রাজীবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা সাংবাদিক কুণাল ঘোষ। সিবিআই তদন্তের মাঝেই রাজীবের বিরুদ্ধে সারদা মামলায় প্রভাব খাটানোর ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন কুণাল।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা শুরুর আগেই হোয়াটস অ্যাপে ফাঁস মাধ্যমিক প্ৰশ্নপত্র
কুণাল বলেন, “আমি আজ সকালে সিবিআই-কে লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রথম ১০ ফেব্রুয়ারি(রবিবার) এবং তারপর ১১ ফেব্রুয়ারি(সোমবার) আমাদের দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের সময় কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম এসে গিয়েছিল। কিন্তু, তাঁরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, তাই সে বিষয়ে মন্তব্য করব না। তবে সেদিন রাতে সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে রাজীব কুমার সেই অফিসারদের কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন”।
আরও পড়ুনঃ ফের লজ্জার অন্ধকারে সিবিআই, চরম অপমানের শাস্তি সিবিআই প্রধানকে
এই বিষয়টিই কুণাল সিবিআই-কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলেই দাবি। রাজীব এমন ফোন করে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন, তাঁর এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ মমতার ধর্ণায় বসা পুলিশ অফিসারদের কড়া শাস্তি দিতে চলেছে মোদী সরকার
কুণাল ঘোষ আরও জানিয়েছেন, “১০ তারিখে এই নামগুলো (জিজ্ঞাসাবাদের সময় উঠে আসা পুলিশ অফিসারদের নাম) আলোচিত হয়। উনি (রাজীব) ১১ তারিখ বলেও ফেলেন, আমি এঁদের রাতে ফোন করেছি”। এরপরই কুণাল বলেন, “রাজীব কুমার যা বলেছে তা ভিডিও রেকর্ডিং করা রয়েছে। ফলে, এর জন্য কল লিষ্ট দেখার দরকার নেই”।
আরও পড়ুনঃ মমতার বাংলায় ১ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুকেশ আম্বানি
টানা চার দিন ধরে জেরা চলেছে। তার পরেও ছুটি মিলছে না কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজীব কুমারকে সিবিআই জেরা করছে মেঘালয়ের শিলংয়ে সিবিআই অফিসে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে জেরা। এর পরে ১০ ফেব্রুয়ারি সিবিআই তলব পেয়ে শিলং যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। রাজীবের মুখোমুখি বসানো হয় কুণালকে। ঘণ্টার পরে ঘণ্টা চলেছে জেরা। অবশেষে ছাড়া পেয়েছেন কুণাল। কলকাতায় ফিরেছেন মঙ্গলবার। কিন্তু রাজীব কুমারের ফেরা হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এর বড় ঘোষণা, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি
মঙ্গলবার সকালে ফের শিলংয়ের সিবিআই দফতরে ডাকা হয় রাজীব কুমারকে। এই নিয়ে টানা চতুর্থ দিন তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হল কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে কুণাল ও রাজীবের বয়ান একদম না মেলায় দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে রাজীব কুমারকে। মঙ্গলবার সকাল দশটায় ফের জেরার জন্য হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাজীব কুমারকে। একই সঙ্গে কুণাল ঘোষকে কলকাতায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ রাহুলকে সরিয়ে লোকসভা ভোটে মোদী বিরোধী মুখ প্রিয়াঙ্কাই
একই সঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমায় মাননীয় পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের মুখোমুখি বসানো হয়েছে। আমার যা অভিযোগ এবং বক্তব্য, তা তাঁকে শুনতে হয়েছে। এখানেই আমার নৈতিক জয় হয়েছে বলে আমি মনে করছি”। কুণাল ব্যঙ্গ করে আরও বলেন, “আমাকে রাজীব কুমার হেনস্থা করেছেন কিন্তু রাজীব কুমারের এই অবস্থা দেখে আমার বেশ খারাপই লাগছে”। সব মিলিয়ে সিবিআই এর শিলং জেরায় পুলিশ কমিশনারকে হঠিয়ে সংবাদের শিরোনামে সাংবাদিক কুণাল ঘোষই।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।