ঠিক কোন অসুখে মারা গিয়েছিলেন শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব ? কলকাতা পুরসভা রামকৃষ্ণের ডেথ সার্টিফিকেট প্রকাশ করতেই জন্ম নিল নতুন বিতর্ক।
এতদিন সবাই জানত গলায় দুরারোগ্য ক্যানসারের কারণে প্রান ত্যাগ করেছিলেন শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস। কিন্তু কলকাতা পুরসভা যে ডেথ সার্টিফিকেট শনিবার বেলুড় মঠের হাতে তুলে দিলেন তাতে মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা আছে ‘গলায় আলসার’।
আরও পড়ুনঃ মুসলিম স্কুলে খাবার ঘর, বিতর্কের জেরে সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিলেন মমতা
সেই সময়; ব্রিটিশরা আইন করে সমস্ত শেষকৃত্যের তথ্য থানায় রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রাখতেন। দেহ শেষকৃত্য করতে শ্মশানে নিয়ে এলে; পুরসভায় নথিভুক্ত করা হত না।
১৮৮৬; ১৫ ই আগস্ট কাশীপুর উদ্যান বাটীতে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণপরমহংসদেব শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সেই সময় কারুর মৃত্যু হলে; লোকাল থানাতে ডেথ রেজিস্ট্রার করা হত। সেই মতো ঠাকুরের শবদাহের আগে কাশীপুর থানায় মৃত্যু খবর নথিভুক্ত করান অনুগামীরা।
আরও পড়ুনঃ মহিলা বক্সারকে হেনস্থা, ফেসবুক পোস্ট দেখেই এক ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত
ডেথ সার্টিফিকেট লেখা ঠাকুরের আসল নাম; গদাধর চট্টোপাধ্যায়। এবং তাঁর পেশার জায়গায় লেখা হয় ‘পুরোহিত’। যেহেতু মধ্যরাতে মৃত্যু হয়েছিল ঠাকুরের; তাই ইংরেজি নিয়মে ১৬ আগস্ট নথিভুক্ত হয় কাশীপুর থানায়।
বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করা হয় ঠাকুরের ডেথ সার্টিফিকেট মঠ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেবার জন্য। অনুরোধ মেনেই; কলকাতা পুরসভা কাশীপুর থানার পুরনো ফাইল থেকে ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্ৰহ করে সংরক্ষণ করে।
১৯০০ সালের আগে ভারতে ক্যানসার অসুখের কথা কেউই জানত না; তাই ১৮৮৬ সালে ঠাকুরের মৃত্যুর কারণ গলায় ক্যানসার না লিখে ‘আলসার’ লেখার পরামর্শ দিয়েছিলেন পরমংহসের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুনঃ বিজেপি ও বুদ্ধিজীবীদের পর এবার অশান্ত ভাটপাড়ায় তৃণমূল পরিষদীয় দল
যদিও এই ব্যাখ্যা অনেকেই মানতে নারাজ। তাঁদের পাল্টা দাবি; আলসারের যথেষ্ট চিকিৎসা না থাকায় ঠাকুরের অকালমৃত্যুর হয়েছে। এই বিতর্কের সঠিক উত্তর এখনও পাওয়া যাইনি।
শনিবার বেলুড়মঠ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় শ্রী শ্রী ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ডেথ সার্টিফিকেট। বেলুড় মঠের সংগ্ৰহশালাতে ভবিষ্যতে রাখা থাকবে ঠাকুরের ডেথ সার্টিফিকেট।