ফের আরও একবার সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। শীর্ষ আদালতের রায়ে ১৩ বছরের পিটিটিআই সমস্যার জট কাটল। ৮০০ জনকে আবেদনকারীকে দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে। মামলাকারীদের ১২ সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জয় কলের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের পর সিনেমার প্রয়োজক, চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার শ্রীকান্ত মোহতা
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায়, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে জয় পেলেন পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের একাংশ। তাদের ৩ মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করে চাকরি দিতে হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি সঞ্জয় কাউল এবং বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মা দুর্গার সাক্ষাৎ অবতার, পোস্টার কংগ্রেসের
তবে, কেবলমাত্র ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০-এর মধ্যে যেসব পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কেবল তাঁরাই চাকরি পাবেন বলেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবারের নির্দেশে।
আরও পড়ুনঃ ভরা ক্লাসে উষ্ণ চুম্বন, ছাত্র ছাত্রীদের কীর্তি দেখে সবাই তাজ্জব
পিটিটিআই পাশ করা সকলকে নিয়োগ, অন্যান্য রাজ্যের মতো প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ শিক্ষকদের সমতুল বেতন চালু করা এবং অন্যান্য দাবিতে আন্দোলন করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারি ট্রেন্ড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউবিপিটিটিএ)। এইদিকে বৃহস্পতিবার পিটিটিআই মামলায় বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জয় কলের ডিভিশন বেঞ্চ যুগান্তকারী রায় দিয়ে সব পিটিটিআই পাশ ছাত্রের পাশে দাঁড়াল বলাই যায়।
আরও পড়ুনঃ মোদীর বিরুদ্ধে ইন্দিরা তাস খেলতে রাহুলের কংগ্রেসে প্রিয়াঙ্কা
সুপ্রিমকোর্ট ২০০৪-০৫- এর পিটিটিআই শংসাপত্রকে বৈধতা দিয়েছে। ২০০৪-০৫ পিটিটিআই পাশ করা প্রার্থীদের ২০০৬-এ প্রশিক্ষণের জন্য ডাকে এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ। কিন্তু ২০০৯ এ নিয়োগের সময় পিটিটিআই শংসাপত্রকে মান্যতা দেয়নি জেলা কাউন্সিলগুলি। এরপরই মামলা দায়ের হয় আদালতে।
আরও পড়ুনঃ মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে দেশ পেতে পারে প্রথম মহিলা বাঙালি সিবিআই প্রধান
পিটিটিআই পাশ ছাত্র ছাত্রীদের একের পর এক পিটিশন জমা পরে উচ্চ আদালতে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় রাজ্যের পক্ষেই রায় দেয়। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষপর্যন্ত জয় পেলেন আবেদনকারী পিটিটিআই পাশ চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ পুড়ল রাজ্যের।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে নেতাজি সুভাষের মৃত্যুদিন নিয়ে ছেলেখেলা রাহুলের কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে। এর ভিত্তিতে ২০০৯ সালে পরীক্ষা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রাপ্য ২২ নম্বর দিতে চায়নি। কারণ হিসাবে রাজ্য সরকার জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী রাজ্যের পিটিটিআই প্রতিষ্ঠানগুলির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ফলে এই নম্বর দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুনঃ লোকাল ট্রেনকে এক্সপ্রেস ভাবলেন ষ্টেশন মাস্টার, তারপরেই হল বিপদ
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এবং পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। এদিন সেই মামলারই রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পর ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। এত চাকরি কোথা থেকে দেবে সরকার, সেটাই এখন প্রশ্ন।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
বাংলায় ক্ষোভ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে মোদী সরকার
ব্রিগেড থেকে ফিরেই ভোলবদল, মমতা নয় রাহুলকেই প্রধানমন্ত্রী চাইলেন নেতারা
রাজ্যের হাতে টাকা নেই বাজারে ধার, তারপরেও বিধায়কদের ভাতা বাড়ছে
পাহাড়ে মোর্চা বিজেপির সঙ্গেই, গোপন আস্তানা থেকে বার্তা বিমল গুরুংয়ের
পৃথিবী জুড়ে কমছে শিশু, চরম সমস্যায় বিশ্ব সমাজ
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।