পার্থ, পরেশ, অনুব্রতর পর অরূপ, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মমতার আরেক মন্ত্রী

220
পার্থ, পরেশ, অনুব্রতর পর, এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মমতার আরেক মন্ত্রী অরূপ
পার্থ, পরেশ, অনুব্রতর পর, এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মমতার আরেক মন্ত্রী অরূপ

পার্থ, পরেশ, অনুব্রতর পর অরূপ, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মমতার আরেক মন্ত্রী। পার্থ, পরেশ, অনুব্রত’র পর এবার অরূপ রায়! রাজ্যের সমবায় মন্ত্রীর ঘনিষ্ট এক ব্যক্তির বোনের, সমবায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে, মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ, শূন্য পদের থেকে দ্বিগুন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামায়, বিস্ফোরক অভিযোগ মামলাকারিদের। ওই হলফনামায় সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে, একাধিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তির নাম, অভিযোগ যাঁদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তাঁর মধ্যে মন্ত্রী-ঘনিষ্ট সত্য সামন্তের বোন চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি, প্রয়াত দেবব্রত দাসের ভাইপো, ব্যাংকের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র মাইতির ভাইপো, ব্যাংকের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সিইও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত প্রণয় কুমার চক্রবর্তীর ভাইপো, ব্যাংকের সচিব কৌশিক কুলভির ভাইপো, ব্যাংকের অন্যতম অধিকর্তা নিমাই অধিকারীর মেয়ে, ব্যাংকের অন্যতম অধিকর্তা তপন কুমার কুলিয়ার ছেলে, এরা সবাই দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূল আমলে বাংলার শিক্ষা, ‘চাকরি চুরি’ কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্যর বাড়িতে সিবিআই হানা

সমবায় ব্যাংকে ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলেও, মোট ১৩৪ জন নিযুক্ত হয়েছেন বলেই অভিযোগ। মামালাকারীদের আরও অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত-ভাবে নিয়োগের জন্য, দু-দফায় অনুমতি দিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ রায়। কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়াই, নিয়োগ করতে পারবে ব্যাংক, এই মর্মে দুবার অনুমোদন দিয়েছিলেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। মামলাকারিদের আরও দাবি, কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিশন ছাড়া, চাকরিতে নিয়োগ করা আইনবিরুদ্ধ কাজ।

মোট ২০৩৫ জন আবেদন করেছিলেন এবং ব্যাংকের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু ফি জমা দেওয়ার এই তালিকায়, ১০০টির বেশি নাম ফাঁকা রয়েছে বলে অভিযোগ। আবেদন না করেও, অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। এমনকি মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও, অনেকেই চাকরি পেয়েছেন বলে ওই হলফনামায় জানিয়েছেন মামলাকারিরা। ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে, সমবায় ব্যাংকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০২১ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই জনস্বার্থ মামলাতেই অতিরিক্ত হলফনামা দাখিল করে, নতুন এইসব অভিযোগ নাম দিয়ে জানানো হয়েছে।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন