যত দোষ নন্দ ঘোষ। প্রবাদটা এখন সার্থক বাংলার পুলিশ প্রশাসনে। কিছু হলেই থানার ওসিকে; শাস্তিমূলক বদলি করে দায় ঝাড়ার চেষ্টা। ঠিক তাই হল; এনআরএস ও জাদুকর মৃত্যু কাণ্ডে। দুই থানার তিন ওসিকে সরিয়ে; দায় সারল রাজ্য সরকার ও লালবাজার।
এনআরএস হাসপাতাল কাণ্ডে; এন্টালি থানার অ্যাডিশ্যনাল ওসিকে অপসারণ করল রাজ্য সরকার। এন্টালি থানার অ্যাডিশ্যনাল ওসি দিলীপ পালকে; শাস্তিমূলক বদলি হিসেবে এসবিতে পাঠানো হয়েছে। এনআরএস হাসপাতালের; পুলিশ ফাঁড়ির ওসিকেও বদলি করা হয়েছে; কর্তব্যে গাফিলতির জেরে।
লালবাজারের মতে; ঘটনার রাতে বাড়তি ফোর্স না চাওয়ায়; ঘটনা এত বড় আকার ধারণ করে। তাই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দুই ওসির বিরুদ্ধে। কেন তাঁরা বাড়তি ফোর্স চাইলেন না; তাহলে এতবড় ঘটনা এড়ানো যেত; বলেই মত লালবাজারের। প্রাথমিক তদন্তে সেই গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে; জানা গেছে লালবাজার সূত্রে।
আরও পড়ুন: থানার সামনেই হেনস্থা; নিষ্ক্রিয় পুলিসের উপরে ভরসা নেই মিস ইন্ডিয়ার
অন্যদিকে জাদুকর ডুবে যাবার জন্যেও; রিভার ট্রাফিক পুলিশের ওসি রাজীব সরকারকে সরানো হয়েছে। যেখানে জাদুকর নিজে অনুমতি নিয়েছিলেন; লালবাজার থেকেই। তাহলে রিভার ট্রাফিক পুলিশের ওসি রাজীব সরকারকে; সরানো হল কেন? ওসিকে শাস্তি দিয়ে; লালবাজার এর বড় কর্তারা কি দায় এড়ালেন? উঠছে প্রশ্ন।
অনুমতি দিয়েছিল লালবাজার। কিন্তু সময়ের আগেই জাদুকর গঙ্গায় নামেন। ক্রেন ব্যবহারের অনুমতি ছিলো না। তাও ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই দায় কি শুধু ওসি রাজীবের? জাদুকরের সব দিক খতিয়ে দেখেই কি; অনুমতি দিয়েছিলেন লালবাজারের বড় কর্তারা? প্রশ্ন পুলিশ মহলের।
আরও পড়ুন: ফোর্ট উইলিয়ামে নাবালিকা ধর্ষণ, রাজ্যে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
এন্টালি থানার নতুন এডিশনাল ওসি হলেন স্নেহশিস করণ। প্রশ্ন হল, এই বদলি করে লালবাজার বা সরকার নিজেদের দায় ঝাড়ল কি? কারণ বদলি করা তো সমাধান না। পুলিশ কমিশনার পদ থেকে রাজীব কুমার; সরে যেতেই কি বদলির রীতি শুরু হল?
রাজীব কুমার কলকাতার পুলিশ কমিশনার থাকাকালীন; যত বড় ঘটনাই হোক, অফিসারদের পদ থেকে সরিয়ে শাস্তি দেন নি। যে কোন ঘটনায় এইভাবে ওসিদের দায়ি করে; শাস্তি দিলে পুলিশে অফিসারদের মধ্যেই মনোবল আরও তলানিতে চলে যাবে; বলেই মনে করছেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও।