মুখ্যমন্ত্রী মমতার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে; আন্দোলন চালাবার সিদ্ধান্ত জুনিয়ার ডাক্তারদের। দুপুরে মমতার হুঁশিয়ারির পর; সন্ধ্যের দিকে জুনিয়ার ডাক্তাররা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন; তাঁদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি চলবে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে উড়িয়ে দিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে; আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি ঘিরে; উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় এসএসকেএম-এ। রোগীদের আত্মীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে; মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে। এরপরই বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ এসএসকেএমে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ মমতার হুশিয়ারির পরে, পুলিশের সামনেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের উপর ফের বহিরাগত হামলা
এসএসকেএমে গিয়ে মমতা; বেশ কিছু কড়া স্টেপ নেওয়ার কথা বলেন। কর্মবিরতি চলাকালিন কোন রোগী মৃত্যু হলে; তার তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দেন। কাজে যোগ না দিলে এসমা জারি করে; কড়া পদক্ষেপ জারি কড়া হবে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভও হয় এসএসকেএম হাসপাতালে; পাল্টা হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেন মমতার। ৪ ঘণ্টার মধ্যে ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে; কাজে যোগ দেবার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ঘিরে বিক্ষোভ এসএসকেএমে, ডাক্তারদের হস্টেল খালি করার নির্দেশ
এনআরএস কাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতারের পরেও; কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তোপ দাগেন মমতা। বলেন; “৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে; কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন; পুলিশ কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে; তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব”।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি; “যাঁরা আন্দোলন করছেন; তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়; তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলমান করা হচ্ছে”। হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ডাক্তারদের তোপ দেগে মমতা বলেন; “২৫ লাখ টাকা দিয়ে পড়াব, তারপর বন্ড দিয়ে পালিয়ে যাবে”? কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি; এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে জুনিয়ার ডাক্তারদের হস্টেল খালি করারও নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এসমা জারি করে; ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার হুমকি দেন মমতা।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেও; সন্ধ্যের দিকে এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন; তাঁদের আন্দোলন ও কর্মবিরতি চলবে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে উড়িয়ে দিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখার।