এতকাণ্ডের পরেও কি, তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের ‘চাকরি চুরি’তে উৎসাহ দিলেন মমতা? দলের প্রকাশ্য সমাবেশে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে উঠেছে বিতর্কের ঝড়। কি বলেছেন মমতা? বৃহস্পতিবার দলের সম্মেলনে মমতা বলেন, “কোন বিধায়ক, মন্ত্রী নিজেদের লেটারহেডে চাকরির অনুরোধ করবেন না। মুখে কথা বলুন। ফোনেও সব বলবেন না! হোয়াটস্অ্যাপও সব তুলে নিচ্ছে”। মমতার বক্তব্য, “জেলায় জেলায় আইবি-র লোকেরা বিজেপির। বিধায়কদের তো বিধানসভায় দেখা হচ্ছে। সাংসদদের সঙ্গেও মোটামুটি যোগাযোগ আছেই”।
কর্মী সম্মেলনে এমন কথাই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরেও কি, ফের ‘চাকরি-চুরি’তে উৎসাহ দিলেন মমতা? মমতার এই বক্তব্যের পরেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি ও বাম নেতারা। কেন তৃণমূলের কোন বিধায়ক-মন্ত্রী, চাকরির জন্য চিঠি দেবেন? যাদের যোগ্যতা আছে, তারা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাবে! নেতারা বলবে কেন? উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের চক্রান্ত ফাঁস, সারদা মামলায় শুভেন্দু সুজনকে ফাঁসাতে চাপ দেবযানীকে
নিজেদের মধ্যে ফোনে কথা বলার বিষয়ে, দলের বিধায়ক-মন্ত্রীদের আরও বেশি সতর্ক হতে বললেন তৃণমূল-নেত্রী। সেই সঙ্গে নিজেদের লেটারহেডে কোনওরকম চাকরির সুপারিশের ক্ষেত্রেও, এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন তিনি। মমতা কি এটাই প্রমাণ করে দিলেন, এতদিন তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রীদের লেটারহেডেও চাকরি হয়েছে?
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “তাহলে মমতা নিজেই স্বীকার করে নিলেন, তৃণমূল বিধায়ক-মন্ত্রীদের লেটারহেডেও চাকরি হয়েছে”। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “মমতা নিজেই ‘চাকরি-চুরি’র কথা স্বীকার করে, আরও চুরি করতে প্রশ্রয় দিলেন”।