উঠে যাচ্ছে স্পিড লিমিট। আবার স্বাভাবিক গতিতে চলবে কলকাতা মেট্রো। কলকাতা মেট্রো বেশ কয়েকদিন ধরেই ধীর গতিতে চলছিল। চাঁদনী চৌক থেকে পার্ক স্ট্রিট স্টেশন অবধি খুব আস্তে চলাচল করছিল মেট্রো। তবে, সেই গতির লিমিট আর থাকবে না আগামী বৃহস্পতিবার থেকে। আরও তাড়াতাড়ি মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে বাড়ছে কলকাতা মেট্রোর গতি।
মেট্রোর গতি কম করে দেওয়া হয় ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখ থেকে। পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো প্রজেক্টের জন্যে দুটো বিশাল টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) কাজ করছিল এসপ্লেনেড এলাকায়। স্টেশনের মাত্র ৮মিটার নিচে কাজ করছিল এই মেশিনগুলো। সাবধানতা বজায় রাখতে এই জায়গায় মেট্রোর গতি সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করার কারণে ১৬টা ট্রেন ক্যান্সেল করা হচ্ছিল প্রত্যেক দিন।
প্রথম মেশিন, চন্ডী, ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এসপ্লেনেড এলাকার ৩০ মিটার অতিক্রম করে ফেলেছিল। আরও একটা মেশিন, উর্বী, এসপ্লেনেড এলাকা পার করেছে গত সোমবার। এই এলাকা থেকে অনেকটা দূরে চলে যাওয়ায়ে টিবিএম এর কম্পন আর কোনো ভাবেই মেট্রো চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করবে না। তাই বৃহস্পতিবার থেকে স্বাভাবিক ভাবে মেট্রো চলাচল করবে।
সাধারণত মেট্রো ২৫ কিমি পার ঘন্টা গতিতে চলাচল করে। পূর্ব-পশ্চিম মেট্রো প্রজেক্টের কারণে এসপ্লেনেড এলাকায়ে মেট্রো চলছিল ১০ কিমি পার ঘন্টায়। যে বাড়তি সময়টা লাগছিল, তার জন্যে প্রায় ১৬টা ট্রেন বাতিল করা হতো প্রত্যেক দিন।
দমদম থেকে নিউ গড়িয়া স্টেশন অবধি মেট্রোতে সময় লাগতো ৪৯ মিনিট কিন্তু বাড়তি সময়ের জন্য দমদম থেকে নিউ গড়িয়া যেতে লাগে ৫২ মিনিট। মেট্রো চলাচল স্বাভাবিক হলে, আবার আগের সময়েই যাত্রা সম্ভব হবে। ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে। এই গতিও বাড়াবার প্রস্তাব আনা হয়েছে।
তবে, এখনই ৩০০টা ট্রেন প্রত্যেকদিন চলবে না। ট্রেন চলাচলের অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন একজন মেট্রো রেল আধিকারিক।
এর আগেও, নভেম্বর মাসে পূর্ব পশ্চিম মেট্রোর জন্য একটা সরু রাস্তা তৈরি করা হচ্ছিল। তখনও মেট্রো রেল চলাচলে একই রকম ভাবে গতি সীমাবদ্ধ করা হয়। তবে পূর্ব পশ্চিম মেট্রো প্রজেক্টের কারনে প্রত্যেকদিন ট্রেন চলাচলে আর কোন রকম সমস্যা হবে না বলেই ধরা হচ্ছে।