ইগনোর করুন, রূপঙ্কর জেনে গেছে কেকে-কে। রাত থেকেই ঝড় চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বেশিরভাগের বক্তব্য, “শকুনের অভিশাপে এই প্রথম গরু মরতে দেখলাম”। সবাই বলছেন, রূপঙ্করের অভিশাপেই কেকে’র মৃত্যু হয়েছে। কেউ আবার হিন্দি-বাংলা জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে; বিষয়টাকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে রূপঙ্করের গুষ্ঠি উদ্ধার করছেন সবাই। স্বাভাবিক, ভুলভাল সবজান্তার মত মন্তব্য করলে; প্রতিদানে শুনতে হবেই।
কেকে-র গান গাওয়া নিয়ে ও তাঁর সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে; বাংলার বিখ্যাত গায়ক রূপঙ্কর কিছু মন্তব্য করেছিলেন। ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন; “কেকে’র থেকে আমরা সবাই ভালো গান গাই। কে, কে, কে, কে? হু ইজ কে ম্যান”? আর এই নিয়েই শুরু বিতর্ক।
একজন গায়ক আরেকজন সঙ্গীত শিল্পীকে; কোনওভাবেই ছোট করতে পারেন না। যেটা রূপঙ্কর করেছেন। সবাই স্বতন্ত্র। প্রত্যেকের নিজস্ব ঘরানা আছে; নিজস্ব স্টাইল আছে। আর রূপঙ্কর, কেকে-র মত নাম করতে পারেননি; তাই এত ক্ষোভ, এটাও সবাই বোঝে। KK-দের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। আগেও এক KK-এর সঙ্গে তুলনা হত না; আজও হয় না।
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুতেও রূপঙ্করকে কামানোর সুযোগ দিয়ে গেলেন কেকে
কিশোরকুমার আর কৃষ্ণকুমার কুন্নথ, প্রথাগত গানের তালিম না নিয়েও কিংবদন্তি; এদের ধারে-কাছে যাওয়াটা একেবারেই অসম্ভব। ‘হাম রহে ইয়া না রহে কাল; কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল’, জেনারেশনের পর জেনারেশন বুঁদ থেকেছে কেকে-র গানে। মৃত্যুর আগে অব্দি থাকবে। দম্ভের জন্য জানেন না রূপঙ্কর; “বাংলা শুনুন”, ভিক্ষা করলেই কি সব পাওয়া যায়?
তবে জবাব পেয়েই গেছেন রূপঙ্কর। গোটা দেশ জুড়ে শোক বার্তা; কিংবদন্তি কেকের জন্য। ভক্তদের হাহাকার, ফ্যানদের চিৎকার, কান্না। ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পর্যন্ত পেলেন না রূপঙ্কর। সারাজীবন যেটা তাড়া করবে তাঁকে; আমরা আজ কেকে-কে শেষ বিদায় জানাই পৃথিবী থেকে।
সুরের দেশ থেকে ওনার গলা, আমাদের সবার ওনার কাছে যাওয়া পর্যন্ত মনেই বাজতে থাকবে; যেটা বোঝার ক্ষমতাও রূপঙ্করের নেই। যার বোঝার ক্ষমতা নেই; তাঁকে অনর্থক গালি দিয়ে কি লাভ? ইগনোর করুন, এইসব ফালতু মন্তব্যকে। আজ সারাদিন কেকে শুনি।
“হাম রহে ইয়া না রহে কাল
কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল”
“ক্যায়সে কেহে দিয়া অলভিদা”