মিমি নুসরতকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা চলছে তার উপরে এবার কড়া নজর দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে। এবার যাদবপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন দাঁড়ালেন অভিনেত্রী মিমির পাশে।
আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়
লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে মিমি ও নুসরত জাহানকে নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী মিমি ও নুসরত জাহানের অনেক ফেক অশ্লীল ছবি। যা ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের। এ বিষয়ে স্বতপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেওয়ার পথে কমিশন। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এবার সেই নিয়েই মুখ খুললেন কবীর সুমন।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির
এদিন নিজের ফেসবুকে কবীর সুমন নিজের প্রতিবাদ জানিয়ে পরপর পোস্ট করেন। সেখানে তিনি এও জানান, তিনি ২০০৯ সালে যখন যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন কি ভাবে ব্যাক্তিগত আক্রমনের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। নন্দীগ্রাম গণহত্যার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষিজমি রক্ষার ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে যোগদান করেন।
এবং সেই সূত্রে সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দেশের পঞ্চদশ লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন ও জয়লাভ করে উক্ত কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন কবীর সুমন।
আরও পড়ুনঃ ভাটপাড়া কি হতে চলেছে বাংলার প্রথম বিজেপি পরিচালিত পুরসভা
ভোটে জিতে ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত যাদবপুর কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিলেন কবীর সুমন। কিন্তু শুরু থেকেই দলীয় কর্মীদের সাথে উন্নয়ন ক্ষেত্রে টাকা খরচের বিষয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পরেন তিনি। দলে থেকেও কার্যত নামেই দলে থেকে যান তিনি। পরে আবার মমতার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল হয়ে যায়।
এবারে লোকসভা ভোট প্রচারে কড়া নজর থাকবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কার্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি পৃথক মনিটরিং সেল। যারা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছে মিডিয়া এবং সোশ্যাল মাধ্যমে। সূত্রের খবর অনুসারে, তৃণমূল প্রার্থী মিমি ও নুসরত জাহানের যে ফেক অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেটি নজরে পড়েছে মনিটরিং সেলের। আর এই নিয়েই প্রতিবাদে মুখ খুললেন সুমন।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনের হাত ধরে বারাকপুর লোকসভা ছিনিয়ে নিতে পারে বিজেপি
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড যাদবপুরের মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান। মিমির একটি সাহসী ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হয়েছে। ট্রোলড হয়েছে নুসরাত জাহানের একটি ফেক ছবি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ছবি সংক্রান্ত সেরকম বিষয় নজরে এলে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। অভিযোগ না এলেও স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে”।
আরও পড়ুনঃ অর্জুনকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, দীনেশ ত্রিবেদীকে ২ লাখ ভোট জেতাব
মিমি নুসরত দুজনের ক্ষেত্রেই ট্রোলড এর বিষয় সীমা ছাড়িয়েছে। এই নোংরামির প্রতিবাদ করেছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমা ছাড়লেই দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে, জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অনেকের মতই এবার দুই অভিনেত্রীর হয়ে গলা ফাটালেন কবীর সুমন।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।