মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিল সেনা

878
মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিল সেনা/The News বাংলা
মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিল সেনা/The News বাংলা

মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিল সেনা। শুক্রবারই মুখ্য নির্বাচন অফিসারের দফতরে চলে এসেছে সেনাবাহিনীর ছাড়পত্র। ব্রিগেড বা ময়দান এলাকা সেনার অধীনে। তাই ব্রিগেডে সভা করতে গেলে সেনার অনুমতি নিতে হয়। বঙ্গ বিজেপির তরফ থেকে আগেই নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সভার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এদিন তা পাওয়া গেল বলেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ খোদার কসম মোদীকে জেলে ঢোকাবো, এনসি নেতা জাভেদ রানার মন্তব্যে উত্তাল দেশ

ভোটের আগে বিভিন্ন সভার অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার, এমনটাই অভিযোগ ছিল বঙ্গ বিজেপির। তাই ভোটের আগে এবার সরাসরি ব্রিগেডেই মোদীর সভার ডাক দেওয়া হয়। যাতে রাজ্য সরকারের কোন অনুমতি যাতে নিতে না হয়। ব্রিগেডে সভা করতে গেলে সরাসরি সেনার অনুমতি নিতে হয়। সেই অনুমতি শুক্রবার পাওয়া গেল বলেই জানা যাচ্ছে। এর ফলে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে মোদীর ব্রিগেড ঘিরে সাজ সাজ রব চলছে।

আরও পড়ুনঃ ৬ বারের জয়ী সিপিএম সাংসদের বাড়িতে অর্জুন, শুরু জল্পনা

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩রা এপ্রিল বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওইদিন ব্রিগেডে বিজেপির জনসভা থেকেই বাংলায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বার্তা দেবেন মোদী। গত শনিবার এমনটাই জানিয়েছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর আগে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনের সময় মোদীর বাংলা সফর ও ব্রিগেড সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনের অনুমতি না পাওয়ায় সে যাত্রায় আর ব্রিগেড সমাবেশ সম্ভব হয়নি। এবার ভোটের মুখেই রাজ্যে আসছেন মোদী।

আরও পড়ুনঃ মোদীর মিশন শক্তির ঘোষণায় নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন হয়নি, জানিয়ে দিল কমিশন

মোদীর আসার ও ব্রিগেডে সভা করার দিকে তাকিয়ে বঙ্গ বিজেপি। কারণ তাদের একমাত্র ভরসা সেই মোদীই। এমনিতেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। প্রথম দফায় প্রকাশিত হয় বাংলায় বিজেপির ২৮ জনের প্রার্থী তালিকা। আর তারপরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ উত্তাল হয়ে ওঠে কোচবিহার, মালদা, বসিরহাট সহ অনেক এলাকাই। কোচবিহারে দলিয় দফতর ভাঙচুর হয়। সেই ক্ষোভ পুরোপুরি সামাল দিতে শেষ ভরসা সেই নরেন্দ্র মোদীই।

আরও পড়ুনঃ ইসরো চেয়ারম্যানকে খুনের হুমকি, সন্দেহের তীর জইশ ই মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর দিকে

পরে দার্জিলিং ও জঙ্গিপুর এবং তারপর আরও ১০ টি আসনে অর্থাৎ মোট ৪০ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। এখনও পুরুলিয়া ও বর্ধমান-দুর্গাপুর এই দুটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ ভোটের মধ্যেই নারদ মামলায় তৃণমূল নেতাদের চার্জশিট দেবে সিবিআই, খুশি পদ্ম শিবিরে

একটা ব্রিগেড পরিবর্তন করতে পারে বাংলার ভোটের মহল। মনে করছেন বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা। আর সেই দিকেই এখন তাকিয়ে বাংলা বিজেপির নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। ব্রিগেড থেকে নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের কি বার্তা দেন সেটার জন্যই অপেক্ষা বিজেপির। সেই সভার অনুমতিও সেনার কাছ থেকে পেয়ে গেল বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ ভোরবেলায় লাঠিচার্জ করে মাদ্রাসা সার্ভিস উত্তীর্ণদের মেরে ওঠাল পুলিশ

অন্যদিকে পুলওয়ামা কাণ্ডের পর এই ঘটনার জন্য মোদীকেই দায়ি করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি কর্মীরা শুনতে চান ব্রিগেড থেকে কি বার্তা মমতার উদ্দ্যেশ্যে দেন মোদী। মমতা ও মহাজোটকে এবং সেইসঙ্গে রাহুল ও কংগ্রেসকে কিভাবে বাংলার মাটিতে আক্রমণ করেন মোদী, সেটাও দেখার। ব্রিগেডের পরই বিজেপির প্রচারে জোয়ার আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন