২০১৪ সালে পোলিও মুক্ত দেশের স্বীকৃতি পায় ভারত; বাংলার মেটিয়াবুরুজে গত মে মাসেই পোলিও হানা দিয়েছে। ২০১১ সালে হাওড়ার এক ১২ বছর বয়সী মেয়ের দেহে; শেষ পোলিওর জীবাণু মিলেছিল। এরপর ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ; ভারতকে পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বাংলাকেও পোলিও মুক্ত রাজ্য; বলেই ঘোষণা করা হয়। তবে পোলিওমুক্ত রাজ্য বা দেশ ঘোষণা করার দীর্ঘ ১১ বছর পর ফের; কলকাতায় পোলিওর জীবাণু মেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতর কর্তাদের কপালে।
মেটিয়াবুরুজের একটি নর্দমা থেকে; পোলিওর জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে; রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শিশুদের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১১ বছর পর ফের কলকাতায় মিলল; এই পোলিওর জীবাণু। মে মাসে মেটিয়াবুরুজের একটি নর্দমা থেকে; নমুনা সংগ্রহ করা হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। সেটি পরীক্ষা করে দেখা যায়; ওই নমুনায় পোলিও ভাইরাস রয়েছে। ১৫ নম্বর বরোয় মেটিয়াবুরুজ এলাকায়; একটি নর্দমার জলের নমুনায় পোলিও-র জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন; করোনা নেই, বাধ্যতামূলক কোভিড টেস্টের নামে মানুষকে লুটছে বেসরকারি হাসপাতাল
এরপর স্বাস্থ্য দফতরের তরফে, গত ২৬ মে; স্বাস্থ্যভবনে ডাকা হয় একটি বিশেষ বৈঠক। সেখানে ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিনিধিরা ছিলেন; সেখানে পোলিও ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা শিশুদের উপর; বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
আরও পড়ুন; দায় কার, আদালতের রায়ে স্কুল শিক্ষিকা বরখাস্ত হতেই বিয়ে ভেঙে পালাল প্রেমিক
বৈঠকে মেটিয়াবুরুজ এলাকায় বিশেষ ‘সার্ভেল্যান্স’ চালানো, অর্থাৎ বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন; স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। সার্ভেল্যান্স অর্থ, রুটিন টিকাকরণে আরও জোর দেওয়া; খোলা জায়গায় শৌচকর্ম আটকানো; বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কোথাও জন্মগত-ভাবে রুগ্ন বা যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম; এমন শিশু আছে কি না, তা দেখা। সেরকম কাউকে পেলে, তাকে পরীক্ষা করা জরুরি; কারণ, এদের পোলিও ভাইরাস বেশি আক্রমণ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা শিশুদের উপর, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় প্রকাশ্যে শৌচকর্মের ক্ষেত্রেও; নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া পুরসভার কর্মীদের, বাড়ি বাড়ি ঘুরে পোলিও টিকাকরণের গুরুত্ব; বোঝানোর কথাও বলা হয়েছে।