বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক প্রার্থীরা যখন ভোট কেনার জন্য তুমুল প্রচেষ্টা করছেন তখন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন উত্তর কলকতার বাম প্রার্থী কনীনিকা বসু। এলজিবিটিকিউ-দের অধিকার আদায়ের নানা প্রতিশ্রুতি সিপিএমের ইস্তাহারে স্থান পেয়েছিল আগেই। এবার তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করলেন উত্তর কলকাতার বামফ্রন্ট প্রার্থী কনীনিকা বসু (ঘোষ)।
নির্বাচনী প্রচারে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে বৈঠক এর উদ্যোগ রাজ্যে এই প্রথমবার। স্বভাবতই এতে আশার আলো দেখছেন রূপান্তরকামীরা। কনীনিকা বসু বলেন,”নির্বাচন মানে অনেক আলাপ-আলোচনার সুযোগ। আমাদের ইস্তাহারে এবার এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষদের অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সে লড়াই চলবে নির্বাচনের পরও, তা নিয়েই আলাপচারিতার একটা মঞ্চ তৈরির চেষ্টা করলাম আমরা। সিপিএম প্রান্তিক মানুষদের কথা বলে। তাঁদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে। আমরা ওঁদের বলতে চেয়েছি, যে লড়াইয়ের কথা জানানো হয়েছে ইস্তাহারে, তা চলবে”।
আরও পড়ুনঃ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, অর্জুনের ভাটপাড়ায় মদন
রিপন স্ট্রিটের কান্তি প্রেস এর পাশেই এসএফআইয়ের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শুরু হয় বৈঠক। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অপ্রতীম রায়ও এই কমিউনিটির সদস্য। কিন্তু, যে দিন দলের মিছিলে নিজের যৌন পরিচয় প্রকাশ্যে এনে আরও অনেক অপ্রতীম হাঁটবেন, সে দিন বুঝতে পারব লড়াইটা গড়ে উঠছে। বলছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুনঃ হাওড়া থেকে উদ্ধার নিখোঁজ নোডাল অফিসার অর্ণব রায়
২০১৮-র গোড়ায় ফুয়াদ হালিমের নেতৃত্বে বামফ্রন্টের ইস্তাহারে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের মানুষের কথা কী ভাবে বলা সম্ভব,তা নিয়ে ওয়েস্টবেঙ্গল ফোরাম ফর জেন্ডার অ্যান্ড সেক্সুয়াল মাইনরিটি রাইটসের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছিল। স্যাফোর অপর এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মীনাক্ষী সান্যাল ছিলেন সে আলোচনার অন্যতম সদস্য।
আরও পড়ুনঃ বউকে না জানিয়েই কি শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন, অফিসার উধাও রহস্যে সিআইডি
তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম,আলোচনা যেন হারিয়ে না যায় দলীয় গঠনতন্ত্রের আড়ালে। ইস্তাহার প্রকাশ হওয়ার পর সেটা হয়নি দেখে ভালো লেখেছে। ওঁরা অনেক বিষয় সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছেন ওঁদের ইস্তাহারে। আমাদের আশা, নির্বাচনের পর সেই লড়াইয়ের কথা হারিয়ে যাবে না”।
আরও পড়ুনঃ ভোটের ৫ দিন আগে প্রকাশ্যে দিনের আলোয় তৃনমুলের অস্ত্র ও বাইক মিছিল বীরভূমে
রূপান্তরকামীদের সংগঠন এটিএইচবি-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রঞ্জিতা সিনহা বলেন, “আমাদের জন্য কোনও রাজনৈতিক দলের দরজা সেভাবে এখনও পর্যন্ত খোলা ছিল না। আমাদের হয়ে যাঁরা কথা বলবেন,তাঁদের স্বাগত। রবিবারের আলোচনা আমাদের কিছুটা আশার আলো দিল। নির্বাচনের পর পাশে থাকার, লড়াই করার অঙ্গীকার হারিয়ে যাবে না, সেটাই আশা করব”।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই বাংলায় বিজেপি সরকার, ভোটের পরেই ১২০ বিধায়ক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।