‘কয়লাকাণ্ডে জেরার নামে হু’মকি’; সিবিআইয়ের প্রধান তদন্তকারী অফিসার আর তাঁর দলবলের বিরুদ্ধেই এফআইআর রাজ্য পুলিশের। ফের একবার সিবিআই বনাম বাংলার পুলিশ। কয়লাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের প্রধান তদন্তকারী অফিসার-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে; এফআইআর দায়ের করল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। কয়লাকাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের প্রধান তদন্তকারী অফিসার উমেশ কুমার-সহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে; দায়ের হল পুলিশের এই এফআইআর।
সূত্রের খবর, ডায়মন্ডহারবারের বাসিন্দা হাইবার আখানের অভিযোগে ভিত্তিতেই; এই এফআইআর দায়ের হয়েছে। অভিযোগকারীর দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে; হু’মকি দেওয়া হয় সিবিআই-য়ের অফিসারদের তরফ থেকে। জোর করে বয়ান রেকর্ড করানোরও অভিযোগ উঠেছে; সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে। ১২০(বি), ১৯৫(এ), ৫০৬, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮, ৩৪-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারাতেও; সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, এফআইআরের পর; সমস্ত নথি সংগ্রহ করেছে সিআইডি।
আরও পড়ুন; নতুন ‘উপদ্রব’ রোদ্দুর রায়, জেলের ‘দাগি কয়েদী’রাও ভয়ে কাঁপছে
কয়লাপা’চার কাণ্ডে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে; কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। সেই তদন্তের ঘটনাতেই তাঁরা জানতে পারেন যে; দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও সেই কয়লা আসত। সেই সূত্রেই যারা সেই কয়লা কিনত বা বিক্রি করত; তাঁদের একে-একে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তাঁরা। এদের কলকাতার নিজাম প্যালেসে ডেকে; জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন; শরদ, ফারুখ, গোপাল, মমতার অনুরোধেও কেউ রাজি নন, ভরসা এখন তৃণমূল নেতা যশবন্ত
সেই সূত্রেই, ডায়মণ্ডহারবার মহকুমার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার বাসিন্দা; হাইবার আখানকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সেই হাইবার আখানই বিষ্ণুপুর থানায় কয়লাপা’চার কাণ্ডে তদন্ত করছেন যে সব সিবিআই আধিকারিক; তাঁদের প্রধান আধিকারিক ও তাঁর টিমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। এফআইআরের কপি সংগ্রহ করেছে; রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।
কয়লাপা’চার কাণ্ডে যে সব সিবিআই আধিকারিক তদন্তে নেমেছেন; তাঁদের প্রধান উমেশ কুমারের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছেন হাইবার আখান। তাঁর অভিযোগ, কলকাতার নিজাম প্যালেসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে; রীতিমত হু’মকি দেওয়া হয়। তাঁকে বলা হয়, সিবিআই যে ধরনের বিবৃতি চাইছে; তাঁকে সেই সবই জবানবন্দী হিসাবে রেকর্ড করতে হবে। সিবিআই আধিকারিকদের কথায় না চললে; তাঁকে ভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হু’মকি দেওয়া হয়।