এবার হাসপাতাল কাণ্ডে; রাজ্যের জবাবদিহি চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এনআরএস কাণ্ডের অশান্তির হাওয়া ছড়িয়ে পরেছে গোটা বাংলা সহ সারা দেশে। গত চারদিন ধরে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা সিকেয় উঠেছে। আন্দোলনের তিনদিন পরে গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে এসে কর্মবিরতি তুলতে হুঁশিয়ারি দেবার পরে আন্দোলনের আগুনে ঘি পরে।
শুক্রবার রাজ্যে রোগী ভোগান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ডাক্তার কুনাল সাহা। এই মামলার সুনানিতে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চায় এই বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান কি, প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন রাজ্যে চিকিৎসার অব্যাবস্থার সমাধান খুঁজতে হবে রাজ্যেকেই। খুব দ্রুত যেন এই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য।
আরও পড়ুন মমতার হুঁশিয়ারির উপেক্ষা করে ডাক্তারদের পাশে বাংলার বুদ্ধিজীবীরা
এদিকে এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলার নিন্দা করে দেশজুড়ে প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)। বৃহস্পতিবার মাথায় ব্যান্ডেজ লাগিয়ে; প্ল্যাকার্ড হাতে বাংলায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দেন এইমস-এর চিকিৎসকরা; কেউ কেউ মাথায় হেলমেট পরেই রোগী দেখছিলেন।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম হাসপাতলে গিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য জুনিয়ার ডাক্তারদের কড়া বার্তা দেন; চিকিৎসার মতো জরুরী পরিষেবা দিনের পর দিন বন্ধ রাখা যায় না বলে তিনি ‘এসমা’ চালু করার করা বার্তাও দেন; কিন্তু এর পরেও গলেনি বরফ।
আরও পড়ুন এন আর এস কাণ্ডের নিন্দায় শুক্রবার কর্মবিরতি দিল্লির এইমসের ডাক্তারদের
বৃহস্পতিবার বিকেলে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে আবারও উত্তেজনা ছড়ায়; ছাত্রদেরকে লক্ষ্য করে হাসপাতালের বাইরে থেকে ইট ছোঁড়া হয়। ফের একজন ইন্টার্নের গুরুতর চোট লাগে; এর ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা দেখছেন না অনেকেই। একই সঙ্গে এইমস-এর ডাক্তারদের কর্মবিরতিতে সমস্যা আরও জটিল আকার নিতে চলেছে।
জুনিয়ার ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। শুক্রবার অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, দেবজ্যতি মিশ্র সহ রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা; এন আর এস হাসপাতালে এসে জুনিয়ার ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে; বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন তাঁরা।