The News বাংলা, কলকাতাঃ কলকাতা মেট্রোতে আগুন। মেট্রো টানেলের মধ্যেই থমকে দাঁড়াল মেট্রো। আগুন ও ধোঁয়ায়, অসুস্থ বহু। রবীন্দ্র সদন থেকে ছেড়ে ময়দান স্টেশন ঢোকার ঠিক আগেই আগুন লেগে দাঁড়িয়ে যায় একটি এসি ট্রেন। এমনটাই জানা গেছে। ময়দান স্টেশনের টানেলের মুখেই আগুনের ফুলকি দেখা যায় একটি এসি মেট্রোর একটি কামড়া থেকে। ধোঁয়ায় ভরে যায় পুরো ট্রেন। এই মুহূর্তে সব যাত্রীদের টানেল দিয়ে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে ময়দান স্টেশনে আনা হচ্ছে। আহত প্রায় ৫০ জন।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: ৫৫ নম্বরের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে ৫৯ দিয়ে এসএসসি-র নতুন কীর্তি
ধোঁয়ার কটু গন্ধে অসুস্থ হয়ে পরেন অনেকেই। অফিস ছুটির সময় হওয়ায় ভিড়ে ঠাসা ছিল এসি মেট্রোটি, জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। টানেলের মধ্যে ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই ধোঁয়ার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এসি মেট্রোর জানলা ভাঙতে চেষ্টা করেন। তাতেও বেশ কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে। শেষ পর্যন্ত জানলার কাচ ভেঙে আগুনের ধোঁয়া থেকে মুক্তি পান যাত্রীরা।
টানেলেই দাঁড়িয়ে পড়ায় এবং থার্ড লাইনে ইলেকট্রিক থাকার ভয়ে নামতেও পারেন নি যাত্রীরা। ধোঁয়ার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক যাত্রী। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা। ফলে অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে দমকল বাহিনী সব যাত্রীকে ওই ট্রেন থেকে নামিয়ে আনছেন। আধ ঘণ্টা পর টানেল দিয়ে হাঁটিয়ে যাত্রীদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার
স্টেশনে এসেই কলকাতা মেট্রোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন যাত্রীরা। প্রায় ৫০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। এক ঘণ্টা ধোঁয়ার মধ্যে আটকে ছিলেন যাত্রীরা, এমনটাই অভিযোগ যাত্রীদের। বেশ কিছু বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা গেছে। ৪০ জন যাত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক জন শিশু ও মহিলা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, উৎসবের সময় চরম সমস্যায় আমজনতা
এসি জানলার কাচ ভাঙতে গিয়েও আহত হয়েছেন অনেকেই। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার এই মুহূর্তে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। অসংখ্য মানুষ আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম এ কোন কিছু ঘোষণা করা হয়নি বলেই যাত্রীদের অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
অভিশপ্ত মেট্রোর কোচ থেকে বারবার মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ফোন করলেও কোন উত্তর পাওয়া যায় নি বলেই অভিযোগ। স্টেশনে এসেই মেট্রো কর্তৃপক্ষর উপর নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন যাত্রীরা। উদ্ধার কাজ শুরু করতে আধ ঘণ্টা কেন লাগল? প্রশ্ন সবার।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
এই মুহূর্তে মেট্রো পরিষেবা ব্যহত। নিউ গড়িয়া থেকে টালিগঞ্জ ও সেন্ট্রাল থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো চলছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে অনেক দেরি করেছে বলেই যাত্রীদের প্রত্যেকের অভিযোগ। তবে যাত্রীদের অভিযোগ মানতে চান নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এদিকে এসএসকেএম হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে।
আরও পড়ুনঃ ‘রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তেল দিতেই হবে’ বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ
ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, থার্ড লাইন যেখান থেকে ইলেকট্রিক আসে সেখানেই আগুন লাগে। তবে যাত্রীরা বলেছেন যতীন দাস মেট্রো স্টেশন থেকেই আগুনের ফুলকি দেখা যায়। তারপরেই ধোঁয়ায় ভরে যায় মেট্রোর দুটি কোচ। জানলার কাচ ভেঙে নামতে গিয়েও অনেকে আহত হয়েছেন।
একজনের পায়ের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের এমারজেন্সি বিভাগে এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখছেন।