দিল্লি ও মুম্বাই হাইকোর্ট নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না। এর ফলে আগামী ৫ এপ্রিল শুক্রবারই রিলিজ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনী নিয়ে সিনেমা। ভোটের ঠিক আগে এই ফিল্ম রিলিজ হলে তা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে, এই অভিযোগ নিয়ে দিল্লি, মুম্বাই ও এলাহাবাদ হাইকোর্টের দারস্থ হয় বিভিন্ন ব্যক্তি। দিল্লি ও মুম্বাই হাইকোর্ট নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক নিয়ে স্থগিতাদেশ দিল না।
ছবিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে। তবে আদালত এই ছবির বিষয়ে নাক গলাবে না বলে এদিন জানিয়ে দেয় মুম্বই হাইকোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টও। তাতে খানিকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস পায় ছবির নির্মাতারা। ভোটের আগে এমন ছবির প্রদর্শনী নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে, গোটা বিষয়টিই নির্বাচন কমিশনের নজরে রয়েছে। ফলে তারাই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আদালত এই নিয়ে মাথা ঘামাবে না।
মামলাকারী পুনার সতীশ সুগ্রীব গাইকোওয়ার্ডের বক্তব্য, লোকসভার মুখে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক রিলিজ করা হলে, তাতে আদর্শ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হবে। যে কারণে বায়োপিক রিলিজে স্থগিতাদেশের আর্জি জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সতীশ। লোকসভা ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক রিলিজ হলে, তা আদৌ নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মধ্যে পড়বে কি না, তা নিয়ে বোম্বে হাইকোর্টে শুনানি হয়।
মামলাকারী পুনার সতীশ সুগ্রীব গাইকোওয়ার্ডের বক্তব্য, লোকসভার মুখে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক রিলিজ করা হলে, তাতে আদর্শ নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হবে। অন্যায় সুবিধা পাবে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কংগ্রেসও এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে।
ভোট চলাকালীন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এই বায়োপিকের ট্রেলারও যাতে সরিয়ে ফেলা হয়, সেই আর্জিও জানিয়েছেন পুনার ওই রাজনীতিক। লোকসভার প্রথম দফা নির্বাচন ১১ এপ্রিল। আর নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক রিলিজ হওয়ার কথা আগামী ৫ এপ্রিল। প্রথমে ঠিক ছিল ফিল্মটি রিলিজ হবে আগামী ১২ এপ্রিল। কিন্তু তারপর রিলিজের ডেট ৫ তারিখে আনা হয়। প্রথম দফার ভোট আগামী ১১ এপ্রিল।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ছবির মুক্তির দিন এগিয়ে আনার প্রধান কারণ, প্রথম দফার নির্বাচনের আগেই যাতে দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর আত্মজীবনী দেখতে পান। এই আত্মজীবনীর ফলে ভোটব্যাঙ্কে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তে পারে, এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
তবে কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছেন মোদী ও বিজেপির আসল রূপ। তাই সিনেমা দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভোট দেওয়ার জন্য টানা যাবে না। নির্বাচনের ফলেপ্রকাশের সময়ই মোদী সরকার সেটা বুঝে যাবে। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ১১ তারিখে ভোট শুরু, আর ৫ তারিখ রিলিজ করছে এই ফিল্ম। কিছুটা হলেও ভোটের শতাংশের হেরফের ঘটাতেই পারে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক।