সিবিআই হেফাজতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভার রুম; ভয়ে কাঁপছে বড় ঘুষখোররা। ২০১৬ সালের নবম-দশম শ্রেণীর স্কুল শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠতেই; স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়নি; এসএসসি-র তরফ থেকে। কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানান, “সিবিআই হেফাজতে আছে এসএসসি-র সার্ভার রুম; তাই অনুমতি না পেলে তথ্যপ্রকাশ করা সম্ভব নয়।
এরপরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান; সিদ্ধার্থ মজুমদারকে সশরীরে হাজিরা দিতে বলে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে; সশরীরে হাজিরা দিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে। সিবিআইকে এবিষয়ে চিঠি চেওয়া হয়েছে কি না; তা জানতে চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন; অভিমানের প্রাচীর ও রাজনৈতিক সন্ন্যাস ভেঙে ফের মমতার দলে শোভন সঙ্গে বৈশাখী
২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণীর ভুগোল শিক্ষক নিয়োগে; বড় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অনিয়মের অভিযোগে মামলা করেছিলেন পাঁচ চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের দাবি, মেধাতালিকার ওয়েটিং লিস্টে তাঁদের নাম ছিল। আর ওই ওয়েটিং লিস্টের তাঁদের নীচে যাঁদের নাম ছিল; তাঁদের কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ তাঁরা চাকরি পাননি। হাইকোর্টে সেই সংক্রান্ত শুনানি ছিল বুধবার। সকল চাকরিপ্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছিল; ৭ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তা করেনি এসএসসি।
আরও পড়ুন; “সামাজিক শিক্ষাগুরু বলেই মমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে”, ঘোষণা চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর
মামলাকারীদের আইনজীবী সুভাষ জানা বলেন, “নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে নিয়েছে; স্কুল সার্ভিস কমিশন। তারপরই তাদের কাছ থেকে নথি চায় হাইকোর্ট; ১৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ছিল। সেদিনও নথি জমা করেনি এসএসসি। এরপর আজ স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর তরফে হাইকোর্টে যুক্তি দেওয়া হয়; অন্য একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এসএসসি-র সার্ভার রুম এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। সিবিআই ওই মামলার তদন্ত করছে। তাই, সার্ভার রুম থেকে; ডেটা আনা যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর, বেআইনি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক তথ্য; এসএসসির ওই সার্ভার রুমে রয়েছে। যা হাতে পেলেই মাকড়সার জালের মত বিছিয়ে থাকা; একাধিক ঘুষখোরের নাম উঠে আসতে পারে। তাই কমিশনের সভাপতিকে তলব করতেই; প্রবল চাপে বড় ঘুষখোররা।