চাপে পরে বাধ্য হয়ে; অবশেষে সুর নরম মমতার। আহত জুনিয়ার ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে; নিউরো সায়েন্সে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইএনকে তে গত পাঁচদিন ধরে ভর্তি পরিবহ; শুক্রবার রাজ্যপাল দেখতে যান পরিবহকে। বয়স্ক এক রুগীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয় এনআরএস হাসপাতাল। প্রায় দুশোজন লোক লরি করে এসে ইমারজেন্সিতে ঢুকে; ডাক্তারদের উপর আক্রমণ করে। এর ফলে পরিবহের মাথার ফ্রন্টাল বোনে ডিপ্রেসড ফ্র্যাকচার হয়।
এই ঘটনায় কলকাতা সহ সারা রাজ্যে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে; কর্মবিরতির ডাক দেয় জুনিয়ার ডাক্তার সংগঠনগুলি। সমস্ত কলেজের আউটডোরে চিকিৎসা বন্ধ; জুনিয়ার চিকিৎসকরা; এন আর এস হাসপাতালের; মূল গেট বন্ধ রেখে আন্দোলনে নেমেছে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর
রাজ্য জুড়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার অচলাবস্থার মাঝে; এস এস কে এম হাসপাতালে এসে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনে ঘি ঢালে; শুরু হয় গনইস্তফা। পাঁচদিনে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ১০০০ এর উপর চিকিৎসক; নিজেদের ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী কে নিজে এসে ক্ষমা চাইতে হবে; তবেই উঠবে ডাক্তারদের কর্মবিরতি।
আরও পড়ুন জেহাদি শক্তির আক্রমনের বিরুদ্ধে হিন্দুদের অস্তিত্বরক্ষার দাবিতে মিছিল
সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে ডাক্তারদের যেন; ইস্তফা দেবার ধূম পরে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর হুঁশিয়ারি ও ডাক্তারদের প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্যের পরিপেক্ষিতেই; এই সমস্ত ইস্তফা বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। এই ইস্যুতে ব্যপক সমস্যায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন এনআরএস না নবান্ন, চলছে মমতা ও জুনিয়ার ডাক্তারদের ইগোর লড়াই
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলোচনার জন্য নবান্নে ডেকে পাঠালেও; জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি এনআরএস হাসপাতালে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে; সাফ জানিয়ে দিয়েছে জুনিয়ার ডাক্তাররা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এনআরএস হাসপাতালের; আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিলেন ডাক্তাররা।
নবান্নে কয়েকজন সিনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করার পর; মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালে যান; রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কিন্তু তাঁর মুখের উপর পরিষ্কার না বলে দিয়েছেন এন আর এস হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা।