শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে, সার্টিফিকেট বিবেক দুবের

441
শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে, সার্টিফিকেট বিবেক দুবের/The News বাংলা
শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে, সার্টিফিকেট বিবেক দুবের/The News বাংলা

শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে, দরাজ সার্টিফিকেট বিবেক দুবের। এদিন সকালেই তিনি কোচবিহার থেকে কলকাতায় চলে আসেন। তাঁর কোচবিহারে থেকে ভোটের কাজ করানোর কথা ছিল। কিন্তু ভোট শুরু হতেই তিনি কলকাতা রওনা হন। আর তারপরেই কোচবিহার এর বিভিন্ন এলাকায় যেখানে রাজ্য পুলিশ ছিল, শুরু হয়ে যায় ঝামেলা। কিন্তু সন্ধ্যায় সেই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে জানালেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে। আর এই শুনেই চমকে উঠেছে বিজেপি সহ বিরোধীরা।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা নয় কোচবিহার থেকে ভোট মনিটরিং করবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
আরও পড়ুনঃ আশ্চর্য কাণ্ড, ভোট শুরু হতেই কোচবিহার থেকে কলকাতায় ফিরলেন বিবেক দুবে

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে চরম সন্ত্রাসের পরিস্থিতি দেখেও শিক্ষা নেয় নি ভারতের নির্বাচন কমিশন। আর সেই রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করেই ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় চরম সন্ত্রাস দেখতে পেল কোচবিহার এর বিভিন্ন এলাকা। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেখানেই দাপিয়ে বেড়িয়েছে রাজনৈতিক দলের গুণ্ডারা। বিশেষ করে তৃণমূলের দাদাগিরি দেখতে পেয়েছে গোটা কোচবিহার। একের পর এক ছবি উঠে এসেছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু দিনের শেষে রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে বলে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে।

LIVE: সারাদিন কি হচ্ছে বাংলার ভোটে, দেখে নিন প্রথম দফার ভোটের সব ঘটনা

কোচবিহার কেন্দ্র নিয়ে বাড়তি নজর ছিল কমিশনের। ৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রায় পুরোটাই রয়েছে কোচবিহারে। কোচবিহারে ২০১০টি বুথের মধ্যে ১০৬০টি বুথে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ৯৫০টি বুথে রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্রবাহিনী। আর বৃহস্পতিবার ভোটের দিন সারাদিন কোচবিহারে থাকার কথা ছিল বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের। কোচবিহারে থেকেই ভোট মনিটরিং করবেন তিনি, এমনটাই কথা ছিল।

আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে ৩৫০ বুথে রিগিং, ১৬৬ বুথে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তুললেন বিজেপি প্রার্থী

কিন্তু দেখা গেল ঠিক উল্টো ছবি। বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কলকাতায় ফিরে গেলেন সকালেই। আর যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই সেই সেই বুথেই দেখা গেল চরম সন্ত্রাস। ঠিক পঞ্চায়েত ভোটের মতই তৃণমূলের ফের সন্ত্রাস দেখছে রাজ্য। তাও শুধুমাত্র দুটো লোকসভার ভোটে। কোচবিহারে যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেখানেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে বলেই অভিযোগ সাধারণ মানুষ থেকে বিরোধী দলগুলির।

আরও পড়ুনঃ ভোটের ‘দাওয়াই’ দেওয়ার বেনজির হুমকি রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের

কোচবিহারের শিতলকুচির অনেক বুথেই বিরোধী প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে ঢুকতেই দেওয়া হয় নি বলেই অভিযোগ। শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস এজেন্টদেরই দেখা যাচ্ছে। এমনকি বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয় ভোটারদেরও। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই চলে হুমকি। ভোটের আগে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ছিল বিরোধীদের। কিন্তু কোচবিহারে ৯৫০টি বুথে রয়েছে রাজ্য পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূতকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দেবে মমতা সরকার

আর রাজ্য পুলিশ থাকা অধিকাংশ বুথেই চলছে চরম দাদাগিরি, এমনটাই অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। মাথাভাঙ্গা ও দিনহাটার অধিকাংশ বুথেই চলছে ভোটারদের বাধা দেওয়ার কাজ। অনেক বুথেই বিরোধী এজেন্টদের বসতেই দেওয়া হয় নি বলেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস।

আরও পড়ুনঃ মমতার ফোনের পরই ৫ টি বুথে পুনরায় নির্বাচন চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

রাজ্যের উপর ভরসা করে ডুবল ভারতের নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের পুলিশের উপর নির্ভর করে ডুবল নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় সন্ত্রাস চলছে অধিকাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী হীন বুথে। এমনটাই ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পরেছে নির্বাচন কমিশন এর কাছে। তবে রাজ্য ও রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা করে এইভাবে ডুবতে হবে টা ভাবেনই নি বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুনঃ বিশ্ব দরবারে বাজিমাত করল মমতার সবুজ সাথী ও উৎকর্ষ বাংলা

কিন্তু তাও দিনের শেষে সেই বিবেক দুবে বললেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে, রাজ্য পুলিশ দারুণ কাজ করেছে”। আর এই ঘোষণার পরই মুখ টিপে হেসেছেন কোচবিহারের মানুষ। হেসেছেন সব বিরোধী নেতারা।

আরও পড়ুনঃ শুধু কোচবিহারে ছাপ্পা ও সন্ত্রাস আটকাতে না পেরে লজ্জায় বিবেক দুবে ও নির্বাচন কমিশন

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন