The News বাংলা, কলকাতাঃ EXCLUSIVE আবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন কীর্তি। ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায়, পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর নাকি ৫৯! একটি আরটিআই এর উত্তরে এমনটাই জানালেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যা দেখে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মহল। মাথায় হাত পরীক্ষার্থীর!
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার
আরটিআই এ আজব উত্তর! এসএসসি-র পরীক্ষার্থী ঋতু বেরা আরটিআই করেছিলেন নিজের সংস্কৃত পরীক্ষার নম্বর জানতে। জানিয়েছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। ৫৫ নম্বরের সংস্কৃত পরীক্ষা। তার প্রাপ্ত নম্বর জানতেই আরটিআই। পরীক্ষার্থী ঋতু বেরা ৫৯ নম্বর পেয়েছে বলে উত্তর এল। ৫৫ পূর্ণমানে ৫৯ নম্বর কি ভাবে সম্ভব? হাসির ফোয়ারা ছুটেছে আদালত জুড়ে।
অভিযোগ ছিল বেশ কয়েকটি। প্রথমত স্কুল সার্ভিস কমিশন মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই কাউন্সেলিং শুরু করেছে। পাশাপাশি দ্বিতীয় মেধা তালিকায় পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশ করেনি। এবং শূন্যপদ বাড়ার জায়গায় কিভাবে কমে গেল? এই সব প্রশ্ন তুলে গত অক্টোবর মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় আশরাফুল নিশা সহ বেশ কিছু স্কুল সার্ভিস পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরেই আটকে রইল বিজেপির রথ যাত্রা
মামলার বয়ান অনুযায়ী আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে অভিযোগ করেন, যে স্কুল সার্ভিস কমিশন মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই তারা কাউন্সিলিং শুরু করেছে। পরীক্ষার্থীরা তাদের দেওয়া লিখিত পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছে তাও সুনির্দিষ্ট করে পরীক্ষার্থীদের জানানো হয়নি। সঠিক পদ্ধতিতে নিয়োগ হোক, আদালতে আবেদন জানান হয়।
আরও পড়ুনঃ ৫ দিন বন্ধ ব্যাঙ্ক, উৎসবের সময় চরম সমস্যায় আমজনতা
যোগ্য প্রার্থীরা যাতে সুযোগ পান, সেই কারণেই গত ১১ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেয় যে আগামী ২রা জানুয়ারির মধ্যে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতের কাছে হলফনামা আকারে জমা দিতে।
কিন্তু সেই সময়ের আগেই গত ১৪ই নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, মেদিনীপুর জেলার পরীক্ষার্থী ঋতু বেরাকে তথ্যের অধিকার আইনে বা আরটিআই উত্তরে জানানো হয় যে, তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯। এদিকে লিখিত পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ নম্বর এর।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে
স্কুল সার্ভিস কমিশনের এই তথ্য পাওয়ার পর চমকে ওঠেন ঋতু বেরা। কারণ ১০০ নম্বরের পরীক্ষা যার মধ্যে লিখিত নম্বর হচ্ছে ৫৫। শিক্ষাগত যোগ্যতা ৩৫ এবং মৌখিক পরীক্ষা ১০ নম্বরের। তাহলে আরটিআই এর উত্তরে কিভাবে লিখিত পরীক্ষায় ৫৯ বলা হলো, তা নিয়ে চিন্তিত ঋতু বেরা।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
তবে এই আরটিআই এর উত্তরের পরিপেক্ষিতে ঋতু বেরার আইনজীবী আশিষ বাবু জানান মামলার পরবর্তী শুনানি ২রা জানুয়ারি। তিনি ওইদিন আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। কিভাবে এসএসসির মত একটি নিরপেক্ষ সংস্থা তারা আরটিআই এর প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের আশ্চর্যজনক উত্তর কিভাবে দেন? উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ ‘রাজনীতিতে টিকে থাকতে গেলে তেল দিতেই হবে’ বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ
আইনজীবী জানান, পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ তা একেবারে যথাযথ। কারণ পরীক্ষার্থীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্ধকারে রেখেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আগামী ২রা জানুয়ারিতে সব কিছু নিয়েই বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে জানান তিনি।