ধর্মতলায় আন্দোলনের অধিকার শুধু মমতার, বাকি সবার জন্য নিষিদ্ধ

604
ধর্মতলায় আন্দোলনের অধিকার শুধু মমতার, বাকি সবার জন্য নিষিদ্ধ/The News বাংলা
ধর্মতলায় আন্দোলনের অধিকার শুধু মমতার, বাকি সবার জন্য নিষিদ্ধ/The News বাংলা

প্রশ্ন কিন্তু উঠছে? কলকাতার মেট্রো চ্যানেল শুধুই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেল এ আন্দোলনের অধিকার শুধু কি মমতার একার? অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। পরপর ঘটনা সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে, বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলও।

আরও পড়ুনঃ মমতার ধর্ণায় বসা পুলিশ অফিসারদের কড়া শাস্তি দিতে চলেছে মোদী সরকার

সোমবার কলকাতার ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসতে গিয়ে আটক হলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান-সহ কংগ্রেস কর্মীরা। ধৃত অবস্থানকারীদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, বিজেপির তরফ থেকেও মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসার আবেদন করা হয়েছে পুলিশের কাছে। যথারীতি সেই অনুমতি এখনও আসে নি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে হলেই অনুমতির তোয়াক্কা না করে ধর্ণায় বসে পড়েন মেট্রো চ্যানেলে। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, মেট্রো চ্যানেল কি মমতার একার? এখানে আন্দোলনের অধিকার কি শুধুই মমতার?

আরও পড়ুনঃ মমতার বাংলায় ১ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুকেশ আম্বানি

রাজ্যের বিভিন্ন চিটফান্ড কাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এর আগেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। সেই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবেই এদিনের মেট্রো চ্যানেলে অবস্থান। কিন্তু পুলিশ এসে আটক করে তাঁদের। গ্রেফতার হবার পর কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানের প্রশ্ন, “যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিন দিন ধরে মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসতে পারেন, তাহলে আমরা বসতে পারব না কেন”?

আরও পড়ুনঃ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এর বড় ঘোষণা, লোকসভা ভোটের আগে মধ্যবিত্তের মুখে হাসি

কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ ঘোষণায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে, অভিযোগ ছিল তৃণমূল নেত্রীর। তাঁর তিনদিনের ধর্ণার পর একে একে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপিও মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসবে বলে জানায়। কিন্তু কেউই এখনও অনুমতি পায় নি। এসব আলচনার মধ্যেই এদিন ধর্মতলার রাস্তায় বসে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। আটক করা হয় তাঁদের।

আরও পড়ুনঃ বাংলার জেলা এখন বোমার গোডাউন, জেলাতেই রাখা হচ্ছে সিআইডি বোম্ব স্কোয়াড

এদিন দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, পঙ্কজ পাঠক, যুবনেতা রোহন মিত্র প্রমুখ কংগ্রেস কর্মীদের নিয়ে ধর্মতলার রাস্তায় বসে পড়েন। চিটফান্ড কেলেঙ্কারির দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে এই ধর্ণায় বসে কংগ্রস। এরপর ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনী। আব্দুল মান্নান-সহ অন্যান্যদের পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তারপর ধৃত কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ রাহুলকে সরিয়ে লোকসভা ভোটে মোদী বিরোধী মুখ প্রিয়াঙ্কাই

আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, মমতার মত তাঁরাও চিটফান্ড কাণ্ড নিয়ে ধর্ণায় বসেছেন। পুলিশ তাঁদের জোর করে তুলে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তিন দিন ধরে ধর্ণায় বসতে পারেন তাহলে তিনি কেন বসতে পারবেন না? অন্যদিকে আবার রাজ্য বিজেপিও মেট্রো চ্যানেলে তিন দিন ধর্ণায় বসতে চেয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছে।

আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে হত্যা মামলা থেকে মুক্তি নরেন্দ্র মোদীর

মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসেছিলেন। এবার সেখানেই মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসতে চায় বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে অনুমতির জন্য কলকাতা পুলিশের কাছে ইমেল করা হয়েছে, চিঠিও পাঠান হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। জানা গিয়েছে, ২১, ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে ধর্ণায় বসতে চায় বিজেপি। সেইমত করা হয়েছে আবেদন। মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণার অনুমতি এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনঃ রথী মহারথীদের নাম লেখা ১২ পাতার গোপন চিঠি সিবিআইকে দিলেন কুণাল ঘোষ

তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু ৩ ফেব্রুয়ারি নগরপাল রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের হানা এবং তার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দলনে নামেন মমতা। রাজীব কুমারের বাড়ি থেকেই মমতা সোজা চলে যান ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে। সেখানে ধর্ণা শুরু করে দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান চিনের চিন্তা বাড়িয়ে ভারতীয় সেনার হাতে এল ভয়ঙ্কর চিনুক হেলিকপ্টার

এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথেই মেট্রো চ্যানেলে ধর্ণায় বসল কংগ্রেস, ধর্ণায় বসতে চায় বিজেপি। কিন্তু মমতা ছাড়া কারোর সেখানে বসার অনুমতি নেই। তাহলে মমতাকে কি করে অনুমতি দেওয়া হল? তাকে কেন আটক করা হল না? মমতার পাশে বসে রইলেন রাজ্য পুলিশের বড় কর্তারা। অপরাধ তো একই। তাহলে কি রাজ্যে মমতার জন্য আলাদা নিয়ম আর বাকিদের জন্য আলাদা আইন? বিরোধী প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন