কলকাতা পুলিশের তরফে; বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল শহর জুড়ে বিনা হেলমেটের বাইক ধরার অভিযান। পার্কসার্কাস, রাজাবাজার, মেটিয়াবুরুজ সহ শহরের নানা জায়গায়; পুলিশকে তৎপর থাকতে দেখা যায়; বিনা হেলমেটের বাইক ধরার অভিযানে। কিছু বিশেষ এলাকায় পুলিশ বিনা হেলমেটের বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না; বহুদিনের অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
বারবার শহরে বিনা হেলমেটের বাইক বাহিনীর হানাকে কেন্দ্র করে; ক্ষোভ বাড়ছিল শহরবাসির মনে। গত মঙ্গলবার রাতে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ঊষসী সেনগুপ্তকে; হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। কেন শহরের মধ্যে পুলিশের চোখের সামনে হেলমেট বিহীন বাইক আরোহী ঘুরে বেড়াবে; এই নিয়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
আরও পড়ুনঃ মুসলিম তোষণ না করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে খোলা চিঠি মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের
কেন বিশেষ কিছু এলাকায়; বিশেষ কিছু মানুষের জন্য আলাদা নিয়ম? প্রশ্নটা অনেকদিনের। অভিযোগ, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ সহ সংখ্যালঘু এলাকায়; হেলমেট বিহীন বাইক আরোহীদের জন্য কোন নিয়ম নেই। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। কিন্তু ধর্ম দেখে পুলিশের এমন আচরণ কেন?
এই ঘটনায়; সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ; কিন্তু পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঊষসী সেনগুপ্ত। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মূলত এই ঘটনার পড়েই শহর জুড়ে; চাপা প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পরতে থাকে। ব্যক্তি বিশেষে, পোশাক দেখে; বিনা হেলমেটের বাইক চালকদের পুলিশ কেন ধরে না; এই নিয়ে শুরু হয় প্রশ্ন।
আরও পড়ুনঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে, খলিল জিব্রান বানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
ঊষসী সেনগুপ্তের ঘটনার পরে; বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠে আসে একের পর এক অভিযোগ। অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্য লেখেন; “খিদিরপুর ও পার্ক সার্কাস এলাকার ছেলেরা, যাদের স্বাধীনতা আছে; তারা বিনা হেলমেটে এই শহরে জংলী কুকুরের মত ঘুরে বেড়ায়। আমি নিশ্চিত এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না”। এর সাথে রাজনীতির গভীর যোগ আছে বলেও লেখেন সাহেব।
আপাতত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহর জুড়ে; বিনা হেলমেটের বাইক ধরার অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু সাধারন মানুষের প্রশ্ন; ঠিক কতদিন ধারাবাহিক ভাবে চলবে এই প্রক্রিয়া? সব মানুষের জন্যই বাংলায় কি এক আইন হবে?