বাংলায় শান্তি পরিস্থিতি বজায় রাখতে ও অশান্তি থামাতে; হস্তক্ষেপ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। বৃহস্পতিবার রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলিকে; বিকেল ৪টেয় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজভবনে। বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বৈঠকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল; এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দিনকয়েক আগে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে; বৈঠক করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই বাংলার উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে; রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। যদিও সেটা সৌজন্য বৈঠক; বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। তারপরেই এই সর্বদলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন; কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
আরও পড়ুনঃ বিজেপির লালবাজার অভিযান ঠেকাতে কলকাতা পুলিশের ইলেকট্রিক শক
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে; কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরেই; এই বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন; “৩৫৬ ধারার জারি হতে পারে; দাবি উঠলে ভেবে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকার”। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ১২ জন মারা গিয়েছে; বলেও জানান রাজ্যপাল।
আরও পড়ুনঃ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল পুলিশ, বিজেপির লালবাজার অভিযানে ধুন্ধুমার
যদিও সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন; ভোট পরবর্তী হিংসায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে সেটাকে বাড়িয়ে ১২ বললেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন; আমি রাজ্যপালকে শ্রদ্ধা করি; রাজ্যপালের ভাষণকে সম্মান করি না।
আরও পড়ুনঃ কড়া পুলিশ পাহাড়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লালবাজারে তিন মহিলা বিজেপি কর্মী
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন; “রাজ্যপাল ডেকেছেন, আমাদের দলের প্রতিনিধিরা গিয়ে দেখা করবেন; কোনও অসুবিধে নেই”। বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারি করা উচিত কিনা এ প্রশ্নে অভিষেক বলেন; উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারা কেন জারি করা হবে না? সেখানে বেশি জরুরি নাকি বাংলায় জরুরি?
এদিকে রাজ্যে অরাজকতা চলতেই থাকছে; হাসপাতালে ডাক্তারদের উপরে আক্রমণ থেকে শুরু করে; শাসক ও বিরোধীদলের দাঙ্গা চলছেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতে সমস্ত দলকে নিয়ে বৈঠকে বসা জরুরি বলেই ম্নে করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক খুবই তাত্পর্যপূর্ণ; বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।