বিজেপির রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ঘোষের মতে; সহজ পাঠের জন্য বিখ্যাত বিদ্যাসাগর। অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারে বাড়ির বউদের পরকীয়া প্রেম; করতে বলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দুটি মন্তব্য নিয়েই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। হাসির খোরাক সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার দায় তৃণমূলের উপর চাপিয়ে; দিলীপ ঘোষ বলেন বলেন, “নিজেরাই মূর্তি ভেঙে নিজেরাই কান্নাকাটি করছে তৃণমূল। যার জন্য বিদ্যাসাগর বিখ্যাত, সহজপাঠ। আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়েছি। কিন্তু সিপিএম তা স্কুল থেকে সরানোর পর কি তৃণমূল তা আবার চালু করেছে?”
আরও পড়ুনঃ বিজেপি একাই পাবে ৩০০ আসন, প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী
আসলে রবীন্দ্রনাথ প্রণীত সহজ পাঠ ১ম ও ২য় ভাগ প্রথম প্রকাশিত হয় শান্তিনিকেতনে; ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে। বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণের দায়িত্বে ছিলেন শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই; হাসির ফোয়ারা ছুটছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারে প্রকাশ্যে মমতা বলেছেন, “আমি প্রেমের ব্যাপারে অনেক ফ্লেক্সিবেল, আমার ভাইয়ের বউকেও বলি প্রেম করতে। বাড়ির বউদের বলি প্রেম করতে”। আর মমতার পরকীয়া প্রেমের অনুমতি দেওয়া নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। রাজ্য জুড়ে পুরুষদের বউ সামলানোর পরামর্শ নেটিজেনদের।
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জনসভায় বলেছিলেন; “সীতা রামচন্দ্রের মা”। এবার নরেন্দ্র মোদীও বলেছিলেন, ১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা ও মেল ব্যাবহারের কথা। এবার সেই তালিকাতেই সংযোজিত হল দিলীপ ঘোষের নামও। দিলীপ ঘোষ দাবি করলেন; সহজ পাঠ বিদ্যাসাগরের লেখা।
ভোট বড় বালাই! ভোট পেতে কত কিছুই না করতে হয় নেতাদের। ভোট বলে কথা। সবচেয়ে বড় পেশা এই রাজনীতি। পেশা বাঁচাতে পাঁচ বছর অন্তর একটু দৌড়ঝাপ হয়; হোক না। আর তাতে যদি ইতিহসা-ভূগোল-সাধারণ জ্ঞান মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তাতেই ক্ষতি কি৷
নেতা নেত্রী বলে কথা। বাংলার নেতা রবীন্দ্রনাথের সহজ পাঠকে বিদ্যাসাগরের বলতেই পারেন। বাংলার নেত্রী বাড়ির বউদের পরকীয়া করার প্রকাশ্য পরামর্শ দিতেই পারেন। আর এতেই মজে আম বাঙালি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নেতা নেত্রীদের নিয়ে রসিকতা করেই খুশী বাঙালি।
তবু রাজনীতির ময়দানে নেমে শিক্ষিত বাঙালি; দেশের শাসনভার নেবে না। সেটা থাকবে এই নেতা নেত্রীদের হাতেই; এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।