হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর

523
হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর/The News বাংলা
হাসপাতাল কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে তলব রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর/The News বাংলা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে তলব করলেন; রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তবে মমতা যাবেন কিনা; তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন; “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাড়া পাইনি। তিনি এলে কথা হবে”। আহত পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে শুক্রবার দেখতে যান রাজ্যপাল।

এদিন এনআরএস হাসপাতালে আন্দোলনকারী; জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ছদফা দাবি পেশ করা হয়। তারা জানান; “মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস হাসপাতালে এসেই; ক্ষমা চাইতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন; আমরা পদবী দেখে চিকিত্সা করি। মুখ্যমন্ত্রীকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। তারপর আলোচনা”।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে, সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এন আর এস হাসপাতালে এসেই ক্ষমা চাইতে হবে; সাফ জানিয়ে দিল জুনিয়ার ডাক্তাররা। শুক্রবার সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালের; আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিলেন ডাক্তাররা।

নবান্নে কয়েকজন সিনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করার পর; মুখ্যমন্ত্রী মমতা নবান্নে ডেকে পাঠান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের। তাঁর বার্তা নিয়ে সন্ধ্যার পর নবান্ন থেকে এন আর এস হাসপাতালে যান; রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কিন্তু তাঁর মুখের উপর পরিষ্কার না বলে দিলেন এন আর এস হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তাররা।

এই ইস্যুতে ইস্তাফা দিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে ২০০ জন; এনআরএস হাসপাতালে ১০৭ জন; আরজিকর হাসপাতালে ১০৮ জন; উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১৯ জন; ন্যাশান্যাল মেডিক্যাল কলেজে ৩৫ জন; মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৫০ জন; মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩৬ জন; বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ২৪ জন; কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২৮ জন, এখনও পর্যন্ত তাদের ইস্তফাপত্র রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এছাড়াও রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতাল থেকে; একের পর ডাক্তারের পদত্যাগপত্র পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় যা অবস্থা; শনিবার থেকেই বাংলার সব সরকারি হাসপাতালে তালা ঝুলবে; বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এরপরেই উদ্যোগ নেন রাজ্যপাল।

মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারেননি রাজ্যপাল; এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিলেন না জুনিয়ার ডাক্তাররা। অন্যদিকে রাজ্যপালের ডাকেও কি সাড়া দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী?

Comments

comments

আপনাদের মতামত জানাতে কমেন্ট করুন