প্যানেল অগ্রাহ্য করে চলছে কাউন্সেলিং! এসএসসির জবাব তলব কলকাতা হাইকোর্টের। প্যানেলে নাম থাকা এক শিক্ষিকার মামলার জেরে এসএসসির জবাব চেয়েছে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।
শিক্ষক নিয়োগের এসএলএসটির পরীক্ষায় চুড়ান্ত প্যানেলে শিক্ষিকার নাম থাকার সত্ত্বেও কাউন্সেলিংয়ের সময় কিভাবে তাঁর নাম বাদ পড়ল? প্যানেল অগ্রাহ্য করে কাউন্সেলিং ছাড়াই কিভাবেই বা সাধারণ স্কুল এবং বালিকা বিদ্যালয় এই দুধরণের স্কুলের তালিকায় ওই শিক্ষিকার নাম অন্তর্ভুক্ত করল না স্কুল সার্ভিস কমিশন? এর কারণগুলো দর্শাতে বৃহস্পতিবার এসএসসিকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এসএসসির এই কাউন্সেলিং সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট আগামী ৫ই মার্চের মধ্যে এসএসসিকে আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ।
এদিনের শুনানিতে মামলাকারি অমৃতা ঠাকুরের পক্ষের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি আদালতে বলেন, “এসএসসির আইনের রুল ১২ অনুয়াযী চাকরিপ্রার্থীকে কোয়েড এবং গার্লস, এই দুধরণের স্কুলের নিয়োগ তালিকায় সুযোগ দিতে হবে, কিন্তু সেটা হয়নি”।
ওই প্রার্থীর অভিযোগ, পরীক্ষায় যারা তার চেয়ে কম নম্বর পেয়েছেন এবং চুড়ান্ত প্যানেলে নামও নীচের দিকে রয়েছে এইরকম প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হলেও তাঁর নাম বাদ পড়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, সাধারণ স্কুল এবং বালিকা বিদ্যালয় এই দুই ধরণের স্কুলের তালিকা থেকেও তাঁর নাম বাদ গিয়েছে।
তখন এসএসসির পক্ষের আইনজীবী সুতনু পাত্র বলেন, “লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এই প্রার্থী কম নম্বর পেয়েছেন”। তখন বিচারপতি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, এসএসসির রুলে এবিষয়ে কি বলা রয়েছে সেটা পেশ করুন। অবশ্য বিচারপতির এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি এসএসসির আইনজীবী।
উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এই প্রসঙ্গে রিপোর্ট তলব করে আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএলএসটির জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষকতার পরীক্ষা দেন অমৃতা ঠাকুর। পরীক্ষায় পাশ করার পর চুড়ান্ত প্যানেলে নাম ওঠে তাঁর। কিন্তু ওই প্রার্থীর অভিযোগ, তার চেয়ে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হলেও তাঁর নাম বাদ পড়েছে।
পাশাপাশি স্কুল বিভাজনের তালিকা থেকেও তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে এসএসসির দ্বারস্থ হলেও কোনও উত্তর না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই প্রার্থী। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মৌসুমি ভট্টাচার্যের সিঙ্গল বেঞ্চ প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন এসএসসির উত্তরে। তারপরেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্ত রিপোর্ট আগামী ৫ই মার্চের মধ্যে এসএসসিকে আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।