The News বাংলা, কলকাতা: ফের বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও তৃণমূল যুবার সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তৃণমূলের সভা থেকে জাতীয় সংগীত শুরু হবার ঘোষণার পরও, মঞ্চ থেকে নেমে গাড়ি চড়ে বেরিয়ে যান অভিষেক। অভিযোগ এমনই।
১৯ শে জানুযারি তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ। তার জন্য দিকে দিকে প্রচার চলছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রতিদিন চলছে জনসভা। ব্রিগেড থেকেই লোকসভা ভোটের দিক নির্দেশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রচার সভায় শুক্রবার শ্যামবাজারে উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল আয়োজিত সভায় বিতর্কে জড়ালেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ
বাংলায় দুর্গা পুজো বন্ধ করার চক্রান্ত করছে মোদীর বিজেপি, মারাত্মক অভিযোগ মমতার
আয়কর দফতরের নোটিশ, মাথায় হাত কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের
সভায় মমতাকে নেতাজীর সঙ্গে তুলনা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “৮০ বছর আগে যিনি দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন, তাঁর বাসস্থান ছিল দক্ষিণ কলকাতায়। আর আজকে যিনি দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন, তাঁর বাসস্থানও দক্ষিণ কলকাতায়। আগেরজনও কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। এবার দিল্লির ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তাঁর হাতে ৪২-এ ৪২টি আসন তুলে দিতে হবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য”।
তিনি আরও বলেন, “আবার এক বাঙালি দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন। নেতাজীর ডাকের ৮০ বছর পর আরও এক বাঙালি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি চলো ডাককে সফল করতে হবে। এদিন দেশরক্ষায় বিজেপি হটাওয়ের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক ভাবে বিজেপিকে হারাতে হবে। সেই লক্ষ্যেই ব্রিগেড সমাবেশ থেকে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউয়ে এখানেই এক জনসভা করেছিলেন মমতা। ঠিক সেই জায়গাতেই শুক্রবার জনসভা ছিল উত্তর কলকাতা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের।
আরও পড়ুনঃ
ভারতের কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে
জানা গেছে নেতাজি মূর্তির সামনে মমতার সেদিনের সেই ঐতিহাসিক জনসভা যাঁরা দেখেছিলেন, তাঁদের অনেকেই হাজির ছিলেন এদিনের অভিষেকের জনসভায়। তাদের অনেকের কাছেই জাতীয় সংগীতের শেষ হবার আগেই অভিষেকের এই মঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাটা বেশ দৃষ্টিকটু লেগেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যার এই সভায় উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে-সহ তৃণমূল নেতা নেত্রীরা। এদিনের প্রধান বক্তা ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এই তুলনায় হাততালির ঝড় বয়ে যায় সভাস্থলে। কিন্তু তারপরেই যখন মাইকে জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার ঘোষণা চলছে, তখন একটুও অপেক্ষা না করে মঞ্চ ছাড়েন তৃণমূল যুবার সভাপতি অভিষেক। মঞ্চে বসা নেতা, মন্ত্রী থেকে সভায় যোগ দেওয়া কর্মী-সমর্থক সকলেই এই ঘটনায় বেশ অবাক হয়ে যান। যখন জাতীয় সঙ্গীত চলছে, তখনই অভিষেক স্টেজ থেকে নেমে যান।
আরও পড়ুনঃ
সিবিআই থেকে দমকলে বদলি, প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন আইপিএস
ঘুষ নেবার দায়ে সিবিআই হাতে গ্রেফতার হবেন সিবিআই এরই স্পেশ্যাল ডিরেক্টর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব জনসভাতেই জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। সেখানে মমতা শুধু হাজির থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা নয়, নিজে গলা মেলান জাতীয় সংগীতের সঙ্গে। তাতেই অভস্ত্য তৃনমূল কর্মী, সমর্থক, নেতা ও মন্ত্রীরা অভিষেকের এই আচরণে বেশ অবাক হয়ে যান। মুখে কিছু না বললেও বেশ ক্ষুব্ধ হন বয়স্ক নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা।
অভিষেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে বলে বিষয়টা চাপা দেবার চেষ্টা করেন নেতারা। অভিষেক মঞ্চ থেকে নেমে নিচে দাঁড়িয়েই জাতীয় সংগীত গান বলেই জানিয়েছেন অভিষেক ভক্তরা।
কিন্তু ততক্ষণে ফিসফাস শুরু হয়ে যায় এলাকা জুড়েই। জাতীয় সঙ্গীতের জন্য আর কয়েকটা সেকেন্ড দাঁড়িয়ে যেতেই পারতেন অভিষেক, বলছেন তৃণমূল নেতা কর্মীরাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে কখনওই এই ঔদ্ধত্য দেখাতেন না বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারাই।
আরও পড়ুনঃ
একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে
মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী
মোদীর প্রকল্পে আর টাকা দেবেন না মমতা, কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে
অশ্লীল গালাগাল দেবার জন্যই যুবককে নিজেদের ব্যক্তিগত গ্রুপে যোগ করেন নন্দিনী
প্রকাশ্যে গ্রুপ চ্যাট রেকর্ডিং, জেলাশাসকের স্ত্রীর ভাষাও সমান অশ্লীল
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।