নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের দাবি ছিল রাজ্যের সব বুথই স্পর্শকাতর বুথ বলে ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু বিরোধীদের এই দাবি একেবারেই মানছে না কমিশন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলায় ৩০ শতাংশেরও কম বুথকে স্পর্শকাতর বুথ বলে ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুনঃ কংগ্রেসের ভোট প্রতিশ্রুতি মাওবাদী ও জিহাদিদের সুরক্ষিত করবে, বিস্ফোরক অরুণ জেটলি
বিরোধীদের দাবিই সার, রাজ্যে ৩০ শতাংশেরও কম স্পর্শকাতর বুথ! যদিও চুড়ান্ত নয় এই রিপোর্ট। ফাইনাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে প্রত্যেক দফার ভোটের দুদিন আগে। তখনই সরকারিভাবে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হবে, প্রত্যেকটি লোকসভা আসনের স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কত। এখনও পর্যন্ত জেলাগুলি থেকে যে রিপোর্ট রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর পেয়েছে তাতে বিরোধীদের দাবি পূরণ হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুনঃ ভোট প্রচারে হেলিকপ্টার পাচ্ছেন না মমতা, অভিযোগের তীর কেন্দ্রের দিকে
কমিশন সূত্র জানাচ্ছে, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন আসার পর নানা ইনডেক্স মিলিয়ে বেড়েছিল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা। সূত্র বলছে, সেটা দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৩০ শতাংশের আশপাশে। কিন্তু এখন গোটা রাজ্যের ক্ষেত্রে কমতে শুরু করেছে সেই ‘ডায়নামিক রিপোর্ট’। এবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে আসার পর সেই হিসাব আরও কমছে বলেই জানা গেছে। আর এই হিসাব অনুযায়ীই হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন।
আরও পড়ুনঃ হুমকি দিয়ে ভোট চাইবার ভিডিও প্রকাশ্যে, মিমির হয়ে শাসানি পঞ্চায়েত প্রধানের
লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা কলকাতায় বলে গিয়েছিলেন, এ রাজ্য আবেগময়! হয়তো বা সেই কারণেই এ রাজ্যে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস ধুলিমাখা স্মৃতি নয় মোটেই। কথা সত্যি করে, এবার লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার একপক্ষ কালের মধ্যেও তেমন কোনও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুনঃ ৩.৬২ কোটির কর ফাঁকি দেওয়ায় গিলানীর দিল্লির বাড়ি সিল করল আয়কর দপ্তর
যদিও বিরোধী বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের দাবি ছিল, এ রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করতে হবে। সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের মাধ্যমে যে লিস্ট পাওয়া গেছে তাতে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা গত বিধানসভা নির্বাচনের থেকে কম হতে চলেছে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় স্পর্শকাতর বুথের শতাংশ ছিল ৫০ শতাংশ এরও কম।
আরও পড়ুনঃ জম্মু কাশ্মীরের জন্য আলাদা প্রধানমন্ত্রী, মোদী জবাব চাইলেন রাহুল ও মমতার কাছে
যেটা ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় আরও প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়। এবার লোকসভা নির্বাচনে যা পরিস্থিতি, তাতে এখনও পর্যন্ত সেই শতাংশ বাড়ার কোনো ইঙ্গিত নেই। বরং কমছে। ২০১৪ সালে ভোট ঘোষণার আগে থেকেই যে পরিমাণ অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না বলে রিপোর্ট এসেছে জেলা থাকে।
আরও পড়ুনঃ শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য রাজ্য সরকারের সাহায্য চাইলেন কমিশনের পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। শুধু তাই নয় অভিযোগের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ২০১৬ সালের থেকে অনেকটাই কম বলে সূত্রের খবর। শেষ পর্যন্ত রাজ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার। কারণ সেই সূত্র ধরেই মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর এই খবর যে বিরোধীদের উদ্বেগ যে আরও বাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ মোদী স্পেশাল, ব্রিগেডে আসার জন্য চারটে আস্ত ট্রেন বুক করল বিজেপি
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।