বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক রায়; চাকরি গেল পরেশ কন্যা অঙ্কিতার। পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী; স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত। আর সে নিজেকে শিক্ষিকা হিসাবে পরিচয় দিতে পারবে না। এমনকি হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে; এতদিনের সমস্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে; চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ; তাঁকে এ যাবৎ দেওয়া সমস্ত বেতনও ফেরত দিতে হবে। দুটি কিস্তিতে ওই টাকা ফেরাতে হবে অঙ্কিতাকে।
ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতাকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত; বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের। দুটি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকা; নির্দেশ হাইকোর্টের। বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা; ফেরত দিতে বলা হয়েছে। দুটি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে বেতনের সমস্ত টাকা; নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুনঃ বড় বিপদে রাজ্য সরকার, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ৩ মাসের মধ্যে ডিএ দিতে হবে
অঙ্কিতার বিরুদ্ধে বাবার প্রভাব খাটিয়ে; অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেন ববিতা সরকার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধা তালিকায়; অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, প্রথম মেধাতালিকায় প্রথম ২০তে নাম না থাকা অঙ্কিতাকে; দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় অবৈধ ভাবে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে।
ওই মেধাতালিকার ২০ নম্বরে যে এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম ছিল; তাঁর থেকেও ১৬ নম্বর কম পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। যেখানে ২০ নম্বরে থাকা পরীক্ষার্থী ববিতার নম্বর ছিল ৭৭। অঙ্কিতার নাম মেধাতালিকায় ঢোকানোয়; ববিতা চাকরির সুযোগ হারান। এরপরেই তিনি চাকরির দাবিতে মামলা করেন; কলকাতা হাইকোর্টে।
অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে; বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেণ; নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে; প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন; দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই। লজ্জার অন্ধকারে ডুবল মা মাটি মানুষের সরকার; রায় শোনার পরে বলছে বিরোধীরা।