বাংলাতেও মোদী ঝড় বা গেরুয়া ঝড়। কোন ১০ টি কারণে; বাংলায় ভরাডুবি হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের।
১। মমতার সংখ্যালঘু তোষণ এই হারের অন্যতম কারণ; বলে মনে করছে অনেকেই। ইমাম ভাতা থেকে শুরু করে; মহরমের জন্য দুর্গাপুজোর ভাসান বন্ধ করে দেওয়া হিন্দুদের ক্ষিপ্ত করেছে; বলেই মনে করা হচ্ছে।
২। লাগামছাড়া দুর্নীতি; মমতার হারার অন্যতম কারণ। রাজ্যের প্রত্যেক জেলাতে বিভিন্ন প্রকল্প; সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর আগে নেতাদের হাতে পড়েছে। কেউ টাকার বিনিময়ে পেয়েছে; কারোর আবার সবটাই মেরে দিয়েছেন নেতারা।
৩। আবাস যোজনার বাড়ির টাকা থেকে শুরু করে; নির্মল গ্রামের পায়খানা তৈরির টাকাও গেছে স্থানিয় নেতাদের পকেটে। মমতার বিভিন্ন প্রকল্প থেকেই দুর্নীতি করেছেন তৃণমূল নেতারা; এমনটাই অভিযোগ।
৪। নেতাদের দাদাগিরি; তাদের আসন কমিয়ে দেবার পিছনে অনেকটাই দায়ি। সিপিএম নেতাদের দাদাগিরি বন্ধ করতে; মানুষ ক্ষমতায় এনেছিল তৃণমূলকে। কিন্তু কোন পরিবর্তন হয়নি। এখন সেই দাদাগিরি শুরু করেছে; তৃণমূল নেতারাই।
৫। পঞ্চায়েতে ভোট দিতে না দেওয়া; মানুষ একেবারেই মেনে নেয়নি। লোকসভা ভোটে সুযোগ পেয়েই; তৃণমূলের দাদাগিরি শুধরে দিল মানুষ; মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
৬। রাজ্যকে বিরোধী শুন্য করার মমতার প্রচেষ্টা ব্যাকফায়ার করেছে; মনে করছে অনেকেই। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১৬ সালে; মানুষ ক্ষমতায় বসায় তৃণমূলকে। তারপরেও মমতা বাম ও কংগ্রেস নেতাদের দলে নিয়ে বিধায়ক, সাংসদ করেছেন। যা মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল নেতারাও।
৭। মমতার সঙ্গে বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা পুরনো নেতারা; চলে গেছেন পিছনের সারিতে। লোকসভা ভোটে সুযোগ পেয়েই; মমতার বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভ মিটিয়েছেন তৃণমূলেরই সেই পুরনো অংশটা।
৮। মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে; ভারতীয় সেনার বিরোধিতা করা; সাধারণ মানুষ একেবারেই মেনে নেননি। বালাকোট হামলার পর সেনার বিমান হামলার প্রমাণ চেয়ে; মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন মমতা।
৯। মোদীর বিরোধিতা করার জন্য তিন তালাকের বিরোধিতা করা; মুসলিম মহিলারা মেনে নেননি। মুসলিম মহিলাদের ভোট পাননি মমতা।
১০। সবশেষে জয় শ্রী রাম বলাতে বিজেপি সমর্থকদের জেলে পাঠান; রাজীব কুমার ও সিবিআই সংক্রান্ত বিষয়ে মমতার অযথা আন্দোলন; আর সবার আগে, ভাইপো অভিষেকের ব্যবহার; দলিয় কর্মী বা মানুষ একেবারেই মেনে নেয়নি।