মোমিনপুর, একবালপুর থানায় চলল, একটি বিশেষ ধর্মের মানুষের তাণ্ডব। ভাঙা হল হিন্দুদের গাড়ির দোকান। ভাঙা হল দুর্গা পুজো শেষ হয়ে যাবার পরে, রয়ে যাওয়া প্যান্ডেলের বাঁশের কাঠামো। শনিবারের হামলার পরে, রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে ফের চলল তাণ্ডব। বাংলার কোন মিডিয়া, সে খবর দেখায়নি। এই তিন এলাকায় কোন রিপোর্টার পাঠাবার সাহস দেখায়নি, বাংলার কোন মিডিয়া। ইউক্রেনে প্রতিনিধি পাঠাতে পারলেও, অফিসের কাছে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কোন প্রতিনিধি পাঠাবার সাহস কেউ দেখায়নি।
আরও পড়ুনঃ অক্টোবর ১০, লক্ষ্মী পুজোর দিন শুরু হয়েছিল নোয়াখালীর ‘হিন্দু নি’ধন’ যজ্ঞ
মোমিনপুর এলাকায়, একবালপুর থানায় তাণ্ডবের ঘটনায়, ব্যবস্থা নিতে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যের রাজ্যপালকে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, সৈয়দ ইশতিয়াক আলম টুইট করে জানাচ্ছেন, এইসব হামলার পিছনে কারা আছে, এই নামগুলো নিয়ে তদন্ত করুক কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন।
সৈয়দ ইশতিয়াক আলম নিজের টুইটে অভিযোগ করেছেন, ১। গোলাম আশরফ, Phoenix Group এর মালিক ২। রেহান খান, তৃণমূল কাউন্সিলর সামস ইকবালের জামাই ও ৩। শাহবাজ আলম, ফিরহাদ হাকিমের ঘনিষ্ঠ, এই তিনজন এই পরিকল্পনার তাণ্ডবে জড়িত। তিনি নিজের অভিযোগ টুইটে জানিয়ে ট্যাগ করেছেন, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে।
কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে, আদৌ কোন তদন্ত হবে কি? নাকি মোমিনপুর এলাকায়, একবালপুর থানায়, এইভাবেই ছিটেফোঁটা টিকে থাকা হিন্দুদের বারবার ভয় দেখানো হবে? তাদের উপর তাণ্ডব হবে বারবার? লক্ষ্মীপুজোর সময় কি নোয়াখালীর ঘটনা আর একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল হিন্দুদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
]]>এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের, ৯ নভেম্বরের মধ্যে চাকরি ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। না হলে বড় পদক্ষেপ করা হবে বলেও, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। অন্যদিকে, দুর্নীতি করে চাকরি পেলেও, তাদের ছাঁটাই করতে চায় না রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প, বেআইনি বলে বাতিল
বুধবার সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কারোর চাকরি খেতে চায় না। কারণ তাঁদের চাকরির সঙ্গে, পরিবারের সদস্যদের আবেগ জড়িয়ে আছে। যে সমস্ত নিয়োগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে সেই চাকরিও রক্ষা করতে চাই। অতীতে গোলমাল করেও যদি কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, তাঁদেরও চাকরিও রক্ষা করতে চায় রাজ্য”।
স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যে, চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। “কেন দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করতে চায় না রাজ্য সরকার”? প্রশ্ন বিরোধীদের।
]]>সিঁদুরে মেঘ দেখতে পেয়েছে ভারত সরকার। ‘অপারেশন অক্টোপাস’, দেশজুড়ে পিএফআই এর দফতরে ফের হানা দিল এনআইএ। ২২শে সেপ্টেম্বর ও ২৭শে সেপ্টেম্বর, দেশ জুড়ে ১৫-১৭টি রাজ্যে এদের দফতরে হানা দেয় এনআইএ। দুদিন দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই বা PFI এর নানান দফতরে তল্লাশি চালায় এনআইএ বা ন্যাশান্যাল ইন্টলিজেন্স এজেন্সি বা NIA।
এই বিষয়ে আরও পড়ুনঃ ‘অপারেশন অক্টোপাস’, দেশজুড়ে পিএফআই এর দফতরে ফের হানা দিল এনআইএ
মঙ্গলবার দিল্লি থেকে আটক করা হয়েছে, সমাজকর্মী শাহিন কওসরকে। শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের, অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন এই কওসর। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনেও, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, অসম, গোয়া, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গায় তল্লাশি চলেছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৭৫০ জনকে আটক করা হয়েছে, এই দুদিনের রেডে।
এই বিষয়ে আরও পড়ুনঃ ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিএফআই
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, PFI-এর শাখা সংগঠন, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (RIF), ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (CFI), অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল (AIIC), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (NCHRO), ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন কেরলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, PFI এবং তার সহযোগী ও শাখা সংগঠনগুলিকে বেআইনি ঘোষণা করা হল। UAPA-র আওতায়, ‘বেআইনি’ ঘোষিত হল ওই সংস্থা। কেন্দ্রের দাবি, PFI ও সহযোগী সংগঠনগুলি বেআইনি কাজকর্মে যুক্ত ছিল, যা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। তাদের দ্বারা দেশের অন্দরে শান্তি এবং সা’ম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
]]>খুব শীঘ্রই দেশের ২০টি প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপরে হবে, ডেঙ্গি ভ্যাকসিনের এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। কলকাতায় যার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ব্যবস্থা করবে নাইসেড। সূত্রের খবর, ডেঙ্গি ভ্যাকসিনের, এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলবে টানা ২ বছর ধরে।
আরও পড়ুনঃ কচুরিপানা, কাশফুল থেকে কেটলি, বাংলার যুবকদের নতুন ব্যবসার সন্ধান দিলেন মমতা
উদ্বেগ বাড়িয়ে, রাজ্য জুড়ে ও কলকাতায় পুজোর মুখে বাড়ছে, ‘ডেঙ্গি ৩’ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে আশার খবর হল এই যে, শীঘ্রই দেশ জুড়ে ডেঙ্গি ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে। সূত্রের খবর, ২ ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে, ডেঙ্গি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করবে আইসিএমআর (ICMR)। সারা দেশে ২০টি প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর, হবে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ।
কলকাতাতেও এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের ব্যবস্থা করবে নাইসেড কর্তৃপক্ষ। মোট ৫০০জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে, ২৫০জনকে দেওয়া হবে ডেঙ্গি ভ্যাকসিন। নাইসেডের অধিকর্তা শান্তা দত্ত বলেছেন, “৫০০ জনের মধ্যে ২৫০ জন ডেঙ্গি ভ্যাকসিন পাবেন। বাকি ২৫০ জনকে, দেওয়া হবে প্ল্যাসিবো। যে স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেবেন, তাঁদের ডেঙ্গি অ্যান্টিবডি আছে কি না দেখে নেওয়া হবে”।
]]>এদিন মমতা বলেন, “দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুল-গুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি হতে পারে। চা-বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজার ব্যবসা করুন, পুজো আসছে, দিয়ে কুলোতে পারবেন না”। খড়গপুরের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বললেন, কচুরিপানা ও কাশফুল দিয়েও জিনিস তৈরির কথা। মমতা বলেন, “কচুরিপানা শুকিয়ে ব্যাগ তৈরি হচ্ছে, খাবার থালা তৈরি হচ্ছে, ভাবতে পারছেন আমরা কতটা এগিয়ে আছি। দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে লেপ, বালিশ তৈরি করতে পারেন”।
আরও পড়ুন; লজ্জায় শিক্ষা, ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময়
চপের পর কাশফুল, এবার কচুরিপানা শিল্প! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে এবার, এরকমই পরামর্শ দিতে দেখা গেল রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের। এর আগে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী, বিভিন্ন অদ্ভুত শিল্প বা কাজের সন্ধান দিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মমতা বিভিন্ন মূল্যবান গাছের পাতা তুলে, সেগুলিকে রফতানি করার কথা বলেছিলেন। এছাড়া মমতার চা-মুড়ি থেকে, চপ-তেলেভাজা শিল্প তো আছেই।
]]>মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা, ওই জ’ঙ্গির নাম হাসনাত শেখ। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে, ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে দেশ-বিরোধী কার্যকলাপের, অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এ রাজ্যে সে নিষিদ্ধ জ’ঙ্গি সংগঠন আল-কায়’দার হয়ে কাজ করছিল। হাসনাতকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন; লজ্জায় শিক্ষা, ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময়
মালদার সুজাপুরে প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট্ট বাড়ি, সেখানেই বেড়ে ওঠা হাসনাতের। এলাকায় মেধাবী-ছাত্র হিসাবেই পরিচিত। সকলের মুখে-মুখে ফেরে, ‘ভাল ছেলে’ মন্তব্য। আর সেই ছেলেই কিনা, আল-কা’য়দা জ’ঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের জালে ধরা পড়েছে। মানতেই পারছেন না, ধৃত হাসনাত শেখের পরিবার, প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে হাসনাত। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে পাড়ি দেয় সে। এসটিএফের দাবি, সেখানেই ভারতের আল-কা’য়দা জ’ঙ্গি সংগঠন ‘আকিস’-এর নেতারা তার মগজধোলাই করে। বাংলাদেশি আকিস জ’ঙ্গি ফয়জল আহমেদ ওরফে শাহিদ মজুমদারকে জেরা করে তার সন্ধান মেলে।
]]>ডেঙ্গির প্রকোপের মধ্যেই, এবার রাজ্যে হানা ডেঙ্গি-থ্রির। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নাইসেডে, ডেঙ্গি আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করা চলছে। চলতি-মাসে পাঠানো ৫০টি নমুনার মধ্যে, ৩৫টিতেই ডেঙ্গি-থ্রি ধরা পরেছে। গতমাসে পাঠানো ৫০টি নমুনার মধ্যে, ২০টিতেই ডেঙ্গি-থ্রি ধরা পরেছিল। আক্রান্তদের বেশিরভাগই, ডেঙ্গি-থ্রি ভাইরাসের কবলে পড়েছেন।
আরও পড়ুন; “মমতার চাকরির অফার লেটার দুর্নীতি”, রাজ্য সরকার কোম্পানির লেটারহেড জাল করেছে
রাজ্যে ডেঙ্গি-থ্রি-র দাপট বাড়ছে, সংক্রমণ লাগামছাড়া। কিছুদিন ধরেই কলকাতায় ও রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য-দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই, কড়া সতর্কতা জারি হয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ডেঙ্গি আক্রান্তের প্লেটলেট না কমলেও, সতর্ক থাকতে হবে। আটদিন পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের প্লেটলেটের দিকে, কড়া নজর রাখার নির্দেশ।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সামান্য বমি, মাথা-ঘোরার উপসর্গ দেখলেই, সঙ্গে-সঙ্গে রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, শ্রীরামপুর, বিধাননগর, বালি, হাওড়া-তেও নজরদারি চলছে। নতুন করে ৫৩৭জন ডেঙ্গি-আক্রান্ত, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৫জন, জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
]]>বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, নানানভাবে শুভেন্দুকে শায়েস্তা করতেই বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ, নবান্ন অভিযানে গতকালের পুলিশের প্ল্যানটা তারই অঙ্গ। ঠিক ছিল শুভেন্দুকে বিদ্যাসাগর সেতুর আগেই আটকাতে হবে। তাঁকে মহিলা পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হবে। ‘প্রভোক’ করা হবে যাতে শুভেন্দু উত্তেজিত হয়ে, হাত চালান। উত্তেজিত হয়ে হাত চালালেই, ৩৫৪ ধারায় অভিযুক্ত করে এফআইআর করা হবে।
আরও পড়ুন; “বিচারব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে সাহায্য করছে”, আদালতকেও দাগিয়ে দিলেন অভিষেক
অভিযোগ, পুরো দায়িত্বে রাখা ছিল, এক সংখ্যালঘু মহিলা আইপিএস-কে। সঙ্গে প্রায় ২০ জন মহিলা কনস্টেবল ও সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিলেন প্রথম বৃত্তে। তারপরে জেনারেল পুলিশ, পরের বৃত্তে ছিলেন আরও মহিলা পুলিশ। পুরো এলাকা কর্ডন করে ছিল, তিনটি থানার পুলিশ। শুভেন্দু স্পটে এলেই, তাঁকে বৃত্তে বন্দী করবেন মহিলা বাহিনী। ঠিক সেই মাফিক পুরো অপারেশন, অপারেট শুরু করেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। শুভেন্দুর হাত ধরে টানাটানি শুরু করেন, এক মহিলা পুলিশ অফিসার। সেই ছবিও মিডিয়ার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
বুদ্ধিমান শুভেন্দু অধিকারী যে ছকটা ধরে ফেলবেন, সেটা বোঝেনি কলকাতা পুলিশ। পুলিশের পরিকল্পনা সফল হবার আগেই, সেটা নিয়ে চিৎকার করেন শুভেন্দু নিজেই। তখনই তিনি বলেন, “আমার গায়ে হাত দেবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ”। শুভেন্দুকে এইভাবে ফাঁসানোর পরিকল্পনা, ফেল করে কলকাতা পুলিশের। ফাঁসাতে না পেরে শুভেন্দুকে, শেষপর্যন্ত অ্যারেস্ট করা হয়। শুভেন্দুর কথায় সায় দিয়ে, সব বিজেপি নেতাই এখন এই অভিযোগ করছেন। তবে রাজ্য প্রশাসন বা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে, এখনও এই নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে তৃণমূল নেতারা বলেছেন, “মনগড়া গল্প বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী”।
]]>২০১৭ অক্টোবর, উত্তরবঙ্গের লেবং সংলগ্ন টুকভার জঙ্গলে বিমল গুরুং-এর লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে, ভোরে অভিযান শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এর একটি দল। জঙ্গলে পুলিশ দেখে পাল্টা গুলি চালায়, গুরুং-এর সঙ্গে থাকা দলবল। ঘটনাস্থলেই গুলি লেগে, মারা যান পুলিশের এসআই অমিতাভ মালিক। ঘটনার পরেই এলাকায় পাঠানো হয় আরও পুলিশ বাহিনী। তল্লাশি উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি একে ৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক। সেই বিমল গুরুং কলকাতায় বসে, পুলিশের নাকের ডগায় বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে গেছে। আর এখন তৃণমূলের সহযোগী, রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলাই তুলে নিয়েছে।
আরও পড়ুন; “আমি থাকলে মাথায় গুলি করতাম, পুলিশ সংযম দেখিয়েছে”, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
অন্যদিকে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের, সদস্য হয়েছেন ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি মাহাতো। আর তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক, হয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। লালগড়ে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুন ও ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটক ও হামলার ঘটনার তিনিই প্রধান অভিযুক্ত।
]]>বুধবার আদালতে ইডির আইনজীবীরা জানান, ‘পার্থ-অর্পিতার প্রায় ১০০ কোটি টাকার, সম্পত্তির হদিশ মিলেছে’। কিন্তু এই সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই, বলে দাবি করেছেন পার্থ। তিনি বলেছেন, “ইডি আধিকারিকরা আমার বিধানসভা কেন্দ্রে এসে দেখুন, আমি কে, আমার পরিবার কী, এত টাকা নিয়ে আমি কী করব? কোথা থেকে আসবে এত টাকা?” এরপরই আদালতে কেঁদে ফেলেন, তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। ধরা-ধরা গলায় তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আমাকে ঘরে আটকে রাখুন। বাড়িতে বন্ধ করে রাখুন। কিন্তু আমাকে বাঁচতে দিন। আমাকে জামিন দিন”।
আরও পড়ুন; “আমি থাকলে মাথায় গুলি করতাম, পুলিশ সংযম দেখিয়েছে”, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে বিচারপতি জানান, “আপনার পরিচিতের ফ্লাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেল, আপনাদের দুজনের নামে যৌথ সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক, আর আপনি কিছুই জানেন না, এটা বিশ্বাস করা যায়”?
]]>