জুলাইয়ে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করে, বাংলাদেশী জ’ঙ্গি সংগঠন ও ভারতীয় আল কায়েদার নেতা ফয়জল আহমেদকে। বাংলাদেশ থেকে পলাতক ওই জ’ঙ্গির ফাঁ’সির আদেশও জারি করেছে বাংলাদেশের আদালত। চোরাপথে এই রাজ্যে প্রবেশ করে, পরিচয় বদলে শহিদ মজুমদার নাম নিয়ে সে চলে যায় বেঙ্গালুরুতে। বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে এসটিএফের গোয়েন্দারা তদন্ত করতে শুরু করেন। সেই নাম্বারটি ছিল বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা শহিদ মজুমদারের। তদন্ত করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন যে, ওই শহিদ মজুমদারই আসলে এবিটি তথা আল কায়েদা জ’ঙ্গি নেতা ফয়জল আহমেদ।
আরও পড়ুনঃ বাংলার মিডিয়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ দেখায়, মোমিনপুর, মেটিয়াবুরুজ দেখাতে পারে না
ফয়জলকে জেরা করেই হাসনত শেখের সন্ধান মেলে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের জেরার মুখে হাসনত স্বীকার করে যে, বাড়িতে সে লুকিয়ে রেখেছে আকিস বা আল কায়েদার কার্যকলাপের বহু নথি, যেগুলি একটি পেন ড্রাইভেই বন্দি রয়েছে। এসটিএফ আধিকারিকরা হানা দেন মালদহের কালিয়াচকে সুজাপুর এলাকার নাজিরপুর গ্রামে তার বাড়িতে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ওই পেন ড্রাইভ।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, কলকাতার আশপাশের কয়েকটি জেলায় মডিউল তৈরি করেছে আল কায়েদার জ’ঙ্গিরা। ওই পেন ড্রাইভ থেকে ভারতের কোন রাজ্যে কতজন যুবককে, ভারতীয় আল কায়েদা জ’ঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হয়েছে, বা দেশের বাইরে কোনও জায়গায় পাঠানো হয়েছে কি না, সেই তথ্য জানা চেষ্টা হচ্ছে। বেশ বিপদে বাংলা।
]]>মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা, ওই জ’ঙ্গির নাম হাসনাত শেখ। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে, ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় এনে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি আদালতে জানান, ধৃতের বিরুদ্ধে দেশ-বিরোধী কার্যকলাপের, অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এ রাজ্যে সে নিষিদ্ধ জ’ঙ্গি সংগঠন আল-কায়’দার হয়ে কাজ করছিল। হাসনাতকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন; লজ্জায় শিক্ষা, ভুয়ো নিয়োগপত্রে সই করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময়
মালদার সুজাপুরে প্রত্যন্ত গ্রামে ছোট্ট বাড়ি, সেখানেই বেড়ে ওঠা হাসনাতের। এলাকায় মেধাবী-ছাত্র হিসাবেই পরিচিত। সকলের মুখে-মুখে ফেরে, ‘ভাল ছেলে’ মন্তব্য। আর সেই ছেলেই কিনা, আল-কা’য়দা জ’ঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের জালে ধরা পড়েছে। মানতেই পারছেন না, ধৃত হাসনাত শেখের পরিবার, প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে হাসনাত। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য, উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে পাড়ি দেয় সে। এসটিএফের দাবি, সেখানেই ভারতের আল-কা’য়দা জ’ঙ্গি সংগঠন ‘আকিস’-এর নেতারা তার মগজধোলাই করে। বাংলাদেশি আকিস জ’ঙ্গি ফয়জল আহমেদ ওরফে শাহিদ মজুমদারকে জেরা করে তার সন্ধান মেলে।
]]>নকল টাকা ছাপার কারখানায় হানা দিয়ে, চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসারদের। তাঁর দেখেন, সেখানে জালনোট ছাপাচ্ছেন একাধিক কর্মী, রয়েছে বড়-বড় মেশিন ৷ রীতিমতো গান চালিয়ে টাকা ছাপানো হচ্ছে সেখানে, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর জালনোট। উদ্ধার হয়েছে একাধিক ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, কালার প্রিন্টার, কাঠের একাধিক মেশিন।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল আমলে বাংলার শিক্ষা, ‘চাকরি চুরি’ কাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়, উপাচার্যর বাড়িতে সিবিআই হানা
ধৃতরা বড়সড় জালনোট পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত, বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে জালনোট পাচারের, নতুন একটি রুট সম্পর্কে তথ্য এসেছে। বাংলাদেশ থেকে এই নতুন রুটে, কলকাতায় জালনোট আসছে। নেপাল থেকে পানিট্যাঙ্কি-সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে, চোরাপথে জালনোট ঢুকছে। তবে খাস কলকাতায় এরকম জালনোট ছাপানোর কারখানা, চমকে দিয়েছে পুলিশ আমজনতা সবাইকেই।
]]>