বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ওই ৫৪ জনকে চাকরিতে বহাল করতে হবে। এর আগেও আরও ২৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে পুজোর আগেই, রাজ্যকে সারতে হবে মোট ৭৭ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতের জন্য রাখা শূন্যপদ থেকে নিয়োগ করতে হবে, নিয়োগের সময়সীমাও বেঁধে দিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ শিউরে উঠল বাংলা, অপহরণের পরে ২ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নৃ’শংসভাবে খু’ন
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব পুজোর আগেই আদালত নিয়োগের নির্দেশ দেওয়ায়, স্বাভাবিকভাবেই খুশি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা জানান, তাঁদের একটাই ভয় ছিল, বয়স পার হয়ে যাবে। অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে মামলাকারীদের। পাঁচ বছর লড়াই করার পরে, চাকরি পাবেন এই যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। ফের লজ্জার অন্ধকারে ডুবল রাজ্য, সামনে এল রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অপদার্থতার নজির।
]]>প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে, ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। অর্থাৎ হিসাব বলছে, এর জন্য রাজ্য সরকারের আনুমানিক খরচ ২৫৮ কোটি টাকা। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও, সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য ডিএ দিতে পারেনি সরকার। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বারবার অভিযোগ তুলে বলেছেন, কেন্দ্র বকেয়া মেটাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে কেন পুজো কমিটিগুলিকে, ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
আরও পড়ুনঃ কেষ্টদা সিবিআই হেফাজতে, বোলপুরে বন্ধ হল তৃণমূলের কোটি টাকার অবৈধ কারবার
রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে ফুঁসছে সাধারন মানুষও। তাই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল একটি জনস্বার্থ মামলা। বুধবার করা জনস্বার্থ মামলাটি দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দ্রুত শুনানির আর্জিও করা হয়েছে উচ্চ আদালতের কাছে। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা। অনুদান কি বন্ধ হয়ে যাবে? প্রশ্ন পুজো উদ্যোক্তাদের।
]]>কি জানিয়েছেন সাংবাদিক সুদীপ্ত সেনগুপ্ত? জানিয়েছেন, ইউনেস্কোর সঙ্গে যাবতীয় যোগাযোগ করেন গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতা। ইউনেস্কোর ফর্ম-ফিলাপ থেকে দুর্গাপুজোর ভিডিও পাঠানো, মেল পাঠিয়ে সব জানানো, সবটাই করেছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিস ইন সোশ্যাল সায়েন্সের ডাইরেক্টর-প্রফেসর তপতী গুহ ঠাকুরতা। তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রফেসরও ছিলেন। ২০০৩ সাল থেকে তিনি দুর্গা পুজো নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি থেকে সামান্য গ্রান্ট নিয়ে তিনি এই গবেষণা শুরু করেন। এরপর তিনি ইউনেস্কোর একটি ফর্ম ফিলাপ করেন। ২০টি ছবি ও ১টি ভিডিও দিয়ে তিনি, ইউনেস্কোর ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। তারপরেই, আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পায়, কলকাতার দুর্গা পুজো। যার পিছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তপতী গুহ ঠাকুরতার। হ্যাঁ, রেড রোডে কার্নিভ্যালের আয়োজন করার কৃতিত্ব অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের।
]]>