বিদ্যুবরণ গায়েন আসলে কে? তাঁর সঙ্গে অনুব্রতর পরিচয়-ঘনিষ্ঠতা হল কীভাবে? এইসব অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিদ্যুৎবরণের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল, সিবিআই আধিকারিকেরা। বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে, অনুব্রত ও সুকন্যা ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে আটক করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎবরণের বাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায়, তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তাদের হাতে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি।
আরও পড়ুনঃ গরু পাচারের পর, কয়লা কাণ্ডেও জুড়ল অনুব্রত মণ্ডলের নাম
২০১১ সালের আগে রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত, এই বিদ্যুৎবরণ গায়েন বোলপুর পুরসভায় একজন অস্থায়ী কর্মী ছিল। পুরসভার গাড়ির খালাসির কাজ করত সে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই, বাড়তে থাকে তার প্রতিপত্তি। বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত ও সুকন্যার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ-ভাবে দেখা গেছে তাকে। বোলপুরের তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে, অনুব্রত মণ্ডলের ঠিক পাশেই বসত এই বিদ্যুৎবরণ গায়েন।
]]>অন্যদিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘গরু পাচারের পর এবার কয়লা কাণ্ডেও, নাম জড়িয়েছে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। বীরভূমের অন্যতম কয়লা মা’ফিয়া, শরাফত হোসেনের নাম প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। খয়রাশোলের বাসিন্দা শরাফত, কয়লা পাচার বাবদ কেষ্টকে মাসে ৫ কোটি টাকা নজরানা দিত বলে জানা গিয়েছে। কয়লা ছেড়ে যখন সে বালির অবৈধ ব্যবসা শুরু করে শরাফত, তখনও সে মোটা অঙ্কের টাকা কেষ্টকে দিত বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গরু পাচার মামলায়, জেল হেফাজতে পাঠানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে
বুধবার আদালত অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসানসোলের জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। গরু পাচারের পর এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাদের নজর অনুব্রত মণ্ডলের কয়লা পাচারের আয়ের দিকে। গরুর পর গোয়েন্দাদের নজর এখন ফের কয়লার দিকে। এখানেও কি যুক্ত ছিলেন কেষ্ট?
]]>বুধবারই শেষ হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ। এই দিনেই তাঁকে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই এক ঘণ্টা দীর্ঘ সওয়াল জবাব চলার পর, তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এ দিন মূলত প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিনের বিরোধিতা করেছিল সিবিআই। পাশাপাশি, অনুব্রতর বেআইনি সম্পত্তির কথাও জানানো হয়েছে আদালতে।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা হাইকোর্টে ফের লজ্জায় রাজ্য সরকার, তীব্র ভর্ৎসনা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা
অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের অসুস্থতার কথা বলে, জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। অনুব্রতের আইনজীবী এও দাবী করেন, অনুব্রত কোনও ভাবেই গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। গরু পাচার মামলায় সেই জেলেই যেতে হচ্ছে, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে।
]]>