দিল্লির মুখ্যসচিবের সভাপতিত্বে বৈঠকে দিল্লি সরকার, দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের শীঘ্রই আউটার দিল্লির বক্করওয়ালা গ্রামে, নতুন দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল (NDMC) ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। অর্থনৈতিক দুর্বল বিভাগ (EWS) বিভাগের অন্তর্গত, মোট ২৫০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যেখানে এই ১১০০ জন রোহিঙ্গার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যারা এখন মদনপুর বস্তিতে বসবাস করছে। আর এরপরেই শুরু হয়েছে, জোর বিতর্ক। তাহলে কি কেন্দ্র সরকার CAA বাতিল করে দিল? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
আরও পড়ুনঃ ‘উন্নততর বামফ্রন্ট’ আর ‘নতুন তৃণমূল’, দুটোকেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে বাংলার মানুষ
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর-উন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে, এটিকে ‘ল্যান্ডমার্ক সিদ্ধান্ত’ বলে ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকারকে ফ্ল্যাটগুলিতে মৌলিক সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এটি ‘ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস’-এর আন্ডারে দেওয়া হয়েছে, যাতে এইসব ফ্ল্যাটে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরকে সহজ করবে।
]]>আরও পড়ুনঃ ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট
মামলার বয়ান অনুযায়ী রোহিঙ্গাবাসি ওলি আহমেদের আইনজীবী কিশোর মুখোাধ্যায় আদালতে জানান, ২০১৬ সালের মে মাসে উত্তর দিনাজপুর বর্ডার এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেন তাঁর মক্কেলকে। তার বিরুদ্ধে বেআইনি অনুপ্রবেশের মামলা দায়ের হয়। বেআইনি অনুপ্রবেশের দায়ে তার দুবছরের জেল হয়।
আরও পড়ুনঃ নিয়ম মেনে ভারতের জাতীয় পতাকা তুলে রাখা যায় রাতেও
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে অভিযুক্ত ওলি আহমেদের দু বছরের জেল সাজা সমাপ্ত হয়। নিম্ন আদালতের বিচারক রায়ে এও জানিয়েছিলেন যে ওলি আহমেদকে তাঁর নিজের বাসস্থানে ফিরিয়ে দিতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন ওলি আহমেদকে জেলে থাকা অবস্থাতেই “রিফিউজি” ঘোষণা করে।
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘন্টায় এসএসসির রেজাল্ট প্রকাশ না হলে সচিবকে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি বিচারপতির
কিন্তু ওলি আহমেদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাকে মুক্তি দেয়নি দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। গত ১০ই ডিসেম্বর ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওলি আহমেদ। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা
কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে তাকে ছেড়ে দেবার নির্দেশ দেন। রায়ে বলা হয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার, নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করার পর সিদ্বান্ত নিয়ে তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেবে।
আরও পড়ুনঃ Exclusive কংগ্রেস ছেড়ে মমতার হাত ধরলেন মৌসম বেনজির নূর
কিন্তু আজও সেন্ট্রাল জেলেই বন্দি ওলি আহমেদ। তার পরিবারের সদস্যদের ভারতীয় রিফিউজি হিসেবে ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন। তার পরিবারের সদস্যরা এই দেশেই আছে। কিন্তু রাজ্য এবং কেন্দ্র ওলির মুক্তির বিষয়ে আজও কোন সিদ্বান্ত নিতে পারেনি বলেই অভিযোগ ওলির আইনজীবীর।
আরও পড়ুনঃ জওহরলাল নেহেরুর গলায় মালা দিয়ে ৬০ বছর পরেও একঘরে ‘নেহেরুর বউ’
সাজার মেয়াদ শেষ হলেও কেন তাকে মুক্তি দিচ্ছে না এই প্রশ্নেই কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিজয় কেশব গোখলে এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন ওলি আহমেদ। আদালতের নির্দেশ কেন অমান্য করা হল? কেন আদালতের রায়ে একজনের সাজা শেষ হবার পরও তার মুক্তি হচ্ছে না সেটাই এখন দেখবে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুনঃ আম দরবারে প্রকাশ্যে মহিলার ওড়না ধরে টান কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রীর
তবে এইভাবে সাজা শেষ হবার পরেও আটকে রাখা ও তার জেরে কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের সচিব বিজয় কেশব গোখলে এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ
জয় হিন্দ, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সোনার অক্ষরে লেখা ইতিহাস
কাঠফাটা রোদে পড়ুয়াদের অসুস্থ করে ছায়ায় বসে রেকর্ড গড়ার নেশা মন্ত্রীর
মাঠ দিল না রাজ্য, মোদীর সভা ও হেলিকপ্টারের জন্য ফসল ত্যাগ শিক্ষকের
কালামের নামে ছাত্রদের তৈরি হালকা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নজির ভারতের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>