Bangladesh – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Sun, 09 Oct 2022 06:33:53 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg Bangladesh – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 অক্টোবর ১০, লক্ষ্মী পুজোর দিন শুরু হয়েছিল নোয়াখালীর ‘হিন্দু নি’ধন’ যজ্ঞ https://thenewsbangla.com/october-10-lakshmi-puja-day-noakhali-hindu-incidents-began-in-bangladesh/ Sun, 09 Oct 2022 06:29:46 +0000 https://thenewsbangla.com/?p=16915 অক্টোবর ১০, লক্ষ্মী-পুজোর দিনই শুরু হয়েছিল নোয়াখালীর ‘হিন্দু-নি’ধন’ যজ্ঞ। সেদিন-টাও ছিল কোজাগরী-লক্ষীপূজা, অবিভক্ত বাংলার হিন্দুরা ছিলেন, মা-লক্ষ্মীর আরাধনায় ব্যস্ত। অবিভক্ত-বাংলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত, নোয়াখালী জেলার সংখ্যালঘু-হিন্দুরাও ছিলেন পুজা-অর্চনায় ব্যস্ত। হঠাৎই রাত্রির নিস্তব্ধতা খান-খান করে ধেয়ে এল, কাশেমের ফৌজ। মুসলিম লীগের নোয়াখালী অঞ্চলের নেতা, কাশেম আলীর আদেশে শুরু হল হিন্দু-সং’হার। সঙ্গে ছিল গোলাম সারওয়ারর নিজস্ব-বাহিনী। উদ্দেশ্য একটাই, সমূলে হিন্দু-না’শ।

তার দুমাস আগেই কলকাতায় যে হ’ত্যা-যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ১৬ই আগস্ট ১৯৪৬, যা শুরু হয়েছিল মুসলমান-দের নৃশং’সতম আক্র’মণে, কিন্তু শেষ হয়েছিল হিন্দুদের ভয়’ঙ্কর-প্রত্যুত্তরে। তার প্রতিশোধ নিতে, বন্য-আনন্দে হিন্দু-দের উপর ঝাঁ’পিয়ে পড়েছিল ইস’লামিক-নেতৃত্ব। মুহূর্তের মধ্যে নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, রায়পুর, লক্ষীপুর, ছাগলনাইয়া, স্বন্দীপ এলাকা হল হিন্দুদের র’ক্তে-র’ক্তাক্ত। পাশের টিপেরা জেলার হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর, লক্ষম-চৌদ্দগ্রাম অঞ্চলগুলো হল, হিন্দুদের ‘যমলোক’। আটঘাট বেঁধে, পরিকল্পনা করে মা’রা হয়, হাজার-হাজার হিন্দুকে।

সার্বিক হিন্দু-গ’ণহ’ত্যায় কতজন যে প্রাণ হা’রালেন, কত হিন্দু-নারী হলেন ধ’র্ষি’তা, কতজনকে জোর করে গ’রুর মাংস খাওয়ানো হল, কতজন পুরুষকে জোর করে সু’ন্নত করে মা’রা হল, কতজন হিন্দু নারীকে গ’ণ-ধ’র্ষণ করে মাথার সিঁদুর মুছিয়ে দেওয়া হল, কতজন হিন্দু-নারী এক লহমায় গৃহবধূ থেকে বে’শ্যায় রূপান্তরিত হলেন, তার হিসেবে গত ৭৫ বছরেও পাওয়া যায়নি।

আনুমানিক ৫০০০ হিন্দু খু’ন হন নোয়াখালি গ’ণ-হ’ত্যায়। লাখখানেক হিন্দু ঘর ছেড়ে, আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা, চাঁদপুর, আগরতলার রিলিফ-ক্যাম্পে। অক্টোবর ১১, গোলাম সারওয়ারের ফৌজ আক্র’মণ করে, নোয়াখালী বার-এসোসিয়েশন সভাপতি ও হিন্দু-মহাসভার জেলা সভাপতি রাজেন্দ্রলাল রায়চৌধুরীর বাড়ি। সারাদিন রাজেনবাবু রাইফেলের সাহায্যে, আ’গ্রাসী-বাহিনীর মোকাবিলা করেন।

পরেরদিন, ১২ই অক্টোবর, আরও বিশাল-বাহিনী, রায়চৌধুরী বাড়ি আক্রমণ করে পরিবারের ২২জন সদস্যকে হ’ত্যা করে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজেন্দ্রলাল রায়চৌধুরী, চিন্তাচরণ রায়চৌধুরী ও সতীশচন্দ্র রায়চৌধুরী। রাজেনবাবুর মাথা কে’টে একটি থালায় করে, গোলাম সারওয়ার-কে উপহার দেওয়া হয়। রায়চৌধুরী পরিবারের নারী’দের, ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেয় ইস’লামিক-বাহিনী। এইরকম ঘটনা ঘটে, হাজার-হাজার।

এটাই ছিল বর্তমান বাংলাদেশে, বাঙালি হিন্দুর শে’ষ যাত্রার শুরু। পরবর্তীকালে বরিশাল গ’ণ-হ’ত্যা, ভৈরব ব্রীজ গ’ণ-হ’ত্যা, ১৯৬৪র গ’ণ-হ’ত্যা, গোলাঘাট, নাড়িয়া, শাঁখারিকাঠি, ঈশানগোপালপুর, ডাকরা, জাটিভাঙা, মাকালকান্দি, শতনিখিল, গালিমপুর, আদিত্যপুর, সুত্রপুর, সেন্ডিয়া, কালীগঞ্জ, কড়াই কাদিপুর গ’ণ-হ’ত্যা, চুকনগর গ’ণ-হ’ত্যা। যা এখনও চলছে বাংলাদেশে।

]]>
ভারতের চাপে, চিনে তৈরি পাকিস্তানের ‘যু’দ্ধজাহাজ’কে নোঙর ফেলতে দিল না বাংলাদেশ https://thenewsbangla.com/indian-pressure-bangladesh-not-allow-pakistan-warship-made-in-china-to-anchor/ Mon, 08 Aug 2022 15:35:25 +0000 https://thenewsbangla.com/?p=15951 ভারতের চাপে, চিনে তৈরি পাকিস্তানের ‘যু’দ্ধজাহাজ’কে; নোঙর ফেলতে দিল না বাংলাদেশ। এটাকে কূটনৈতিক জয় বলছে; ভারতের বিদেশমন্ত্রক। পাকিস্তানি র’ণতরীকে নোঙর ফেলতে দিল না বাংলাদেশ। পা’ক নৌ’সেনার কোনও ‘যু’দ্ধজাহাজ’কে বাংলাদেশের বন্দরে জায়গা দেওয়া হবে না; পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পরা শ্রীলঙ্কায়; নোঙর ফেলতে বাধ্য হবে পাকিস্তানের এই র’ণতরী।

আগস্টের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নৌ-বন্দরে নোঙর ফেলার অনুমতি চেয়েছিল; পা’ক নৌ’বাহিনীর র’ণতরী ‘পিএনএস তৈমুর’। কিন্তু সেই আবেদন; পত্রপাথ খারিজ করে দেয় ঢাকা। তাৎপর্যের বিষয় হল এটাই; আগামী ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মৃ’ত্যুদিন। ১৯৭৫ সালে ওইদিনই ঢাকার ধানমান্ডিতে, পাকিস্তানের মদতে মুজিবকে খু’ন করে; বাংলাদেশ ফৌ’জের কিছু সেনা আধিকারিক ও সেনা। জাতির এই শো’কদিবসে পাকিস্তানের ‘যু’দ্ধজাহাজ’কে নোঙর ফেলতে দেওয়া; বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করার শামিল বলেই মনে করছে ঢাকা। তাছাড়া, শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে; ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি দলের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। তাই ঢাকার এই পদক্ষেপকে; নয়াদিল্লির কূটনৈতিক জয় বলেই মনে করছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন; বাংলায় আওয়াজ উঠে গেল, ‘এই গরু চোর’, ‘এই চাকরি চোর’

র’ণতরী ‘পিএনএস তৈমুর’ চিনে নির্মিত। চিনের সাংহাই বন্দর থেকে, পা’ক নৌ’সেনায় যোগ দিতে; করাচির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে টাইপ ০৫৪ এ/পি ফ্রিগেটটি। মাঝপথে কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে; মহড়া সেরেছে তৈমুর যু’দ্ধজাহাজ। সেখান থেকেই চট্টগ্রাম হয়ে করাচি যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। কিন্তু বাংলাদেশ অনুমতি না দেওয়ায়; এবার শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে নোঙর করবে পিএনএস তৈমুর। আগস্টের ১২ তারিখ; কলম্বো বন্দরে পৌঁছবে পাক ‘যু’দ্ধজাহাজ’টি।

পা’কিস্তান নৌ’বাহিনীর জন্য; চারটি টাইপ ০৫৪ এ/পি ফ্রিগেট তৈরি করছে চিন। এই শ্রেণির দ্বিতীয় জাহাজ হচ্ছে ‘তৈমুর’। জুনের ২৩ তারিখ পা’ক নৌ’সেনায়; আনুষ্ঠানিকভাবে শামিল হয় জাহাজটি। এর আগে জানুয়ারিতে, পা’ক নৌ’সেনার হাতে এসেছে; এই ক্লাসের প্রথম ফ্রিগেট ‘পিএনএস তুঘরিল’। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌ’সেনাকে ঘিরে ফেলতে; পা’কিস্তানের হাত মজবুত করছে চিন। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকেও দলে টানার চেষ্টা করছে; কমিউনিস্ট দেশটির লাল ফৌজ। কড়া নজর রাখছে ভারতও।

]]>
এক বাংলা থেকে আগেই গায়েব হয়েছে, আর এক বাংলা থেকে গায়েব হবার রাস্তায় https://thenewsbangla.com/international-mother-language-day-bengali-words-are-becoming-extinct/ Mon, 21 Feb 2022 05:10:41 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=14819 ভাষা দিবস কি এখন শুধুই ফালতু আদিখ্যেতা? এমনটাই উঠে গেছে প্রশ্ন। এক বাংলা থেকে আগেই গায়েব হয়েছে; আর এক বাংলা থেকে গায়েব হবার রাস্তায় বাংলা ভাষা।
“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ শে ফেব্রুয়ারি; আমি কি ভুলিতে পারি”। আর এখন বলা হচ্ছে; আদিখ্যেতা ছেড়ে ভুলে যান তাড়াতাড়ি। একদম ঠিক পড়ছেন। যত তাড়াতাড়ি এই আবেগকে ভুলে যাবেন, তত ভালো; তত নিজের কাছে সৎ থাকবেন। চোখ বুজে থাকলে সত্যটা মিথ্যা হবে না। কিন্তু কেন?

মুখের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে; বিরল ইতিহাস গড়েছিল বাঙালি। উর্দুর পাশাপাশি প্রাণের ভাষা বাংলাকে; পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে গড়ে ওঠে দুর্বার আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি; সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত, রফিকদের তাজা রক্তে লাল হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। বাংলা ভাষা রক্ষায়, মাতৃভাষা রক্ষায়; হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে বাঙালির রক্ত ঝরানো লড়াইয়ে মুগ্ধ হয়েছিল গোটা পৃথিবী। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির ভাষা আন্দোলন; যার জেরে বাংলা ভাষা পায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জুড়ে ভাষা দিবসের স্বীকৃতি; ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯, ইউনেস্কোর ঘোষণার পর। মাতৃভাষা রক্ষার লড়াই, বিশ্ব সংসারে বিরল; অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছিল বাঙালিই।

“মোদের গরব, মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা!
তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালবাসা”!
ইতিহাস, আবেগ ওখানেই শেষ। ৭১ এ স্বাধীনতার পরের ৫০ বছরে আমূল বদলে গেছে বাংলাদেশ। বলা ভাল, ফের ১৯৪৭ এ ফিরে গিয়ে; বাংলাদেশ এখন আবার পুরোপুরি পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেছে। তফাৎ একটাই, এখন সেটা হয়েছে ধর্মে মনুষত্বে ও সর্বোপরি ভাষায়।

১৯৪৭ এ বাঙালি মুসলিম-হিন্দুরা পূর্ব পাকিস্তানে পড়েছিল দেশভাগের জেরে। ১৯৭১ এ বঙ্গবন্ধু মুজিবের হাত ধরে বাঙালি মুসলমান ও হিন্দুরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়ে; ইন্দিরার ভারতের সাহায্যে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছিল। ২০২২এর ২১ শে ফেব্রুয়ারি সেই আবেগের লেশমাত্র নেই বাংলায়। বাংলাদেশ আবার হয়েছে পূর্ব পাকিস্তান। ‘পুরোনো বাবার নির্দেশে’ পাকিস্তানের মতোই ‘হিন্দু খেদাও’ অভিযান; গত দু-তিন দশক আগে থেকেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলা ভাষা প্রায় উধাও; দাপট বেড়েছে আরবি-উর্দু শব্দের। বাঙালি রীতি উধাও; ঠিক পাকিস্তানের মতোই ভাঙছে একের পর এক মন্দির। লোটা-কম্বল নিয়ে দেশ বাংলা ছেড়ে রাজ্য বাংলায় আজও পাড়ি দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ; হিন্দু বাঙালি। পিঠে কাঁটাতারের দাগ।

বাংলা বর্ণমালা এখন বাংলাদেশের কাছেই অচেনা শব্দ। তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলা অক্ষরমালা। কী চেয়েছিলেন জব্বর, বরকত, রফিক, সালামরা? চেয়েছিলেন মাতৃভাষার মর্যাদা; বাংলা ভাষার সম্মান প্রতিষ্ঠা। প্রতিবাদ করেছিলেন মাতৃভাষার অবমাননার বিরুদ্ধে। তার জন্য প্রাণ দিতে হয়েছিল তাঁদের; ঢাকার রাজপথে।

এখন ইংরেজি মাধ্যমের দাপটে; বাংলা মাধ্যমে পড়ার বিদ্যালয়গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক। সেটাও একটা ইস্যু। কিন্তু বাংলা ভাষা, বাংলা শব্দই আজ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের শব্দ কোষ থেকে। জায়গা নিচ্ছে একের পর এক আরবি-ফার্সি-উর্দু ও অন্যান্য মুসলিম অধ্যুষিত ভাষা শব্দ। বিলুপ্ত হয়েছে বাংলা ভাষা; যার জন্য ভাষা দিবস।

“বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে নিকানো উঠোনে ঝরে রোদ; বারান্দায় লাগে জ্যোৎস্নার চন্দন”। ২০২২ এ বসে কবি শামসুর রহমানের কলমে এই লাইন আসতই না। বাংলা ভাষা এখন আর উচ্চারিতই হয় না; তো অন্ধ বাউলের একতারা কোথায় বাজবে?

“ওরা আমার মুখের কথা কাইরা নিতে চায়।
তারা কথায় কথায় শিকল পড়ায় আমার হাতে পায়।।
কইতো যাহা আমার দাদায়
কইছে তাহা আমার বাবায়
এখন, কও দেখি ভাই মোর মুখে কি
অন্য কথা শোভা পায়।।
সইমু না আর সইমু না
অন্য কথা কইমু না
যায় যদি ভাই দিমু সাধের জান”…..।।

এই কবিতা এই বাংলাদেশে আর কেউ পড়ে না; এই কবিতার আজ আর আদৌ কোন অস্তিত্বই নেই। বাংলাদেশ আজ বাংলা ভাষা ভুলে; শুধুই এক কট্টরপন্থী মুসলিম দেশ। আর সেই দেশের বড় শত্রু এখন ভারতবর্ষ পশ্চিমবঙ্গ। তাই আজ এই আবেগকে, বাড়ির পাশের পানা পুকুরে বিসর্জন দিন। সত্যকে স্বীকার করতে শিখুন; গড্ডালিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে। ভাষা দিবসে নিন শপথ। বাংলাদেশের কথা ছাড়ুন; অন্তত পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাকে বুক দিয়ে আগলান। ওটাও না ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেই পথে চলা শুরু হয়ে গেছে; বিশ্বাস না হলে বাড়ির বাচ্চার সরকারি স্কুলের বইটা দেখুন।

‘সামাল সামাল’…..
না হলে আর কয়েকবছর পরে আজকের দিনটা এই বলে স্মরণ করতে হবে যে…
‘অতীতে বাংলা বলে একটা ভাষা ছিল এই বাংলায়’…

সম্পাদকীয় লিখলেন মানব গুহ।

]]>
বাংলায় গতিহারা ফণী, হুগলি, বর্ধমান নদিয়া হয়ে ভোরে প্রবেশ করল বাংলাদেশে https://thenewsbangla.com/cyclone-fani-looses-strength-after-enters-west-bengal-goes-to-bangladesh/ Sat, 04 May 2019 03:10:13 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=12303 রক্ষা পেল বাংলা। বাংলায় গতিহারা ফণী। হুগলি; বর্ধমান; নদিয়া হয়ে ভোরে প্রবেশ করল বাংলাদেশে। দক্ষিনবঙ্গে যতটা গতিবেগ থাকার কথা ছিল; তা না থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেল। তবে রাতভর চলল বৃষ্টি। দুপুর পর্যন্ত দক্ষিনবঙ্গের জেলাগুলিতে; বৃষ্টি চলবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

বাংলায় ঢুকেই চুপসে গেল; ফণীর ফণা। আর কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। নাক ঘেঁষে বেড়িয়ে গেল কলকাতারও। কলকাতাকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী। আশঙ্কা অনুসারে দক্ষিণবঙ্গে তেমন প্রভাব ফেলল না ঘূর্ণিঝড়টি। তবে রাতভর বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া চলেছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই।

আরও পড়ুনঃ কলকাতায় নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ের ছাদে ফুটবলটি এখন ফণীর খবর দিচ্ছে

শুক্রবার রাত ১ টার পর; পশ্চিম মেদিনীপুর দিয়ে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। তবে ততক্ষণে বেশ শক্তি হারায় ফণী। ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে। সেখান থেকে ঝড়টি হুগলি; পূর্ব বর্ধমান হয়ে নদিয়ায় প্রবেশ করে। ভোরে বাংলাদেশে ঢুকে যায় ঝড়ের কেন্দ্রটি

ফণীর জেরে সারা রাত নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ এর সব জেলা জুড়ে। বৃষ্টি হয়েছে ২ মেদিনীপুর; হাওড়া; হুগলি; কলকাতা; পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান; পুরুলিয়া; বাঁকুড়া; বীরভূম; নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনায়।

আরও পড়ুনঃ ফনী মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রিম বরাদ্দ ১০০০ কোটি টাকা

ফণীর প্রভাবে দিঘা; মন্দারমণি-সহ গোটা উপকূলজুড়ে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। ঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছে সুন্দরবন; কাকদ্বীপ; বকখালি; হলদিয়ার মতো নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে।

দুই বর্ধমানে; বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমানে ও নদিয়ায় তুমুল ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। তবে যেটা ভাবা গিয়েছিল; সেই ঝড়ের গতিবেগ রয়েছে অনেক কম। বিকেলের মধ্যেই সব দুর্যোগ কেটে যাবে; জানিয়ে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বলা যায় এযাত্রায় রক্ষা পেল বাংলা। আর বাংলায় ঢুকেই নির্বিষ হয়ে গেল ফণী

]]>
ফিল্মের অভাবে বন্ধ হচ্ছে বাংলার সব সিনেমা হল https://thenewsbangla.com/cinema-halls-of-bangla-to-close-down-because-of-lack-of-movies/ Thu, 14 Mar 2019 07:53:55 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=8382 বাংলাদেশি সিনেমার দর্শক নেই। বিদেশি তথা ভারতীয় সিনেমার মুক্তি আটকে রাখা হচ্ছে বাংলাদেশে। সেই কারনে, ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব সিনেমা হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।

আরও পড়ুনঃআমির খানের জন্মদিনে জেনে নিন তাঁর ব্যপারে কিছু অজানা তথ্য

বুধবার সকালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘সিনেমা হল বাঁচলেই চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে’ শীর্ষক সাংবাদিক সম্মেলন করে সমিতির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, মিয়াঁ আল্লাউদ্দিন, সভাপতি ইফতেকার নওশাদ সহ অনেকেই।

সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘সরকারের সুদৃষ্টি ও আমাদের দাবিগুলো না মানা হলে ১ মাস পর, আগামী ১২ এপ্রিল থেকে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হবে’।

আরও পড়ুনঃ বলিউডে নতুন যুগের তারকারা কত পারিশ্রমিক পান

সিনেমা হল চালানোর মত দেশে পর্যাপ্ত চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে না বলে জানা যায় সমিতির পক্ষ থেকে। যাও হচ্ছে তাতে দর্শক মোটেই আকর্ষিত হচ্ছে না। লোকসান গুণতে গুণতে হতাশ প্রযোজকেরা। হলের আয় নিয়ে সন্তুষ্ট নন প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরাও।

দেশের বাইরের ছবি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশকে মানতে হয় কঠোর নিয়ম। বিদেশী, বিশেষত ভারতীয় সিনেমা দেখাতে গেলে তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয় নানাবিধ শর্ত আর নিয়মকানুন। এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। লোকসান গুণতে গুণতে পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে বলেই দাবি করেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা।

আরও পড়ুনঃ যৌনতা কেন্দ্রিক বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানা

সাংবাদিক বৈঠকে এই দিন নওশাদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “সিনেমা হলে লোক টানার মত চলচ্চিত্র বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে না। বাছাই করা ভাল মানের ভারতীয় বাংলা ছবির মুক্তি নানা কৌশলে আটকে রাখা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে গুনতে হল মালিকেরা আর পেরে উঠছেন না। তাই, এপ্রিলের ১২ তারিখ সব হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকছে না”।

আরও পড়ুনঃ বলিউডের যে নায়িকাদের জীবনসঙ্গী ডিভোর্সি পুরুষ

এর আগে, গত বছর ৩০ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ একটি আদেশ দেন, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, পূজা ও পয়লা বৈশাখের সময় যৌথ প্রযোজনার ছবি ছাড়া বাইরের দেশের কোনো ছবি দেশে আমদানি, প্রদর্শন ও বিতরণ করা যাবে না।

আরও পড়ুনঃ ‘বাঘের সঙ্গে অভিনয় করাটাই ছিল জীবনের সেরা চ্যালেঞ্জ’

এদিকে ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি ও প্রদর্শনের প্রতিবাদে কয়েক বছর আগে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলন করেছিল চলচ্চিত্র পরিবার। আগামী ১২ এপ্রিল থেকে সিনেমা হল বন্ধ করা হলে, দেশে হিন্দি ছবি আমদানি করা হলে আবারও আন্দোলনে নামবে চলচ্চিত্র পরিবার।

আরও পড়ুনঃ বয়সে এক যুগের ফারাকে বিয়ের পিঁড়িতে মালাইকা অর্জুন

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান এ কথা জানায়ে। তিনি বলেন,”আগেও সিনেমা হল বন্ধের হুমকি পেয়েছি আমরা। যদি দেশীয় সংস্কৃতি বাদ দিয়ে, বঙ্গবন্ধুর আইনকে পাস কাটিয়ে হিন্দি ছবি এনে দেশকে ধ্বংস করতে চায়; আমরা পুরো চলচ্চিত্র পরিবার ও শিল্পীদের পক্ষ থেকে আবারও প্রতিবাদ জানাবো”।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হল ভারত বাংলাদেশ https://thenewsbangla.com/india-and-bangladesh-being-together-for-one-day-ignoring-the-border-fensing/ Sun, 27 Jan 2019 18:36:48 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=6084 কোথায় কাঁটাতার? কোথায় সীমান্তরক্ষীর রক্তচক্ষু? পীরের উৎসবকে কেন্দ্র করে একাকার হয়ে গেল ভারত-বাংলাদেশ। কাঁটাতারকে সাক্ষী রেখেই মিশে গেল দুই পাড়ের বাঙালীরা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির এই মিলন মেলা।

আরও পড়ুনঃ জওহরলাল নেহেরুর গলায় মালা দিয়ে ৬০ বছর পরেও একঘরে ‘নেহেরুর বউ’

বালুরঘাট ব্লকের জলঘর এলাকার তালমন্দিরা গ্রামের কাছে একদিকে বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্ত, আর এক দিকে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া। মাঝে অবস্থিত পীরের দরগায় এক সাথে মিশে গেলেন হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রতি বছর ১২ মাঘ আজকের এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন দুই দেশের মানুষ।

আরও পড়ুনঃ মোদীর মাস্টারস্ট্রোকে দেশ পেতে পারে প্রথম মহিলা বাঙালি সিবিআই প্রধান

সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হয়ে গেল ভারত বাংলাদেশ/The News বাংলা
সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হয়ে গেল ভারত বাংলাদেশ/The News বাংলা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম নজির এই মিলন মেলা উপলক্ষে আজকের দিনটিতে বাধ সাধে না বিএসএফ ও বিজিবি কেউই। ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের মাঝে অবস্থিত মাজারে শায়িত রয়েছেন সুফি সাধক। সীমান্তের দুই পাড়ের মানুষ যাঁকে পীর তেধারা নামেই ডাকেন।

আরও পড়ুনঃ জয় হিন্দ, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের সোনার অক্ষরে লেখা ইতিহাস

মনস্কামনা পূরণের বাসনায় দূরদুরান্তের জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ এখানে পৌঁছে চাদর চড়ান ও সিন্নি ভোগ নিবেদন করে যান। এবারেও সুফি সাধক তেধারার উৎসবকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন তালমন্দিরা এলাকার পীরের মাজার প্রাঙ্গনে। এই মিলন মেলা উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল, খাজা, বাতাসা ও জিলেপির দোকান। জমে উঠেছিল বেচা কেনাও।

আরও পড়ুনঃ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মা দুর্গার সাক্ষাৎ অবতার, পোস্টার কংগ্রেসের

সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হয়ে গেল ভারত বাংলাদেশ/The News বাংলা
সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হয়ে গেল ভারত বাংলাদেশ/The News বাংলা

ওপারের বগুড়া শহর থেকে পীরের মাজারে চাদর চড়াতে আসা সাদ্দাত ইসলাম জানিয়েছেন, যে সারা বছর ধরেই তাঁরা এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তেধারা পীরের কাছে মন থেকে কিছু চাইলে তিনি কখনও নিরাশ করেন না বলেও তাঁর বিশ্বাস।

আরও পড়ুনঃ সোনি বোতলবন্দি, ফিরতি ম্যাচেও বাগানকে চূর্ণ করল জবির ইস্টবেঙ্গল

মানত পূরণের পাশাপাশি তাছাড়াও এই উৎসবের বড় প্রাপ্তি হলো ভারতে থাকা আত্মীয় স্বজনদের সাথেও তাঁর দেখা হয়ে যায়। একটা গোটা দিন এপার বাংলার আত্মীয়দের সঙ্গে কাটান অনেকেই।

সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হয়ে গেল ভারত বাংলাদেশ/The News বাংলা
সীমান্তের কাঁটাতার অগ্রাহ্য করে একদিনের জন্য এক হয়ে গেল ভারত বাংলাদেশ/The News বাংলা

আরও পড়তে পারেনঃ মকর সংক্রান্তি, পৌষ পার্বণ ও পিঠাপুলি উত্‍সবের অজানা পৌরাণিক কাহিনি

ইতিহাস গবেষক সমিত ঘোষ জানিয়েছেন যে, তেধারার এই পীরের আসল নাম ছিল মশারফ হুসেন। সুফি সাধনায় সিদ্ধ মশারফ হুসেন তাঁর ভক্তদের কাছে পীর তেধারা নামেই পরিচিত হন। বহু বছর আগে থেকেই এই দিনটিতে জলঘরের তেধারা এলাকায় উৎসবের আয়োজন হয়ে থাকে। এখানে দুই বাংলার কয়েক হাজার পূণ্যার্থী অংশ নেন। তাঁরা মানত হিসেবে চাদর চড়ান ও মোরগ ও সিন্নিও নিবেদন করে থাকেন।

আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই বিচ্ছেদের কাঁটাতারকে সাক্ষী রেখে ফের ভালবাসার বাঁধনে আবদ্ধ হন দুই বাংলার মানুষ জন। সন্ধায় ফের দেশে ফেরার পালা। ফের কাঁটাতারের এপার-ওপার। আবার অপেক্ষা আগামী বছরের।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আরও পড়ুনঃ

শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা

মানুষের হাসপাতালে এত কুকুর বেড়াল কেন? দায় এড়াতে পারে না প্রশাসন

সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিরল বিশ্বরেকর্ডের চূড়ায় বাঙালি

দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করায় ডি কোম্পানির হাতে পাকিস্তানে খুন

কালামের নামে ছাত্রদের তৈরি হালকা উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়ে নজির ভারতের

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা https://thenewsbangla.com/taslima-nasrin-openes-the-mask-of-bengal-intellectuals-in-the-srijato-heckle-case-in-assam/ Tue, 15 Jan 2019 05:58:39 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=5628 এবার শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের একহাত নিলেন তসলিমা নাসরিন। মঙ্গলবার সকালেই নিজের ফেসবুক পোস্টে তুলধনা করেছেন বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের। অনেকে বলছেন এই লেখায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা নাসরিন। রাজনীতির রং দেখেই যে বাংলার বাংলার বুদ্ধিজীবিরা প্রতিবাদ করেন সেই অভিযোগই ফের করলেন এই বাংলাদেশের লেখিকা।

শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা/The News বাংলা
শ্রীজাত হেনস্থা ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবিদের মুখোশ খুললেন তসলিমা/The News বাংলা

ঠিক কি লিখলেন তসলিমা নাসরিন? পড়ুনঃ

“কবি শ্রীজাতর ওপর আক্রমণ হয়েছে আসামের শিলচরে। বজরং দলের লোকেরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ইটবৃষ্টিও হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে চলে যায়। এরপর শ্রীজাত বাক স্বাধীনতা নিয়ে বলেছেন, এটি থাকতেই হবে রাজ্যে। হ্যাঁ নিশ্চয়ই, এটি থাকতেই হবে। আমি চাই না শ্রীজাতর বাক স্বাধীনতা কেউ হরণ করুক, অথবা আর কারো বাক স্বাধীনতা।

শ্রীজাত নিজের বাক স্বাধীনতা চান, কিন্তু অন্যের বাক স্বাধীনতা কি চান? আমার বাক স্বাধীনতা? তাঁর রাজ্যে যখন আমার বাক স্বাধীনতা ভেঙ্গে চুরমার হয়েছিল, তখন শ্রীজাত তো নয়ই, বাক স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে যারা ভীষণ লাফায়, তাদের প্রায় কাউকেই মুখ খুলতে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুনঃ

‘ত্রিশূলে কনডম’, অসমের শিলচরে হিন্দুত্ত্ববাদী বিক্ষোভের মুখে কবি শ্রীজাত

বাংলায় দুর্গা পুজো বন্ধ করার চক্রান্ত করছে মোদীর বিজেপি, মারাত্মক অভিযোগ মমতার

কবে যেন শ্রীজাত কোথায় বলেছেনও শুনেছি, কলকাতায় আমার না যাওয়াই উচিত। আমার চলাফেরার অধিকারও নেই। টাইমস অব ইণ্ডিয়া থেকে টাইমস লিট ফেস্টে আমাকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল গত নভেম্বরে। শেষের দিকে ওরা চুপচাপ জানিয়ে দিয়েছে কলকাতায় সম্ভব নয়। ওরা হয়তো ভেবেছিল, সিপিএম তো অনেকদিন গত হয়েছে, হয়তো নতুন সরকার পুরোনো সরকারের ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়েছে।

অনেকে বলে বিজেপি আমার পক্ষে, যেহেতু বিজেপি মুসলিম কট্টরপন্থীদের বিপক্ষে। ওদের সরল অংকটা এরকম, যেহেতু মুসলিম কট্টরপন্থীরা আমাকে মেরে ফেলতে চায়, গত পঁচিশ বছর যাবত চাইছে, আর যেহেতু বিজেপি মুসলিম কট্টরপন্থীদের বিপক্ষে, তাই বিজেপি আমার পক্ষে।

শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। সময় থাকলে টুইটারের মন্তব্য কলাম কেউ ঘুরে আসতে পারেন, ওখানে হিন্দু কট্টরপন্থীরা আমাকে লক্ষ করে প্রতিদিনই তাদের ঘৃণা ছুঁড়ছে, আমাকে ভারত ছাড়ার জন্য বলছে, যেন বাংলাদেশ চলে যাই, যেন পাকিস্তানে বা সৌদি আরবে চলে যাই। ওরা জানে আমি নাস্তিক, আমি ইসলাম মানি না, কিন্তু আমি অন্য কোনও ধর্মই যে মানি না, এমনকী হিন্দু ধর্মও নয়, তার ওপর হিন্দুর নারী বিরোধী কুসংস্কার নিয়ে প্রায়ই সরব হই, তা ওদের মোটেও পছন্দ নয়। তাই তারা চায় না, আমি ভারতে থাকি।

আরও পড়ুনঃ

নৃশংস নার্স, সেবাই যাদের ধর্ম তারাই পিটিয়ে মারল ১৬টি বাচ্চা কুকুর

ভয়াবহ নৃশংসতার নজির, পিটিয়ে পিটিয়ে মারা হয়েছে ১৭টি কুকুরকে

আমার ওপর আক্রমণ হলে, আমার বই নিষিদ্ধ হলে, আমাকে রাজ্য থেকে, এমনকী ভারত থেকে তাড়ালেও কেন প্রগতিশীল বলে খ্যাত শহরেও কোনও প্রতিবাদ হয় না, যে শহরটির জন্য আমি ইউরোপের বাস ত্যাগ করে চলে এসেছিলাম? এই প্রশ্নটির আমি অনেকদিন কোনও উত্তর পাইনি।

আমার এখন মনে হয়, কলকাতার হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া অশিক্ষিত শিক্ষিত, মূর্খ বুদ্ধিমান, অলেখক লেখক, মুসলমান হিন্দু, আস্তিক নাস্তিক বিশ্বাস করে, আমি অনাগরিক, সুতরাং আমার অত বাক স্বাধীনতা থাকার দরকার নেই, ভারত জায়গা দিয়েছে, তাতেই আমার খুশি হয়ে ভারতের গুণগান গাওয়া উচিত, দালাই লামা যেমন গান।

আমার (রিফিউজি) মুখে অত এই চাই সেই চাই মানায় না। অত নারী স্বাধীনতা নারী স্বাধীনতা করছো কেন, মুসলমান মেয়েদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছো কর, হিন্দু মেয়েরা সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে, ওদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করো না। ও তোমার কাজ নয়, অতিথি অতিথির মতো থাকো।

আরও পড়ুনঃ

জেলাশাসকের স্ত্রী কাণ্ডে অপসারিত পুলিশ অফিসার পেলেন ‘মুখ্যমন্ত্রী সাহসী পুরস্কার’

বাংলায় ক্ষোভ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছে মোদী সরকার

হিন্দু মেয়েদের স্বাধীনতা নিয়ে যদি সংগ্রাম করতে হয়, তাহলে হিন্দুরা করবে, তুমি কে হে মুসলমান হয়ে আমাদের জন্য কথা বলতে এসেছো? নাস্তিক বানাতে চাও, মুসলমানদের বানাও। হিন্দু ধর্ম অনেক উদার, এই ধর্ম প্রো উইমেন, দেখ না কতো দেবী পুজো করি আমরা! কলকাতায় কেন থাকতেই হবে তোমাকে, কলকাতায় তুমি জন্মেছো?

যেখানে জন্মেছো সেখানে যাওয়ার চেষ্টা কর। তাড়িয়ে দিয়েছে, তাড়িয়ে দিয়েছে, তাই বলে অত অভিযোগ করতে হবে কেন? দেশে তো আশ্রয় দিয়েছি, এটাই কি বেশি নয়? আবার বক বক কেন? অনাগরিকের বক বক নাগরিকদের সয় না, এমনকী প্রগতিশীল বলে খ্যাত নাগরিকদেরও নয়।

শত নাস্তিক হলেও আমি ওদের চোখে মুসলমান। খাতায় রিফুইজি নয়, রেসিডেন্ট স্টেটাস থাকলেও আমি ওদের চোখে রিফিউজি। সুইডেনের নাগরিক হলেও আমি ওদের চোখে বাংলাদেশি (তুচ্ছার্থে)। আমি অতিথি নই, নিজ খরচে থাকলেও, বছর বছর ট্যাক্স দিলেও ওদের চোখে আমি অতিথি। অতিথিদের ইন্টারনাল বিষয়ে নাক গলাতে হয় না, সুতরাং আমারও নাক গলানো চলবে না।

আরও পড়ুনঃ

সিবিআই থেকে দমকলে বদলি, প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন আইপিএস

পরকীয়া প্রেমের জেরে অজয় দেবগণের ফিল্ম স্টাইলে খুন

আমার রংটা সাদা হলে, ধর্মটা খ্রিস্টান হলে, ভাষাটা ইংরেজি হলে, বইগুলো ইংরেজিতে হলে, বাড়ি ইউরোপে হলে অবশ্য আমার বাক স্বাধীনতার জন্য প্রগতিশীল শহরে মিছিল হতো, বুদ্ধিজীবীরাও চেঁচাতেন।

আমার কি দেখা হয়নি সব? শ্রীজাতর ওপর কী হয়েছে? আমার ওপর তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশি অত্যাচার হয়নি? কেউ কেউ বলবে, হলে হোক, তুমি তো বিদেশি। একই ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে জন্ম হলেও আমি বিদেশি। আসলে আমার কথা বার্তা পছন্দ না হলেই আমি ‘বিদেশি’। বিদেশিদের সমস্যা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না, আমরা প্রগতিশীল, আমরা বাঙালি বুদ্ধিজীবি! বটে।”

এই ভাষাতেই নিজের ক্ষোভ উগলে দিলেন তাসলিমা নাসরিন। কলকাতার বুদ্ধিজীবী তো বটেই, কটাক্ষ করেছেন রাজ্য সরকারকেও। শ্রীজাতর জন্য যারা গলা ফাটাচ্ছেন তসলিমার জন্য তাঁরা চুপ কেন? হিন্দুত্ত্ববাদীদের বিরুদ্ধে কথা বললে ক্ষতি নেই, রাজ্যের বিরুদ্ধে বা মমতার বিরুদ্ধে কথা বললেই অনেক সুযোগ সুবিধা মিলবে না। সেই কারণেই কি? প্রশ্ন কিন্তু উঠছে।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আরও পড়ুনঃ

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদে এক হিন্দু নারী

ভারতের কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ

নতুন বছরের শুরুতেই খারাপ খবর, বড় বড় কোম্পানিতে কর্মী ছাঁটাই

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ‘ভাবনার বিপ্লব’ ভাবনা কস্তুরীর হাত ধরে

মমতার বাছাইয়ে কারা হবেন বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী

মোদীর প্রকল্পে আর টাকা দেবেন না মমতা, কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক তলানিতে

একদিনে বহিষ্কৃত দুই তৃণমূল সাংসদ, দিদিকে ছেড়ে মোদীর দলে আর কে কে

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া https://thenewsbangla.com/sheikh-hasina-against-khaleda-zia-again-in-bangladesh-election-on-sunday/ Sat, 29 Dec 2018 08:03:39 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=4877 The News বাংলা, ঢাকা: রবিবার বাংলাদেশে ভোট। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চলছে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রস্তুতি। লড়াইটা সেই বর্তমানে দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোট বনাম বিরোধী বিএনপির জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোট। শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া, লড়াইটা গত তিন দশক ধরে একই আছে বাংলাদেশে। তবে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া এখন জেলে আছেন।

আরও পড়ুন: গোটা বিশ্বের নিষেধ উপেক্ষা করে নতুন করে সমুদ্রে তিমি শিকার

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা এক কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ। জাতীয় সংসদ এর জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও ৫০ জন মহিলা সংসদ সদস্য সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে মনোনীত হন।

রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা

নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রীই হবেন সরকার প্রধান। রাষ্ট্রের প্রধান হলেন একজন রাষ্ট্রপতি যিনি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। ভারতের মতই, বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির পদ হলো আনুষ্ঠানিকতা, প্রকৃতপক্ষে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সরকার প্রধানের হাতেই।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের আঘাতে আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ, পুড়ছে শহর

১৯৯১ সালের পর থেকে বাংলাদেশে দুই রাজনৈতিক দল কেন্দ্রিক নির্বাচন শুরু হয়েছে অর্থাৎ দুটি রাজনৈতিক দলই দেশের সকল প্রকার নির্বাচনের মূলে থাকে এবং বাকি দলগুলোর জন্য এককভাবে নির্বাচন করে সরকার গঠন করা অনেক কঠিন।

রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা

বাংলাদেশে রবিবার ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে। এবারের নির্বাচন প্রচারের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হিংসার ঘটনার অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ ১৪ বছর আগের স্মৃতি ফিরিয়ে সুনামিতে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

বিএনপি এবং তাদের নির্বাচনী জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সর্বশেষ অভিযোগ করেছে যে, তাদের প্রার্থী বা সমর্থকদের ওপর প্রায় দুশো সহিংস হামলার অভিযোগ বা উদ্বেগকে নির্বাচন কমিশন গুরুত্বই দেয়নি। কোন ব্যবস্থাও নিতে পারে নি।

আরও পড়ুনঃ ‘পেলেই ছিঁড়ে খাবে’, কঠিন লড়াই করে বেঁচে ইরাকের নারীরা

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বিএনপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা অভিযোগ করছে যে ৫১টি জেলার ৮৮টি আসনে তাদের নেতাকর্মীদের ওপরই হামলা হয়েছে। এসব ঘটনার কারণে অনেক ভোটারই জানান যে, নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চয়তা না পেলে তারা ভোট দিতে যাবেন না।

রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা

আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের বেশ কিছু অজানা কাহিনী

কী ধরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে?

এই নির্বাচন যেন অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য দেশের তিনশো নির্বাচনী আসনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা কী হবে, সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসবাদীদের অত্যাচারে দেশ ছাড়ছে মানুষ

৩০০টি নির্বাচনী আসনকে মূলত মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে এবং বিশেষ এলাকা (পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল, হাওড় ইত্যাদি) এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি অস্ট্রেলিয়ার

এই প্রত্যেকটি এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে আবার দু্ই ভাগে ভাগ করা হয়েছে: সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ। এলাকাভেদে মোতায়েন করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা একেক রকম, বলে জানা গেছে।

রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা

আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কলকাতা থেকে পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের টাকা যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে

দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনটি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে। তাই ১০ বছর পর ফের বাংলাদেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ জেল হতে পারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচনটি নিয়ে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।

আরও পড়ুন: নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ‘আজাদ লড়াই’কে সম্মান নরেন্দ্র মোদীর

রবিবারই ভোট শেষ হয়ে যাবার পর গণনা শুরু হয়ে যাবে। আগামীকালই সন্ধ্যের মধ্যে জানা যাবে বাংলাদেশে সরকার গড়বে কে। সবটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ভোটারদের উপর।

আরও পড়ুন: জেলেই সুমন চট্টোপাধ্যায়, সিবিআই নজরে বাংলার আরও তিন সাংবাদিক

এখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, একজন গড়পড়তা বাংলাদেশি কী ভাবছেন? তারা এটা মনে করছেন কি যে, বর্তমান সরকার ১০ বছর সময় পেয়েছে, এখন পরিবর্তন দরকার, নাকি তারা মনে করছেন, দলটি বেশ ভালোই চালাচ্ছে। এর উপরই নির্ভর করবে ভোটের ফলাফল।

রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. আলি রিয়াজ বলেছেন, “দুটি কারণে বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম কারণ হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রের অভিমুখ থেকে দেশের গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার সময় এটা। দেশে গণতান্ত্রিক পরিসর ক্রমেই সংকুচিত করে বিরোধীদল দমন, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ এবং সাধারণভাবেই ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়েছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের পতনের ইতিহাস”।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে সল্টলেক নিউটাউনের বাড়িঘর

“বাংলাদেশে কখনো এমন হয়নি যে, ক্ষমতাসীন দল পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৪ কেবল এর ব্যতিক্রম। তবে বিএনপি বয়কট করায় ওটা কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছিল না। অতএব বাংলাদেশিরা পরিবর্তন চায় নাকি ধারাবাহিকতা সেটা তাদেরই ঠিক করতে হবে”, মন্তব্য আলি রিয়াজের।

আরও পড়ুন: হাজার হাজার রুটি নষ্ট করে কৃষক আন্দোলনে ইতিহাস বাংলার বামেদের

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “শেখ হাসিনার সব কর্মসূচির ইতিবাচক প্রভাবই পড়া উচিৎ নির্বাচনে। কিন্তু, এন্টি ইনকামবেন্সি অর্থাৎ ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে অসন্তোষ, বিশেষ করে তার দলের মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি তার জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু, পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বেলায় তার বিরোধী পক্ষ বিএনপির ভাবমূর্তি আরও বেশি খারাপ”।

রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা
রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া/The News বাংলা

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, “বিএনপির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে, সাংগঠনিকভাবে তারা একেবারেই ছত্রভঙ্গ। একটি নির্বাচনমুখী দল হয়েও বিএনপি যে ২০১৪ সালের নির্বাচন বয়কট করেছিল, সেটি ছিল তাদের জন্য আত্মহত্যার শামিল। তাদের সংগঠন যে কেবল শীতনিদ্রায় চলে গিয়েছে তাই নয়, অনেকেই দল ছেড়েছেন এবং সংগঠন অকার্যকর হয়ে পড়েছে”।

আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: ভোটের আগে বাংলার বিখ্যাত সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ‘সরকারি’ সন্ধি মমতার

এখন দেখার কথা এটাই, বাংলাদেশের মানুষ কি সিদ্ধান্ত নেন। রবিবার সন্ধ্যের মধ্যেই জানা যাবে কি হতে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ভবিষ্যত। বাংলাদেশের পাশাপাশি গোটা ভারতও তাকিয়ে সেই দিকেই। ভারত সরকারও তাকিয়ে বাংলাদেশের ভোটের ফলের দিকে।

]]>