বর্তমান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে, অন্যান্য ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছিল, সারা বিশ্বব্যাপী, ডোমেইন এর নাম ও এইচটিএমল এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই বার্নাস লি ওয়েব স্টান্ডার্ড এর ব্যাপারে তার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকাকে নিজের করে পেতে কি কি করতে হয় পুরুষকে
কাল ছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ৩০ বছরের জন্মদিন। ৩০ বছর পূরণ উপলক্ষে, আপনাদের জন্য রইল এই ওয়েবের ১০টা অজানা তথ্যঃ
১।১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার এবং বৈজ্ঞানিক টিম বার্নেরস লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তৈরি করার প্রস্তাব দেন।
বার্নেরস লি এর সঙ্গে ছিলেন রবার্ট কেলিয়া, একজন বেলজিয়ান বৈজ্ঞানিক। দুজন মিলেই তৈরি করেছিলেন WWW।
২। ওয়েবে প্রথম সার্ভার হিসেবে কাজ করেছিলেন কেলিয়া
৩। যেই সিস্টেম ব্যাবহার করে ওয়েবের প্রোগ্রাম কোড লেখা হয়েছিল, তার নাম ছিল নেক্সট, এবং তা তৈরি করেছিল স্টিভ জবস।
৪। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বার্নেরস লি এর এই প্রস্তাবের প্রতি বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। লি এর বস ওয়েবের এই প্রস্তাব কে “অস্পষ্ট কিন্তু আকর্ষণপূর্ণ” বলে জানায়ে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নারীদের স্তন ক্যানসার, ভয়াবহ এই রোগের প্রধান ৮টি লক্ষণ
৫। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব পৃথিবীর মানুষের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে ফ্রী হয়ে যায় ১৯৯৩ সাল থেকে।
৬। প্রাথমিক ভাবে, WWW সিইআরএন এর পদার্থবিদ্যাবিদরা ব্যাবহার করত তাদের তথ্য শেয়ার করার জন্য, তবে পরে সেটা সাধারন জনগনের ব্যাবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
৭। http://info.cern.ch/ ছিল WWW এর প্রথম ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে লাইভ আসে ১৯৯১ সালের ৬ই আগাস্ট।
৮। ১৯৯২ সালে প্রথম চিত্র দেওয়া হয় ওয়েবে। সিইআরএন এর ইন হাউস ব্যান্ড লেস হরিবেলস কারনেটসের ছবি ব্যাবহার করা হয়েছিল।
৯। ১৯৯২ সালে ইন্টারনেটে ‘সার্ফ’ শব্দটা জনপ্রিয় করেছিলেন জিন আরমর পল।
আরও পড়ুনঃ টিভি চ্যানেল দেখা নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে কেবল অপারেটররা
১০। চীন, ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে সব থেকে বেশি ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহজে ব্যবহার যোগ্য ও সাবলীল পক্রিয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সমূহের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। আর এভাবেই তারা ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছেন। অনেক সময় সাধারণত এদের অর্থকে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও ইন্টারনেট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয়। ওয়েব হল মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা একটা এপ্লিকেশন মাত্র।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আগামী ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে। রাশিয়া টুডে-র এমনই একটি রিপোর্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা দুনিয়ায়। ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত মানেই এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সমস্ত পরিষেবাও প্রভাবিত হতে পারে। আশঙ্কাটা বাড়তে শুরু করেছে এখানেই। সমস্যায় পড়বেন গোটা বিশ্বের প্রায় ৩ বিলিয়ান নেট ব্যবহারকারী।
আগামী 48 ঘন্টায় ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও যে কোন রকমের ট্রানজাকশানের সময় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন গ্রাহকরা। এমনকি কিছু কিছু গ্রাহকের ক্ষেত্রে এই সময় গোটা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে। আগামী দুদিন সার্ভার সমস্যার কারণে ওয়েব পেজ খোলায় সমস্যা হবে। এ কারণে ব্যাহত হতে পারে ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের লেনদেন। ইন্টারনেট সেবা একেবারে বন্ধও হয়ে যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
কি ডোমেন সার্ভারের মেরামতির জন্যই ইন্টারনেট ‘শাট ডাউন’ করা হবে বলে রাশিয়া টুডে-র রিপোর্টে বলা হয়েছে। দি ইন্টারনেট কর্পোরেশন অব অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (আইসিএএনএন) সার্ভারের মেরামতির কাজ করছে। কিন্তু এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা বলছেন, মাঝেমধ্যেই আপগ্রেড এবং মেরামতির কাজ হয়।
সার্ভারের রুটিন মেরামতের কারণে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে রাশিয়া টুডে। এই মেরামতির কারণে ইন্টারনেট হয়ত একটু স্লো হতে পারে। তবে সেটা সামান্য সময়ের জন্যই। আর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এর প্রভাবও খুব একটা বুঝতে পারবেন না। এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছে।
আগামী 48 ঘন্টার সারা পৃথিবীর গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় সমস্যার সম্মুখীন হবেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু সার্ভারে নিয়ম মাফিক মেরামতের জন্যই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট গ্রাহকদের। খুলতে সমস্যা হবে Facebook, Whatsapp সহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া।
রাশিয়া টুডের ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে আগামী 48 ঘন্টায় একাধিকবার কানেকশান বিচ্ছিন হতে পারে। কানেকশন বন্ধও থাকতে পারে। সারা বিশ্বের ইন্টারনেট যে সার্ভারগুলির মাধ্যমে চলে তা মেরামতের জন্য কিছু সময় বন্ধ রাখা হবে।
এই সময়ে এই সার্ভারের ক্রিপটগ্রাফিক কি বদল করা হবে। এই ফিচারের ফলেই ইন্টারনেটের সূত্র সুরক্ষিত থাকে। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সাইবার অ্যাটাকে হ্রাস টানতে এই ক্রিপগ্রাফিক কি বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানান হয়েছে।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “বিশ্বব্যাপী কিছু ইন্টারনেট গ্রাহক এই সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। গ্রাহকের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এই সময়ের নিজেকে প্রস্তুত করতে না পারলেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হবে।”
এই ধরণের টেস্ট আগেও করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে সে সবগুলোই ছিল ছোট ছোট টেস্ট বা পরিবর্তন। এবার সিষ্টেমে যে বদল করা হচ্ছে তাতে ইন্টারনেট পরিষেবা ‘ক্রাশ’ হয়ে যাবে বা বন্ধ হয়ে যাবে বলেই জানানো হয়েছে।
]]>