অশনির পরে এবার, ভারতের উপকূলে; দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। ‘অশনি’র পিছু-পিছুই; ধেয়ে আসছে ‘করিম’। একসঙ্গে দুই ঘূর্ণিঝড়ের আবির্ভাব বিরল না হলেও; মূলত উঁচু জায়গাতেই এতদিন তা দেখা গিয়েছে। নিরক্ষরেখার দক্ষিণে, অপেক্ষাকৃত নীচু জায়গায়; এমন ঘটনা সচরাচর চোখে পড়ে না বলে মত বিশ্বের আবহবিদদের।
‘Twin Cyclones’, যমজ ঘূর্ণিঝড়; ধরা পরেছে, নাসার উপগ্রহে। আমেরিকার দ্য ওয়েদার চ্যানেল জানিয়েছে; “দুই ঘূর্ণিঝড় যদি পরস্পরের ১০০০ কিলোমিটারের মধ্যেও এসে পড়ে; তাদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ তৈরি হয়। কিন্তু বুধবার পর্যন্ত দুই ঘূর্ণিঝড়ের; ব্যবধান ছিল ২৮০০ কিলোমিটার। ‘অশনি’ এবং ‘করিম’ এর ঘূর্ণি বিপরীতমুখী; একটি নিরক্ষরেখার উত্তর অভিমুখে, অন্যটির দক্ষিণ অভিমুখে। ‘অশনি’র ঘূর্ণি ঘড়ির কাঁটার বিপরীতমুখী; ‘করিম’-এর ঘূর্ণির অভিমুখ ঘড়ির কাঁটার ন্যায়। তাই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার; কোনও ইঙ্গিত আপাতত নেই”।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার আর্থ অবজারভেটরি জানিয়েছে; “করিম হারিকেন ঝড় হতে চলেছে। তবে ভারতের এই ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই; কারণ নিরক্ষরেখার দক্ষিণে অবস্থান করছে করিম”। ঘণ্টায় ১১২ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন ‘করিম’-কে; তীব্রতার নিরিখে দ্বিতীয় শ্রেণির ঘূর্ণিঝড় চিহ্নিত করা হয়েছে। সমুদ্রে শক্তি খুইয়ে দুর্বল হয়ে পড়ার আগে; ‘অশনি’র গতিবেগও ছিল ১০০-১১০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
দু-দিক থেকে দুটি ঘূর্ণিঝড় আসার ঘটনা; শেষবার ২০১৯ সালে বঙ্গোপসাগরে দেখা গিয়েছিল। সেবার ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এবং ‘লর্না’র অবির্ভাব ঘটেছিল একইসঙ্গে। তবে ‘লর্না’র প্রভাবে, ‘ফণী’র শক্তি হ্রাস পায় সেইসময়।
গত সপ্তাহে আন্দামান সাগরের কাছে; ‘অশনি’র উৎপত্তি। ধীরে ধীরে তা শক্তি বাড়িয়ে; ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। কিন্তু তারপরেই শক্তি হারিয়ে; দুর্বল হয়ে পড়ে ‘অশনি’। অন্যদিকে, ভারত মহাসাগরে ‘করিম’ মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে খোলা সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সে। তবে আমেরিকার জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে; খুব শীঘ্রই শক্তি হারাবে করিম।
]]>গতি বাড়িয়ে বাংলার উপকূলের আরও কাছে ‘অশনি’; দক্ষিণবঙ্গে সোমবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি, চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। রবিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ গতি বাড়িয়ে; তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবারই তা পৌঁছে যাবে; উপকূলের কাছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর, ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে অশনি; দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দিকে।
নয়া-দিল্লির মৌসম ভবনের দেওয়া শেষ খবর অনুযায়ী, সোমবার সকালে ঝড়টি পুরী থেকে ৭০০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে; এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আবহবিদদের অনুমান, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই; বাংলার উপকূলের কাছে চলে আসবে ‘অশনি’।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে; উত্তর অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অবস্থান। তারপর ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পূর্ব দিক পরিবর্তন করে; উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা উপকূলে অবস্থানের সম্ভাবনা।
অশনি-র প্রভাবে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিনবঙ্গেই; শুরু হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়; বৃষ্টি হচ্ছে হাওড়াতেও। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত; বাংলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সোমবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে; কলকাতা সহ উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড় কোন পথে স্থলভাগে ঢুকবে; তা এখনও স্পষ্ট নয়। সোমবার সকালে আবহাওয়া দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী; ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র তৈরি হয়নি। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের উপকূলের দিকে এগোনোর গতিবেগ জানা গেলেও; ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণাবর্তের গতি কতটা, স্থলভাগে সেটি প্রবেশ করলে কত গতিতে ঝড় হবে তা জানা যায়নি।
সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত; মত্স্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এদিকে, ‘অশনি’ মোকাবিলায় তৎপর রাজ্য প্রশাসন; সোমবার দুপুরে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যসচিব। কোথায় কী কী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে; সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।
]]>আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের প্রচারে ফিরদৌস, মমতার সঙ্গে জামাত জঙ্গি যোগের অভিযোগ রাহুলের
সপ্তাহের শুরুর দুদিন তীব্র দাবদাহ প্রত্যক্ষ করেছে রাজ্য। গরমে নাজেহাল জনজীবন। এরই মধ্যে স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলছে আবহাওয়া দপ্তর। যা টানা তিনদিন চলবে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের উপর রয়েছে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। যেটা পশ্চিম থেকে ভারতের দিকে আসছে। যেটা আমাদের রাজ্যের উপর দিয়েও যাবে। যার জেরে বৃষ্টি হবে বাংলাতেও।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের প্রচার করায় ফেরদৌসকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের
তবে ভোটের দিনে ঝড় বৃষ্টি ভোটারদের খুব একটা স্বস্তি দেবে না। তাই গরম থেকে বাঁচলেও ভোটের দিনে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে চলেছেন বাংলার তিন লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে চলেছেন ভোট কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরাও। চিন্তায় নির্বাচন কমিশনও।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ভোট প্রচারে বাংলাদেশী নায়ক, কড়া ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার
পশ্চিমি ঝঞ্ঝার পাশাপাশি এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের ওপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্যদিকে দক্ষিন পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা, যার জেরে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিনবঙ্গের সব জেলাতেই কমবেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চৌকিদারকে চোর বলে ভোটের মুখে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশ পেলেন রাহুল
তবে ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে বীরভূম, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে। কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন জেলা গুলোয় বিকেলের পর হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের বেলায় উষ্ণতা বাড়বে, সাথে বজায় থাকবে অস্বস্তি। আগামীকাল থেকে শুক্রবার অবধি দক্ষিনবঙ্গের সমস্ত জেলায় কম বেশি বৃষ্টিপাত হবে।
আরও পড়ুনঃ সরকারী কর্মীদের বদলির হুমকি দিয়ে ভোটের মধ্যেই বিতর্কে তৃণমূল নেতা
পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের জেরে আগামী দুদিন উত্তরবঙ্গেও প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদিন গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, আর সন্ধ্যে হতেই তুমুল ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত সহকারে ঝড়বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিন আবহাওয়ার এমনই রূপ প্রত্যক্ষ করেছে কলকাতা তথা দক্ষিনবঙ্গ। এবার সকালের দিকেও ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুনঃ কাশ্মীরে মেহবুবার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথরবাজদের হামলা
তাই গরম থেকে বাঁচলেও ভোটের দিনে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে চলেছেন বাংলার তিন লোকসভা কেন্দ্রের ভোটাররা। চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে চলেছেন ভোট কর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরাও। সব নিয়ে চিন্তায় নির্বাচন কমিশনও।
আরও পড়ুনঃ কোটি কোটি কালো টাকা উদ্ধারের পর ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আবারও ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী, যার জেরে রাতের মধ্যেই আকাশের মুখ ভার হতে শুরু হবে কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গে। বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা আর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই। ঘণ্টায় ৪৫-৫০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ঝড় বৃষ্টি চলবে বলে জানান হয়েছে। তবে কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হবে। দক্ষিণবঙ্গ এর ৭ জেলায় ভালোরকম বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহ ধরেই রাজ্যের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে দক্ষিনবঙ্গ সহ বাংলাদেশের ওপরে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী বৃষ্টি বলয়। যার জেরে আগামী কয়েকদিনে একাধিকবার টানা কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে রাজ্যে এই সপ্তাহে।
রবিবার রাতেই কালবৈশাখীর তান্ডব প্রত্যক্ষ করতে পারে কলকাতা গোটা দক্ষিণবঙ্গ। কয়েকদিন আগেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গে ঝড়ের তান্ডবে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তার রাস্তায় ভেঙে পড়ে অসখ্য গাছ। কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ভাঙে একাধিক কাঁচাবাড়ি। বৃষ্টি হয় দুই দিনাজপুর, মালদহেও। এবার দক্ষিনবঙ্গে ঝড় বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা।
কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গে সৃষ্ট বৃষ্টিবলয়ের জেরে ঘন্টায় ৪৫-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। আজ রাতেই আছড়ে পড়তে পারে কালবৈশাখী এবং ৩১শে মার্চ থেকে আগামী ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই দফায় দফায় রাজ্যে বৃষ্টিপাত চলবে, বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।
গত ১৭ই মার্চ ও ২২শে মার্চ পরপর দুবার কালবৈশাখী প্রত্যক্ষ করেছে কলকাতা। তাতে প্রানহানির খবরও এসেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতেও একই সাথে জোড়া কালবৈশাখী প্রত্যক্ষ করেছিল কলকাতা সহ দক্ষিনবঙ্গ। আর এবার এক সপ্তাহ আবারও টানা দুর্যোগের মুখোমুখি হতে চলেছে রাজ্য।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আলিপুর আবহাওয়া দপ্তেরের সুত্রে খবর, ভারতের পশ্চিম দিকে তৈরি হয়েছে এক নিম্নচাপ। সেই নিম্নচাপের কারনেই বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমবাংলার কিছু অংশে। বৃহস্পতিবার থেকেই সারা বাংলার আকাশ মেঘলা থাকবে সে কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা, কলকাতা ছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর ও বর্ধমান জেলায়। হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই জেলাগুলোতে।
বুধবার শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, যা সাধারন তাপমাত্রার থেকে ৩ ডিগ্রী বেশি। নিম্নচাপের কারনে তাপমাত্রা ওঠা নামা করবে বলেও জানা গেছে। বৃষ্টি হবার ফলে, সাধারন মানুষ উচ্চ তাপমাত্রা থেকে বাঁচলেও বৃষ্টির শেষে আবার গরম বাড়বে।
কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৩৫ ছুঁয়েছে। বৃষ্টি না হলে বসন্ত শেষ হওয়ার আগেই মানুষ গ্রীষ্মকালের মত গরম অনুভাব করবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সুত্রে খবর, বৃষ্টি হলেও বাংলার মানুষের অস্বস্তি কমবে না। শহরের আদ্রতা থাকবে তুঙ্গে, তাই ঘাম হবে।
ইতিমধ্যেই বসন্তে হওয়া ভারী বৃষ্টির কারনে বেশ ক্ষতি হয়েছে আলু এবং বেশ কিছু সব্জির। আবারও বৃষ্টি হলে কতটা ক্ষতি হবে চাষবাসের তা নিয়েও বেশ চিন্তিত চাষিরা।
অন্যদিকে, আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গেছে। আগামি এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বেশ কিছু জনপ্রিয় মুখ। মিমি এবং নুসরাতের মত অভিনেত্রীরা ভোটে দাঁড়িয়ে, প্রচারে নেমেছেন বৃহস্পতিবার থেকেই। এরপর দেখার, বৃষ্টির মধ্যে কি ভাবে এগোবে ভোট প্রচার।
তবে আপাতত বৃষ্টির জেরে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে বাংলার মানুষ। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রাজনীতির উত্তাপে এই বৃষ্টি মানুষকে কতটা ঠাণ্ডা করে সেটাই দেখার।
]]>আরও পড়ুনঃ মোদীর অরুণাচল সফর নিয়ে চিনকে উপযুক্ত জবাব দিল ভারত
আবার ফিরতে চলেছে শীতের আমেজ, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। নেপাল ও বিহার এর উপর একটি উত্তর দক্ষিণ নিম্নচাপ রেখা রয়েছে তার প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিকিম, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এ হালকা বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকছে। আর তার জেরেই রাজ্যে কমবে তাপমাত্রা। ফের জাঁকিয়ে পড়ছে শীত।
আরও পড়ুনঃ সমাজের রীতি ভেঙে বাংলার স্কুলে একি করল সুন্দরী ছাত্রী
দক্ষিণবঙ্গের আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যাবে। দার্জিলিং এ শনিবারের পর রবিবারেও তুষারপাতের সম্ভাবনা। আগামীকাল কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রি বিক্রি কমে যাবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল থেকে সামনের বেশ কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রীর আশেপাশে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলা দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলার নতুন একটি শিল্প
তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে না কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে। তাপমাত্রা কমবে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলোতে। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া তাপমাত্রা চলে আসবে ১০ এর কাছাকাছি বা তার নিচে। এর কারণ উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আবার ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে শুরু করবে রাজ্যে। পানাগড়, বাঁকুড়া, বর্ধমানেও তাপমাত্রা কমবে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুনঃ সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধন করে দিয়ে মমতার ‘বাড়া ভাতে’ ছাই দিলেন মোদী
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবার ফিরতে চলেছে শীতের আমেজ। নেপাল ও বিহারে একটি উত্তর-দক্ষিণ নিম্নচাপ রেখা রয়েছে। তারই প্রভাবে রবিবার সিকিম, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কমবে তাপমাত্রা।
আরও পড়ুনঃ নতুন যুদ্ধ, রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে মমতার দুই অফিসারকে ডেকে পাঠাল ইডি
উত্তরের পাশাপাশি আগামীকাল থেকেই কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে। কলকাতার তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রি কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে তিন তালাক বিরোধী আইন বাতিল করে দেবে কংগ্রেস
রবিবারের পর থেকে আগামী বেশ কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রির আশে পাশে থাকবে। বাকি জেলাগুলির তাপমাত্রাও অনেকটাই কমে যাবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আর এই তাপমাত্রা কমার রেশটা প্রায় এক সপ্তাহ বজায় থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
আরও পড়ুনঃ মমতার ধর্ণায় বসা পুলিশ অফিসারদের কড়া শাস্তি দিতে চলেছে মোদী সরকার
আরও পড়ুনঃ রাজীব কুমার ও কুনাল ঘোষ দুজনকেই শিলংয়ে ডাকল সিবিআই
আরও পড়ুনঃ বেকার যুবকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলায় তৈরি হচ্ছে ১০ লক্ষ চাকরি
আরও পড়ুনঃ মমতার বাংলায় ১ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন মুকেশ আম্বানি
আরও পড়ুনঃ সারদা রোজভ্যালি চিটফান্ড কাণ্ডে মমতার পুলিশ কর্তাদের বারবার তলব গোয়েন্দাদের
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>