WB Government – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Fri, 15 Mar 2019 12:46:31 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg WB Government – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূত মুখ পোড়াল রাজ্য সরকারের https://thenewsbangla.com/supreme-court-directed-the-west-bengal-government-to-ensure-the-screening-of-bhobishyoter-bhoot/ Fri, 15 Mar 2019 12:14:37 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=8531 ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শন কোন ভাবেই বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার রাজ্য সরকারকে নোটিশ পাঠিয়ে এমনই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশ মত,ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শন অবিলম্বে শুরু করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভবিষ্যতের ভূত মুখ পোড়াল রাজ্য সরকারের।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ রায় দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শন চালু করতে হবে। রাজ্য সরকারকে পাঠানো নোটিশে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজিপি কে।

আরও পড়ুনঃ অর্জুনকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, দীনেশ ত্রিবেদীকে ২ লাখ ভোট জেতাব

ভবিষ্যতের ভূত ছবিটি ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার পরে আচমকা একদিনের মধ্যেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ভবিষ্যতের ভূত ছবির প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছবিটি মুক্তির কিছুদিন আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক বলেছিলেন প্রথম ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’-এর সিক্যুয়েল একেবারেই নয় এই ছবিটি। এই ছবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়কে ভূতেদের মুখে সংলাপের মধ্য দিয়ে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন তিনি। আর সম্ভবত তার জন্যই এবার তাঁকে বিপাকে পড়তে হয়েছিল বলে ধারণা।

আরও পড়ুনঃ মমতার প্রার্থী তালিকা নিয়ে গোপনে ক্ষোভ বাড়ছে জেলায় জেলায়

১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার মুক্তি পাবার পরে অনীক দত্তের ‘ভবিষ্যতের ভূত’ সিনেমাটি ১৬ তারিখেই শহরের সিঙ্গেল স্ক্রিন ও মাল্টিপ্লেক্স গুলিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবিষয়ে পরিচালক অভিযোগ করেছিলেন,ছবিটি সিবিএফসি-র ছাড়পত্র পেয়েছে বলে সমস্যা হওয়ার কোনও কারণ নেই। তার পরও ছবিটি কী কারণে হল থেকে সরানো হল, তা নিয়ে তাঁকে প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে নজিরবিহীন ৭ দফা ভোটে সুবিধা বিজেপির

সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পরে রিলিজ হওয়ার সিনেমাটি স্যোশাল মিডিয়ায় যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দর্শকরা ছবিটি দেখতে গেলে তাঁদের প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, সিনেমাটি উঠে গিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও দর্শকদের শুনতে হয়ে, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল, সেন্সর বোর্ড কেন এধরণের সিনেমাকে ছাড়পত্র দিল? আর একবার ফিল্ম সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দেবার পর কোন অধিকারে পুলিশ ফিল্ম নিয়ে জানতে চায়? অন্য দিকে, ‘ভবিষ্যতের ভূত’ প্রেক্ষাগৃহে ফেরানোর দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেনের মতো বিশিষ্টজন। ছবি প্রদর্শন বন্ধ রাখার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় সোশ্যাল মিডিয়াও।

আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন

এদিকে ছবির পরিচালক অনীক দত্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, ছবিটি সিবিএফসি-র ছাড়পত্র পেয়েছে বলে সমস্যা হওয়ার কোনও কারণ নেই। তার পরও ছবিটি কী কারণে হল থেকে সরানো হল, তা নিয়ে তাঁকে প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে মুখ পুড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। ইতিমধ্যেই মিমি ও নুসরত এই নিয়ে মুখ না খোলায় সমালোচনার মুখে পরেছে তারাও।

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>
ডিএ মামলায় হাইকোর্টে ফের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের https://thenewsbangla.com/da-case-the-calcutta-high-court-cancel-state-wb-government-pitition/ Thu, 07 Mar 2019 11:40:40 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=7768 ডিএ মামলায় ফের মুখ পুড়ল রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে ফের লজ্জাজনক ভাবে মুখ পুড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। রাজ্যের রিভিউ পিটিশন বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে আগামী ১৩ মার্চ স্যাট মামলায় রায় দিতে কোন বাধা রইল না। আসল রায়ের আগেই ফের রাজ্য সরকারকে হারাল সরকারি কর্মীরা।

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্যের পুর্নবিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেন্দ্রের হারে কর্মীরা ডিএ পাবেন কি না তা হাইকোর্ট সিদ্ধান্ত নেয়নি। ফের স্যাট এ মামলাটি পাঠানো হয়েছে। আগামী ১৩ মার্চ স্যাটে ডিএ মামলার শুনানি রয়েছে। সেই কারণে রাজ্যের পুনর্বিবচনার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ৩১শে আগস্ট হাইকোর্টের পূর্বের রায়ই বহাল রাখল আদালত ।

ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার। এই ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য বলে আগেই পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে বলেছিল, ‘ডিএ ‌সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। রোপা আইন অনুযায়ী একজন সরকারী কর্মচারী ডিএ পেয়ে থাকেন। এটা কোনও সরকারের দয়া নয়’।

বকেয়া ডিএ নিয়ে ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর স্যাটে মামলা করেন সরকারি কর্মীরা। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়, মহার্ঘ ভাতা দয়ার দান। ডিএ দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে সরকারের ওপর। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গতবছর মার্চে হাইকোর্টে মামলা করে একাধিক কর্মী সংগঠন। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির শেষে ডিভিশন বেঞ্চ স্যাটের পূর্ববর্তী রায়কে খারিজ করে ফের স্যাটেই মামলা ফেরত পাঠায়।

পাশাপাশি বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ স্যাটের রায়ের সমালোচনা করে গাইডলাইন বেঁধে দেয় ট্রাইব্যুনালকে। ট্রাইব্যুনালকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে দ্রুত, সর্বাধিক ২ মাস সময় দেওয়া হল ট্রাইব্যুনালকে।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কী হারে মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকারের তরফে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট খারিজ করে দিল রাজ্যের আবেদন। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যে রায় দেওয়া হয়েছিল তা পুনর্বিবেচনার কোনও প্রশ্নই নেই। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, ডিএ দয়ার দান। এটা কর্মচারীদের কোনও অধিকার নয়। আদালত জানিয়েছিল, ডিএ কোনও দয়ার দান নয়। এটা কর্মচারীদের আইনি অধিকার।

বকেয়া ডিএ দেওয়া এবং তার হার নিয়ে হাইকোর্টে মামলা রুজু করেছিল কর্মচারী সংগঠনগুলি। ২০১৮ সালের অগস্ট মাসে সেই মামলার রায় ঘোষণা করে মামলাটিকে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে (স্যাট) পাঠিয়ে দেয় বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত এবং বিচারপতি শেখর ববি সরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে ডিএ কর্মচারীদের আইনি অধিকারের পাশাপাশি আদালত আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছিল, এ রাজ্যের কর্মচারীরা দিল্লি বা চেন্নাইতে থাকা কর্মচারীদের হারে ডিএ পাবে না কেন?

এই প্রশ্ন নিয়েই স্যাট-এ মামলা চলাকালীনই রাজ্যের তরফে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং শেখর ববি শরাফের এজলাসে পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি শেষ হয়। বৃহস্পতিবার রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে মামলাটিকে ফের স্যাটে পাঠিয়ে দেয় উচ্চ আদালত।

এ রাজ্যের বাইরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে সমস্ত দফতর আছে, সেখানকার কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের হারে মহার্ঘভাতা পান। স্যাটে মামলা চলাকালিনই রাজ্যের আবেদন জানানো হয়, কর্মচারী সংগঠন কোথাও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-এর দাবি জানায়নি। আদালত এই ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করুক।

সেই মামলার রায়ে আগের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা যে হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদেরও সেই এক হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। এখন দেখার ডিএ মামলা নিয়ে শেষ পর্যন্ত আগামী ১৩ মার্চ কী রায় দেয় স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল।

]]>