তাহলে কেন নিজেই নিজেকে আউট ঘোষণা করে; ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন বিরাট। উত্তর খুঁজছেন কমেন্টটেটাররাও। উত্তর খুঁজছেন ক্রিকেট পণ্ডিতরাও। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে; ৩৩৬ রান করে ভারত। ৪৮ তম ওভারে ব্যক্তিগত ৭৭ রানে; মহম্মদ আমেরের বলে পাক উইকেটকিপার ও ক্যাপ্টেন সরফরাজ এর হাতে ক্যাচ দিয়ে; আউট হন ভারত ক্যাপ্টেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে তুলকালাম সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যঙ্গের মুখে অভিনন্দন
৪৮ তম ওভারে মহম্মদ আমেদের একটি বল; বিরাট ব্যাটে লাগাতে না পারায় সোজা যায় পাক উইকেটকিপার ও ক্যাপ্টেন সরফরাজ এর হাতে। পাক ক্যাপ্টেন আউটের আবেদন করেননি। সেই মুহূর্তেই সবাইকে অবাক করে; উইকেট ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান বিরাট।
আরও পড়ুনঃ কেন সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন যুবরাজ
যদিও ফিল্ড আম্পায়ার বিরাটকে আউট দেননি। কিন্তু বিরাট নিজেই; মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে যান। পরে রিপ্লেতে ও আলট্রা এজে পরিষ্কার দেখা যায়; আমেরের বল বিরাটের ব্যাটে লাগেই নি। তাহলে কেন ভারত পাক ম্যাচের মত বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে; এইভাবে বিনাকারনে উইকেট ছুঁড়ে বেড়িয়ে গেলেন ভারত ক্যাপ্টেন?
আরও পড়ুনঃ এশিয়া কাপ পাকিস্তানে, ভারতের কি খেলতে যাওয়া উচিত
ম্যাচ হারলে এই নিয়ে কিন্তু জবাবদিহির মধ্যে; পড়তে হতে পারে বিরাটকে। কারণ বিরাট চলে যাবার পর; অন্তত ১৫-২০ টা রান কম হয়েছে বলেই মত ক্রিকেট মহলের। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের ক্রিকেট মহলের কাছে এটাই এখন বড় প্রশ্ন; পাকিস্তান ম্যাচে আউট না হয়েও কেন মাঠ ছাড়লেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি? কেন?
]]>গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২১ থেকে নামার পর; ধরা পড়ার পরে পাকিস্তান সেনার মুখোমুখি হন। তখন তাকে আটক করে শুরু হয় বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্ব; জবাবদিহির পালা। তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তৈরী করা হয়; একটা ভিডিও ফুটেজ।
পাকিস্তান ওই মুহূর্তের যে ভিডিও শেয়ার করেছিল; তাতে অভিনন্দনকে বলতে শোনা গিয়েছিল; আমি দুঃখিত; আমি আপনাদের এই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। অভিনন্দন বর্তমানের সেই সময়কার মুহূর্তই; তুলে ধরা হয়েছে পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে।
আরও পড়ুনঃ কেন সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন যুবরাজ
বিজ্ঞাপনে অভিনন্দনের মতো একটি লোককে; অভিনয় করতে দেখা যায়। এমনকি অভিনন্দনের মতোই গোঁফ রয়েছে তার এবং আটক হওয়ার সময় যে বক্তব্য দিয়েছিলেন; সেই একই কথা বলতে শোনা যায় ওই ব্যক্তিকে। সেখানে তিনি বলেন; আমি দুঃখিত; আমি আপনাদের এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।
বিজ্ঞাপনে অবশ্য ওই ব্যক্তিকে ম্যাচ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। নীল জার্সি পরিহিত ওই ব্যক্তির হাতেও অভিন্দননের মতো; ধরা ছিল একটি সাদা কাপ। আর এই বিজ্ঞাপন প্রচার হওয়ার পর; সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় নিন্দার ঝড়। অনেকেই এই বিজ্ঞাপনকে ‘সস্তা’ ও ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।
আরপিজি এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইট করেন; “আমাদের হিরো অভিনন্দনকে ব্যঙ্গ করাটা; পাকিস্তানের এক লজ্জাজনক কাজ। আমাদের উচিত প্রতিশোধ নেওয়া”। টুইটারে আর একজনের বক্তব্য; “অন্তত কফি কাপটা বাঁচিয়ে রাখুন; আপনারা তো বিশ্বকাপ সামলাতে পারেন না”।
অনেকে আবার বলছেন; অভিনন্দনকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার কোনো অধিকার নেই পাকিস্তানের। তারা বলছে, পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে খেলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। ভারতের রয়েছে অপ্রতিরোধ্য সব খেলোয়াড়। আবার অনেকে বলেছেন; পাকিস্তান মেনে নিচ্ছে একমাত্র কাপ যেটা তারা জিততে পারে সেটা এই চায়ের কাপ।
]]>আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেতাদের মানসিক রুগী বলে কটাক্ষ মমতার
লোকসভা ভোট অবাধ ও স্বতঃস্ফূর্ত করার জন্য বিরোধীদের উদ্দেশে ট্যুইট বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখলেন আরও বেশি সংখ্যক ভোটারকে উৎসাহ দিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। প্রথম ট্যুইটে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব ও ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিনকে ট্যাগ করেন মোদী। তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, লোকসভা নির্বাচনে যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ অংশ নিতে পারেন সে ব্যাপারে উৎসাহ দিন বিরোধীরা।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ৪২টি কেন্দ্রকেই স্পর্শকাতর ঘোষনার দাবি বিজেপির
পরের ট্যুইটে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুকে ট্যাগ করে একই বার্তা দেন মোদী। এরপর বেশ কয়েকটি ট্যুইটে দেশের সেলিব্রিটি অভিনেতা থেকে প্রযোজক, খেলোয়াড় থেকে শিল্পপতি, যোগগুরু থেকে বিশিষ্ট সমাজকর্মী, সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ও অন্যদের ভোটদানে উৎসাহিত করার আবেদন রাখেন মোদী।
আরও পড়ুনঃ রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রহস্য রাখলেন ডিপ্লোম্যাটিক সুন্দরী বৈশাখী
টুইটে আর কি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী? টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘নতুন প্রজন্মের অনেকেই আপনাদের অনুগামী। এটাই উপযুক্ত সময় আপনাদের বলার জন্য। আমাদের সময় এসে গিয়েছে। তাই এই সময়ে চূড়ান্ত জোশ নিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে। কারণ এটাই গণতন্ত্রের বড় কাঠামো’। এই টুইটের মধ্য দিয়ে দুটি বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক, সবাই যাতে ভোট দিতে আসেন তার প্রচার করতে। দুই, নতুন প্রজন্মের ভোট দান অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কাজে না লাগিয়ে আর ফেলে রাখা যাবে না
তিনি এই টুইটটি প্রথম করেন তাঁর বিরোধী সাতজন রাজনীতিবিদকে। যাঁরা এই লোকসভা নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর। তাঁরা হলেন, রাহুল গান্ধী, মমতা ব্যানার্জি, শরদ পাওয়ার, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব এবং এমকে স্ট্যালিন। জাতীয় রাজনীতিতে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এখন নরেন্দ্র মোদীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যে কোনও মুহূর্তে তাঁরা জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট পাল্টাবার ক্ষমতা রাখেন।
আরও পড়ুনঃ লোকসভা ভোটের আগে পাকিস্তানে ফের একটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হবে
তাই তাঁদেরকে আগে টুইট করেছেন মোদি বলে মনে করছেন অনেকে। পরের ট্যুইটে বাকি রাজনীতিবিদের ট্যাগ করেন মোদী। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুকে ট্যাগ করে একই বার্তা দেন মোদী।
আরও পড়ুনঃ পুলিশে ভরসা নেই, একমাস আগেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকেও তিনি পৃথকভাবে টুইট করেছেন। আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ভোট চলবে গোটা দেশে। তাই নিজের ব্যক্তিগত ইমেজকে তুলে ধরতেই এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে খবর। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল লতা মঙ্গেশকর এবং এআর রহমানকেও টুইট করেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এই ভোট হল মানুষের আওয়াজকে শক্তিশালী করার পথ’।
আরও পড়ুনঃ উত্তর পূর্বে অসম গণ পরিষদের সাথে বিজেপির মহাজোট চূড়ান্ত
বলিউডের অভিনেতা দীপিকা পাড়ুকোন, অনুষ্কা শর্মা, রনবীর সিংহ, ভিকি কৌশল, বরুন ধওয়ান, আলিয়া ভাটের মতো তরুণ অভিনেতাদের নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, দেশের যুব সম্প্রদায়কে তাঁরা যেন ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানান। পাশাপাশি, অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেণ্ডুলকর, শাহরুখ খান, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, এ আর রহমানের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বের কাছেও একই আবেদন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ বাংলার কোন লোকসভা আসনে কবে ভোট দেখে নিন
আরও পড়ুনঃ মুনমুন সেনকে দাঁড় করিয়ে আসানসোলে কি বাবুল সুপ্রিয়কে ওয়াকওভার দিলেন মমতা
আরও পড়ুনঃ সমস্ত তর্জন গর্জন সার, তৃণমূলের বাতিল সাংসদকে দলে নিয়ে মুখ রক্ষা মুকুলের
আরও পড়ুনঃ লাস্যময়ী নুসরত ও সুন্দরী মিমিই এবার মমতার চমক
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>এর আগে নিহত জওয়ানদের জন্য নীরবতা পালন বা জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে কালো ব্যান্ড পরে খেলোয়াড়েরা নেমেছেন। কিন্তু এবার নজিরবিহীন দৃশ্য দেখল রাঁচী। নিহত জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় ক্রিকেট-বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে এতকালের ব্যবহৃত টুপিটাই বদলে দিল কোহালি, মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাথায় আজ ভারতীয় সেনার টুপি।
ভারতীয় বোর্ডই ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সেনার টুপিতে কোহলিদের মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়। শত্রুপক্ষ বা জঙ্গীদের থেকে নিজেদের আড়াল করতে ঝোপঝাড়ের সঙ্গে মিশে থাকা যে সবুজ এবং খয়েরি রংয়ের টুপি ব্যবহার করে সেনাবাহিনী, ধোনির ঘরের মাঠে সেটাই পরতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। সমস্যা ছিল, দলের সব সদস্যের জন্য দ্রুত এই বিশেষ ধরনের টুপির ব্যবস্থা করা। শুক্রবার সকালেই নাকি সকলের জন্য টুপি পৌঁছে যায়।
পুলওয়ামার জের এমনিতেই খেলায় এসে পড়েছে পুরোদস্তুর। ভারতীয় বোর্ড পাকিস্তানের নাম না-করে আইসিসি-র কাছে দাবি জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশের’ সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। ভারতের সেই দাবি ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা উড়িয়ে দিলেও ভারতীয় বোর্ড এদিন ফের বলেছে, “তারা পিছিয়ে আসছে না”। এখনও বোর্ড বলে চলেছে, সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া দেশকে বহিষ্কারের দাবিতে তারা অনড়।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা উচিত কি না, তা নিয়ে তর্ক উঠেছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, হারভজন সিংহের মতো প্রাক্তনরা বলেছেন, পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে বয়কট করা উচিত। আবার সুনীল গাভাস্কার, শচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তিরা বলেছেন, না-খেলে পাকিস্তানকে দুই পয়েন্ট দিতে যাব কেন? ভারতের খেলাই উচিত। এর মধ্যেই ধোনি-কোহলিদের ফৌজি টুপিতে মাঠে নামার এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মহলে কী প্রভাব ফেলে, সেটাও দেখার।
ভারতীয় দলে সেনাবাহিনীর প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন যথেষ্টই রয়েছে। নিজের শহরে যিনি শেষ ম্যাচ খেলতে নামছেন, সেই ধোনিই যেমন ভারতীয় সেনার সব চেয়ে বড় ভক্ত। তিনি ভারতীয় টেরিটরিয়াল আর্মির সাম্মানিক লেফটন্যান্ট কর্নেল। ধোনির ক্রিকেট সরঞ্জামের ব্যাগও সেনার পোশাকের আদলে তৈরি।
টেরিটরিয়াল আর্মির সাম্মানিক লেফটন্যান্ট কর্নেল হওয়ায় অনেক সময়েই তাঁকে সেনাবাহিনীর জ্যাকেট বা ট্রাউজার্স পরতে দেখা গিয়েছে। সেনা ঘাঁটিতে গিয়ে ট্রেনিংও করেছেন ধোনি। নিজের শহরে শেষ ম্যাচে সেনার টুপিতে মাঠে নামতে তিনি বেশ উৎসাহীই বলে জানিয়েছেন। অধিনায়ক কোহলি-সহ অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারই পুলওয়ামার ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন। এমনকি, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা নিয়েও তাঁরা বলেছেন, দেশ এবং বোর্ড যা ঠিক করবে, সেটাই তাঁরা মানবেন।
কারও কারও যদিও মনে হচ্ছে, আইসিসি যে তাদের দাবি উড়িয়ে দিল, তারই প্রত্যাঘাত করতে চাইছে না তো ভারতীয় বোর্ড? ধোনি-কোহলিদের ভারতীয় সেনার টুপিতে মাঠে নামিয়ে বোর্ড কি নিয়ামক সংস্থাকে বার্তা দিতে চাইছে যে, তাদের প্রতিবাদ চলবেই!
]]>দেখুন বিরাটের ভিডিওঃ
বুধবার নিজের টুইটারে এক ভিডিও পোস্ট করেন বিরাট কোহলি। সেই ভিডিওতে বিরাট বলেছেন, ‘শুধু আজ, আগামী কাল বা গতকালই নয়, প্রতিদিনই কেন সম্মান করা হবে না মেয়েদের? একটা দিন এবং বাকি ৩৬৪ দিন, প্রতিদিনই নারীদিবস’। এর আগেও বহুবার বিরাট কোহলি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বা সামাজিক মঞ্চে নারীদের সম্মান করার বার্তা দিয়েছেন। নিজের মা ও স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা ও সম্মান নানান সময় তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘তাজমহল’ গড়া শেষ না করেই মারা গেলেন ‘শাহজাহান’
সোমবারই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই জিতে ৫ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেছে টিম ইন্ডিয়া। ফলে বেশ চনমনে মেজাজে রয়েছে বিরাট-সহ গোটা দল। আর বৃহস্পতিবার নারীদিবস উপলক্ষ্যে বুধবারই ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন ক্যাপ্টেন কোহলি। যেখানে একদিকে তাঁকে মা সরোজ কোহলি এবং অন্যদিকে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্পের বেশ কিছু অজানা কাহিনী
প্রত্যেক মহিলাকে নারীদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিরাট লিখেছেন, ‘আমার জীবনের দুই সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলাকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। একজন আমার মা। যিনি কঠিন সময়ে পরিবারকে একা হাতে সামলেছেন। আরেকজন অনুষ্কা। সব প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে ঠিক জিনিসটা বেছে নেওয়া এবং চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনার জন্য ওকে অভিনন্দন জানাই’।
আরও পড়ুনঃ যৌনতা কেন্দ্রিক বিনোদনের জন্য বিশ্বের সেরা ২০ টি ঠিকানা
বিরাট এও বলেন ‘পুরুষ আর নারী কোনদিনই সমান নয়, যৌন নিগ্রহ, লিঙ্গ বৈষম্য, পারিবারিক হিংসা, জুলুমের শিকার হওয়া সত্ত্বেও জীবনের প্রতিটি রাস্তাতেই নারীরাই পথ দেখাচ্ছে। এরপরও মনে হয় তারা সমান? না, তারা সাম্যের উর্ধে’। অর্ধেক আকাশ না, গোটা আকাশটাই নারীদের।
আরও পড়ুনঃ মেয়াদ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচের
আর এই ভাবেই ভারতের প্রত্যেক মহিলাকে নারীদিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আর এই কারনেই মহিলা মহলে বেশ জনপ্রিয় কোহলি। আর এই বার্তার পর এই জনপ্রিয়তা যে আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ পাকিস্তান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রিলায়েন্সের মুকেশ আম্বানির
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে আলোড়ন ফেলে চুমু খেতে রাজি সোফিয়া
আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
]]>আরও পড়ুনঃ চিন সীমান্তে ভগবান হয়ে পর্যটকদের উদ্ধার ভারতীয় সেনার
দরকার ছিল মাত্র আর দুই উইকেট। তা হলেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ২-১ লিড নিয়ে নিত ভারত। রবিবার বক্সিং ডে টেস্টের পঞ্চম দিনে নজর ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। চতুর্থ দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ২৫৮/৮। জিততে প্রয়োজন ১৪১ রান। ভারতের দরকার ছিল ২ টি উইকেট।
আরও পড়ুন: রবিবার বাংলাদেশ ভোটে ফের শেখ হাসিনা বনাম খালেদা জিয়া
তৃতীয় টেস্ট জয়ে কোহলি অ্যান্ড কোম্পানির সামনে কাঁটা দুটি। বৃষ্টির আশঙ্কা এবং ৬১ রানে অপরাজিত প্যাট কামিন্স। সকালেই এই বৃষ্টি ভারতের সামনে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এনেছিল। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বছর পর মেলবোর্নে জিতল ভারত। ১৩৭ রানে জিতল ভারত। এর আগে মেলবোর্নে ভারত জিতেছিল ১৯৭৭ ও ১৯৮১ সালে।
আরও পড়ুনঃ ভক্তকে বিখ্যাত করে বিপদে ফেলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি
শচীন, সৌরভ, দ্রাবিড়, কুম্বলে, ধোনির আমলেও মেলবোর্নে জেতে নি ভারত। কখনোই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক সিরিজে দুটো টেস্ট জেতে নি ভারত। ফোর্থ ও লাস্ট টেস্ট সিডনিতে। জিতলে বা ড্র করলে ভারত প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া থেকে সিরিজ জিতে আসতে পারবে। সেটা বিরাটের এই টিমের পক্ষে সম্ভব বলেই মনে করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিশ্বরেকর্ডের দোরগোড়ায় বাঙালি
প্রথম ইনিংসে বিধ্বংসী বোলিং করে অস্ট্রেলিয়াকে একা শেষ করে দেওয়া বুমহরা ম্যান অফ দ্য ম্যাচ। দু ইনিংসে ৮৬ রানে ৯ উইকেট বুমরার। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একাই শেষ করে দিয়েছিলেন জশপ্রিত বুমহরা।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দাবি ‘কলা আর বউ’
এই টেস্ট জিতে নিজের ১৫০ তম টেস্ট জিতল ভারত। ক্যাপ্টেন সৌরভ গাঙ্গুলির বিদেশের মাঠে ১১ টি টেস্ট জেতার রেকর্ড স্পর্শ করলেন বিরাট। ২০ টি শিকার ধরে এখনই এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি শিকার ধরা ভারতীয় উইকেটকিপার হয়ে গেছেন রিশভ পন্থ। সিডনীতে সেই রেকর্ড আরও উন্নত হবে।
আরও পড়ুনঃ ডন ব্র্যাডম্যানের ঠিক পরেই ‘রানমেশিন’ বিরাট কোহলি
জেতার পর চাপা পড়ল বিরাটের অস্ট্রেলিয়াকে ফলো অন না করানোর বিতর্ক। বৃষ্টির জন্য টেস্ট ড্র হয়ে গেলে অনেক সমালোচনার মধ্যে পড়তে হত ক্যাপ্টেন বিরাট ও কোচ শাস্ত্রীকে।
একনজরে দেখে নি তৃতীয় টেস্টের রেজাল্ট: ইন্ডিয়া প্রথম ইনিংস ৪৪৩-৭(decl)/অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ১৫১/ইন্ডিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ১০৬-৮(decl)/অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস ২৬১। ইন্ডিয়া জিতল ১৩৭ রানে।
পড়ুন ফুটবল নিয়ে হাড় হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্পঃ
প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
আরও পড়ুনঃ ভক্তকে বিখ্যাত করে বিপদে ফেলে দিয়েছেন লিওনেল মেসি
২৫ নাম্বার টেস্ট সেঞ্চুরি হয়ে গেল ভারতীয় অধিনায়কের। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম, ১২৭ ইনিংসে ২৫তম সেঞ্চুরিয়ান হলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ফলে টেস্ট ক্রিকেটের কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যানকে বাদ দিলে এত কম ইনিংসে ২৫টি সেঞ্চুরির রেকর্ড আর কোন ক্রিকেটারের নেই। এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় মাটিতে দ্রুততম ১০০০ রান করতে ব্রাডম্যানকেও হারিয়ে দিয়েছেন তিনি।
২৫টি সেঞ্চুরি করতে ব্র্যাডম্যান নিয়েছিলেন মাত্র ৬৮টি ইনিংস। রেকর্ডটা এখনও তাঁরই দখলে। আর ১২৭ ইনিংসে ২৫তম সেঞ্চুরি করে ডনের ঠিক নিচেই বসলেন কোহলি। তালিকার তিন ও চার নম্বরে রয়েছে আরও দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। তারা হলেন শচীন তেন্ডুলকর(১৩০ ইনিংস) ও সুনীল গাওস্কার।
আরও পড়ুন: সপ্তশৃঙ্গর পর সপ্ত আগ্নেয়গিরি, বিশ্বরেকর্ডের দোরগোড়ায় বাঙালি
অস্ট্রেলিয়ায় ৬টি সেঞ্চুরি করে গ্রেট শচীন তেন্ডুলকরকে ছুঁলেন বিরাট। মিচেল স্টার্ক এর বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে নিজের ২৫তম সেঞ্চুরি করে ফেললেন ভারত ক্যাপ্টেন। মাত্র ৭৫ টেস্টে। অর্থাৎ ৩ টি টেস্ট পিছু ১টি সেঞ্চুরি ভারতের রানমেশিনের।
আরও পড়ুন: সৌরভের পর বিরাট ওষুধে স্লেজিং শেষ অস্ট্রেলিয়ার
এদিনের সেঞ্চুরিকে বিরাটের অন্যতম সেরা বলা হচ্ছে। ফাস্ট বাউন্সি পিচে যেখানে দুদলের ব্যাটসম্যানরাই সমস্যায় পড়েছেন সেখানে খুব সহজেই খেলেছেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়ার কোন বোলারই বিরাটের বিরুদ্ধে তেমন দাগ কাটতে পারেন নি।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে মিশেল স্টার্ককে স্ট্রেট ড্রাইভ হাঁকিয়ে ১০০ করেন বিরাট। ২১৪ বলে শতরানের এই ইনিংসে মোট ১১টি চার মেরেছেন বিরাট। শনিবার যখন তিনি ক্রিজে আসেন, তখন ভারতের অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে করা ৩২৬ রানের উত্তরে টিম ইন্ডিয়া তখন আট রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। সেখান থেকেই একার হাতে খেলা ধরেন বিরাট।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দাবি ‘কলা আর বউ’
অস্ট্রেলিয়ায় ৬টি সেঞ্চুরি করে বিরাট স্পর্শ করলেন শচীন তেন্ডুলকরকে। পেরিয়ে গেলেন কুক, গাওয়ার ও লয়েডকে। যদিও শচীন ৬টা সেঞ্চুরি করতে অস্ট্রেলিয়াতে ২০টি টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু বিরাট মাত্র ১০টি টেস্ট খেলেই ৬টি সেঞ্চুরি করলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
আরও পড়ুনঃ নেতাদের গুন্ডা পোষা না গুন্ডাদের নেতা হওয়া, প্রকাশ্যে বন্দুকবাজির কারন কি
শুধুমাত্র জ্যাক হবস ৯টি ও ওয়ালি হামন্ড ৭টি সেঞ্চুরি করে, সফরকারী দলের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডে বিরাটের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে যেভাবে ভারত ক্যাপ্টেন খেলছেন তাতে জ্যাক হবস ও ওয়ালি হামন্ড এর রেকর্ডও যে কোন দিন ভেঙে যাবে বলেই মনে করছেন এক্সপার্টরা। হয়ত এই সিরিজেই। ‘বিরাট রামমেশিন কোহলি’র হাতে ভাঙছে একের পর এক ক্রিকেট রেকর্ড।
পড়ুন ফুটবলের হাড় হিম করা অদ্ভুত সত্য গল্প
পড়ুন প্রথম পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন দ্বিতীয় পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
পড়ুন তৃতীয় ও শেষ পর্বঃ পৃথিবী এগোলেও তান্ত্রিকের কালো জাদু টোনায় ডুবে আফ্রিকা
]]>প্রতিপক্ষের বোলার কিংবা ব্যাটসম্যানকে কিছু বলে তাতিয়ে দেওয়া, ক্রিকেটে খুব সাধারণ একটি ব্যাপার। আর এই কাজে অস্ট্রেলিয়াই সবার থেকে এগিয়ে ছিল বহু বছর ধরে।
তারাই কিনা এখন স্লেজিং ও আগ্রাসন এড়িয়ে যাচ্ছে! অন্য সবার মত বিষয়টি চোখে লেগেছে ফাফ ডু প্লেসি আর মিচেল জনসনের। অজি ক্রিকেট থেকে হঠাৎ স্লেজিং হারিয়ে যাওয়াটা ঠিক মানতে পারছেন না তারা। অবাক হচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও।
ডু প্লেসির নেতৃত্বে সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু অন্য সময়ের চেয়ে এবার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। অজিরা ছিলেন ঠাণ্ডা মেজাজে।
আসলে বল টেম্পারিং ইস্যুতে স্টিভেন স্মিথ- ডেভিড ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞার পরই বদলে গেছে তাদের ক্রিকেট অঙ্গন। অচেনা এই অস্ট্রেলিয়াকে দেখে ডু প্লেসির কিছুটা হলেও অস্বস্তি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অনেক বদলে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। মাঠে বিপক্ষকে উত্যক্ত করার প্রবণতা ওদের আগের চেয়ে অনেক কম’।
বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েই অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা তাদের চিরসেনা আগ্রাসী রূপ দেখিয়েছিল বলেই দুই মেজাজের তফাতটা খুব ভাল ভাবে টের পাচ্ছেন ডু প্লেসি, ‘ওখানে যা হয়েছিল, তার তুলনায় এখন ওরা অনেক নরম। মাঠে আগের মতো আর বেশি কথা বলে না ওরা। বরং ক্রিকেটের মাধ্যমে নিজেদের বেশি প্রকাশ করার চেষ্টা করছে। ক্রিকেটটা সাধারণত যে রকম হয়, সে রকমই হচ্ছে এখানে’।
ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা হিসেবে পরিচিত। তাই বলে ‘স্লেজিং’ চর্চা একেবারে বন্ধ করে দেয়া উচিত নয় বলে মনে করছেন ডু প্লেসি, ‘এটা ঠিক, যে নিয়মের মধ্যে থেকেই সব কিছু করা উচিত। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি ক্রিকেটারদের নিজেদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলো একেবারে দূরে সরিয়ে দিতে হয়, তা হলে তার প্রভাব তো পারফরম্যান্সে পড়তেই পারে’।
২০১৪ সালে যখন অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল ভারত, সেবার কোহলির সঙ্গে লড়াইটা ভালোই জমেছিল মিচেল জনসনের। মেলবোর্ন টেস্টে ভারতীয় ব্যাটিং তারকাকে বল ছুঁড়ে বিতর্কেও জড়ান তিনি। দীর্ঘ চার বছর পর আবারও ঘরের মাটিতে ভারতকে আতিথ্য দিচ্ছে অজিরা।
বৃহস্পতিবার, টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল তাদের লড়াই। আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে, সম্প্রতি এক টুইটের জবাবে মিচেল জনসন লিখেছেন, ‘স্লেজিং বন্ধ হলে তো বিরাটের সেই আগ্রাসী বিদায় দেওয়ার দৃশ্যও দেখতে পাচ্ছি না’।
জনসনের টুইটেই স্পষ্ট- অজি ক্রিকেটে স্লেজিং বন্ধ হওয়াটা মানতে পারছেন না তিনিও। তবে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের আগেই তাদের সতর্ক করেছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ভুলেও বিরাট কোহলি ও তাঁর টিমকে স্লেজ না করতে।
কারণ স্লেজিং এ নাকি বিরাট কোহলি উত্তেজিত হলে তাঁর খেলা আরও ভালো হয়ে যায়। আর তাই এই সফরে মুখ বুজে ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার।
তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইংল্যান্ডের সঙ্গে এখন আর সেই তফাৎ নেই অস্ট্রেলিয়ার। ফারাক আর নেই। বলে বলে একা ম্যাচ বের করে নেবার ক্রিকেটাররা অবসর নিয়েছেন। আর তাই ব্যক্তিগত দক্ষতা কমায় তাদের স্লেজিংও শেষ।
সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিযুক্ত ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান কর্তারা আবার বিরাট কোহলিকে অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হতে বারণ করেছেন। তবে টিম যখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আর উল্টো দিকে যখন বিরাট কোহলি, তখন মাঠে যখন খুশি ফিরে আসতে পারে স্লেজিং ও আক্রমণাত্মক আচরণ।
]]>বিশ্বকাপের কোন ক্রিকেট ম্যাচে বা আইসিসির কোন ইভেন্টে আগে কখনও এমন হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হওয়া মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপে একসঙ্গে ব্যাট করতে দেখা গেল এক বিবাহিত দম্পতিকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ডেন ভ্যান নিয়েকার্ক ও মারিজানে কাপ দম্পতি তাই নজির গড়লেন বিশ্ব ক্রিকেট ইতিহাসে। তৃতীয় উইকেটে তাঁদের ৬৭ রানের পার্টনারশিপ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জেতাল দলকে।
আরও পড়ুনঃ ‘দরাজ নিমন্ত্রণে’ মায়ের শ্রাদ্ধে লোক খাওয়াতে ঘুম উধাও বাংলার বিধায়কের
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে নিয়েকার্ক-মারিজানে মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করলেন ৬৭ রান। ৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর এই জুটিই সাত উইকেটে জয়ের ভিত গড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
৪৪ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন মারিজানে। মারলেন চারটি চার ও একটি ছয়। আর নিয়েকার্ক ৪৫ বলে অপরাজিত থাকলেন ৩৩ রানে। তাঁর ইনিংসে রয়েছে দুটো চার। এই দম্পতির উভয়েই বল হাতে উইকেটও নিয়েছেন।
এই বছরই ৮ জুলাই নিয়েকার্ক বিয়ে করেন সতীর্থ মারিজানেকে। বলা যায় দুজন দুজনকে বিয়ে করেন। ফেসবুকে ও ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ঘোষণা করেছিলেন মারিজানে ও নিয়েকার্ক। বিয়েতে এসেছিলেন দুইজনের অধিকাংশ সতীর্থই।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতীয় ক্রিকেটারদের দাবি ‘কলা আর বউ’
দুজনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় কয়েক দিনের ব্যবধানে ২০০৯ বিশ্বকাপে। ২০০৯ এর ৮ মার্চ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমবার দেশের জার্সি গায়ে চাপান নিয়েকার্ক। দুদিন পর ১০ মার্চ অস্টেলিয়ার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় মারিজানের। তারপর থেকে দুজনেই আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দলের বড় ভরসা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েকার্ক-মারিজানেই অবশ্য একমাত্র দম্পতি নন। গত বছরই বিয়ে করেছেন নিউজিল্যান্ডের দুই মহিলা ক্রিকেটার অ্যামি স্যাটারওয়েট ও লিয়া তাহুহুর। তবে এই প্রথমবার আইসিসির-র কোনও প্রতিযোগিতায় একসঙ্গে ব্যাট করলেন কোন বিবাহিত দম্পতি।
আরও পড়ুনঃ টি ২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হেলায় হারাল ভারত
নিউজিল্যান্ডের দুই মহিলা ক্রিকেটার অ্যামি স্যাটারওয়েট ও লিয়া তাহুহুর এবং দক্ষিণ আফ্রিকার দুই মহিলা ক্রিকেটার ডেন ভ্যান নিয়েকার্ক ও মারিজানে কাপ, গোটা বিশ্বের কাছেই সমলিঙ্গ বিয়ের উদাহরণ স্বরূপ।
আর তারপর একসঙ্গে ব্যাট করে বিশ্বকাপে ম্যাচ জিতিয়ে ভ্যান নিয়েকার্ক ও মারিজানে কাপ একটা নজির সৃষ্টি করলেন বলা যায়। এক্ষেত্রেও পুরুষদের টেক্কা দিলেন নারীরা। বিরাট কোহলিরা কবে এই রেকর্ড গড়তে পারবেন? কবে পুরুষদের বিশ্বকাপে দুই দম্পতিকে খেলতে এবং ম্যাচ জেতাতে দেখা যাবে, সেটাই এখন প্রশ্ন!
]]>আরও পড়ুন: ক্রিকেট ও সিনেমার দাম্পত্য প্রেমের করবা চৌথ
সমস্যাটা বহুদিনের। স্ত্রী বা সঙ্গিনীদের বিদেশ সফরে একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হবে কিনা। কখনও অনুমতি দেওয়া হয়েছে, কখনও আবার দেওয়া হয় নি। ‘নারী সঙ্গ করলে মাঠে পারফরম্যান্স খারাপ হবে’, ক্রিকেট কর্তাদের এই দাবি বরাবর উড়িয়ে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।
বিরাটদের আমলেও বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আসছিল, বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের সঙ্গে রাখার বিষয়টি। ভারতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা দাবিটা বেশি করে তুলছিলেন। যদিও, সেটা ছিল আড়ালে-আবডালে। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ইংল্যান্ড সফর থেকেই এবার জোরালোভাবে এই দাবি তুলেছেন।
ক্রিকেটারদের দাবি পৌঁছে গেছে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) এর কাছে। কোহলিদের এই দাবিতে বিসিসিআইও নড়েচড়ে বসেছে। কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) প্রধান বিনোদ রাই জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তড়িঘড়ি করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না তাঁরা। তবে বোর্ডের পরবর্তী সভায় এ প্রসঙ্গটি উত্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: নিক প্রিয়াঙ্কার নতুন বিলাসবহুল বাড়ির অন্দরমহলে
এ ব্যাপারে বিসিসিআই-এর এক কর্তা বলেছেন, ‘ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা দলের সঙ্গে সফরে যান। অবশ্য পুরো সময়টা থাকতে পারেন না। নির্ধারিত সময়ের পর দেশে ফিরে যেতে হয়। আর এই নিয়মেরই বদলের দাবি তুলেছেন কোহলিরা।’
অবশ্য এ বিষয়ে বোর্ডগুলো দ্বিধাবিভক্ত। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারও এমন দাবি তুলেছিলেন। তবে অনেকেই বলছেন, সফরে স্ত্রীরা সঙ্গে থাকলে ক্রিকেটারদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। অবশ্য ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা দুই সপ্তাহের জন্য স্ত্রীদের সঙ্গে রাখতে পারেন। পরে তাদের দেশে ফিরতে হয়। এই নিয়মেরই বদল চাইছেন তাঁরা।
বৌদের পাশাপাশি বেশি করে কলা খেতে চান বিরাটরা। গত ইংল্যান্ড সফরে ক্রিকেটারদের পছন্দ মত কলা সরবরাহ করতে পারে নি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আর ব্রেকফাস্ট সহ সবসময়ই কলা খান ভারতীয় ক্রিকেটাররা। পর্যাপ্ত কলা সাপ্লাই দেবার দাবিও তুলেছেন বিরাটরা।
বিশ্বকাপ শুরুর অনেক আগে থেকেই তাই এই দুটো দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে মেন ইন ব্লু ব্রিগেড। সঙ্গে জিম সহ ভালো হোটেল, সফরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাবার জন্য একটা রেল কোচ, এইসব দাবি তো আছেই।
আরও পড়ুন: ভাইরাল ছবির জেরে ‘দুধের বাচ্চা’ নিয়ে বদলি মহিলা পুলিশ
বিদেশ সফরে দাবি দাওয়া নিয়ে আগে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনা হত বিসিসিআই কর্তাদের। এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারতীয় ক্রিকেটে বসেছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস। তাই ক্রিকেটাররা তাদের দাবি দাওয়া রেখেছেন কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) এর কাছে।
এখন দেখার এটাই যে, কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস (সিওএ) বিরাটদের এই দাবি মেনে নেয় কিনা। আপাততঃ এই নিয়ে কি সিদ্ধান্ত হয় সেটা দেখার জন্য ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রিকেট কর্তারাও।
]]>