TMC Workers – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Mon, 17 Jun 2019 05:59:00 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg TMC Workers – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 থানা ঘেরাও করে পুলিশকে হুমকি তৃণমূলের, সেই পুলিশের প্রশংসায় বিজেপি https://thenewsbangla.com/durgapur-industrial-zone-bjp-vs-tmc-workers-syndicate-occupation/ Mon, 17 Jun 2019 05:50:49 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13937 এবার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের খনি এলাকায়; পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করলো শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে; তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি এবং হেনস্তার অভিযোগে; লাউদোহা থানা ঘেরাও করল তৃণমূল কর্মীরা। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পুলিশকে দেখে নেওয়ার হুমকি তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারির।

গত ১২ই জুন; ধবনী গ্রামে বিজেপির বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে বিজেপি কর্মী; কাজল হাজরা এবং মাধব বাগদি গুরুতর আহত হন। তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনীর হামলায় আহত হন আরো দুই বিজেপি কর্মী সুনীল হেমরম এবং বিমল টুডু। ১২জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে লাউদোহা থানার পুলিশ।

অন্যদিকে; দুর্গাপুরের হেতোডোবা শিল্পতালুক এলাকার; জব্বর পল্লীতে তৃণমূলের একটি সিন্ডিকেট অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের পর; তৃণমূল নেতারা শিল্প তালুকের কারখানায় ঠিকা শ্রমিক নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করতেন ওই অফিস থেকেই। সেখানে শ্রমিকদের ন্যায্য বেতনের থেকে কাট মানি খেতেন তৃণমূল নেতারা।

এছাড়া সিন্ডিকেট অফিসে থাকা লোকজনের; বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন এলাকাবাসী। ঘটনায় পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের পাশে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে; তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং স্থানীয় ব্লক সভাপতি সুজিৎ মুখোপাধ্যায় এর নেতৃত্বে লাউদোহা থানার প্রবেশ পথের প্রধান গেট আটকে দেওয়া হয়।

জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন; ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। তার মধ্যে; পুলিশ আমাদের দেওয়া অভিযোগের উপর পদক্ষেপ না নিলে; আগামীতে আরও বড় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে; তৃণমূলের ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান; সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগের উপর ভিত্তি করে পুলিশ; তৃণমূল সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হেনস্তা করছে।

জব্বর পল্লী এলাকায় পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিজেপি সমর্থকরা; যা সিন্ডিকেট অফিস বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে। পুলিশকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে; বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুই বলেন মানুষ এখন জেগে উঠেছে। পুলিশ তাই নিজের কাজ করছে; আমরা সাধুবাদ জানাই পুলিশের এই ভূমিকাকে।

]]>
ধুন্ধুমার কেশপুরে তৃণমূল কর্মীদের হাতে রক্তাক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী https://thenewsbangla.com/central-forces-blood-sheded-in-the-hands-of-tmc-workers-in-keshpur/ Sun, 12 May 2019 05:40:47 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=12781 কেশপুরের তৃণমূল কর্মীদের হাতে রক্তাক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিপিএম আমলে ভীত সন্ত্রস্ত কেশপুর; তৃণমূল আমলে রক্তাত্ব। কোথায় পরিবর্তন? প্রশ্ন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক মহলের।

কেশপুরের দোগাছিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে; রক্তাক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কেশপুরের দোগাছিয়ার একটি বুথে ছাপ্পা ভোট হচ্ছে; এমনই খবর পেয়ে সেই বুথে ছুটে যান; ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। ভারতীর সাথে ছিলেন তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরাও।

আরও পড়ুনঃ সাতসকালে ভোটের বুথে কেঁদে ফেললেন ভারতী, উড়ে গেল পায়ের নখ

বুথে পৌঁছানো মাত্রই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ঘিরে; তৃণমূল কর্মীরা তুমুল ইটবৃষ্টি ও পাথরবৃষ্টি শুরু করে। ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন; ভারতীকে ঘিরে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান। সম্পূর্ণ ভাংচুর করা হয় ভারতীর গাড়ি। একটি মাদ্রাশাতে ছাপ্পা ভোট হচ্ছিল; খবর পেয়ে এলাকায় যান ভারতী; এমনটাই জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফা ভোটের মধ্যেই রহস্যজনক মৃত্যু ২ রাজনৈতিক কর্মীর, বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষ

কেশপুরের দোগাছিয়ায় সকাল থেকেই উত্তপ্ত অবস্থা বেশ কয়েকটি বুথে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ সকাল থেকেই অভিযোগ করেন; তার এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কেশপুরের বিভিন্ন বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুনঃ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ছদ্মবেশে আত্মঘাতী হামলা হতে পারে হিন্দু বা বৌদ্ধ মন্দিরে

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে; ওই তৃণমূল সমর্থকদের বলতে শোনা যায়; অন্য দল করেন বলে ভারতীর এজেন্টকে তারা বুথে বসতে দেবেন না। ভারতীকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল সমর্থকরা। এক সময় ধস্তাধস্তিতে তার পায়ের নখ উপড়ে রক্তাক্ত হয়।

আরও পড়ুনঃ ষষ্ঠ দফায় ১০০ শতাংশ বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ কমিশন

শুধু ভারতী ঘোষ নয়; কেশপুরের দোগাছিয়ার ওই মাদ্রাশার কাছে গেলে সংবাদমাধ্যমের অনেক গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ওরা আমাদের কর্মী নয়; সাধারণ মানুষ ভারতীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে; দাবী তৃণমূলের।

কেশপুরের দোগাছিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের হাতে; আক্রান্ত হন ভারতী ঘোষের নিরাপত্তা কর্মীরা। ইট বৃষ্টি শুরু হয় সাংবাদিকদের গাড়ি লক্ষ্য করেও। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে কেশপুরের দোগাছিয়ায়।

]]>
ব্যারাকপুরে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে মারপিটে মুখ ফাটল বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের https://thenewsbangla.com/arjun-singh-bjp-candidate-cracked-face-by-tmc-workers-at-barrackpore/ Mon, 06 May 2019 04:04:27 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=12447 ব্যারাকপুরে তৃণমূল কর্মীদের; ও পরে পুলিশের সঙ্গে মারপিটে মুখ ফাটল বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের। ব্যারাকপুরের মোহনপুরে চাঁপাডালিয়াতে; তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গেও হাতাহাতি হয় অর্জুনের। অবস্থা সামাল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী

তৃণমূলের কর্মীরা তাঁর উপর আক্রমণ করেছে; বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। অর্জুন সিং গুন্ডাগিরি করছেন; মানুষ জবাব দিয়েছে; পাল্টা জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

ভোট শুরু হতেই উত্তপ্ত ব্যারাকপুর; কাঁকিনাড়া। দলে দলে বহিরাগত ঢোকার অভিযোগ; দুদলই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। বারাকপুর, হালিশহরে বোমাবাজির অভিযোগ। দুপক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফেটে যায় দুজনের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে; বিজেপির একটি ক্যাম্প অফিসে ভাংচুরের অভিযোগ।

দত্তপুকুরের কাসেমপুরে বিজেপির ক্যাম্প অফিস; ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে উদ্ধার গুলির খোল। বিজেপির একটি ভোটের ক্যাম্প অফিসে; তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী হামলা চালায় বলেই অভিযোগ করেছে বিজেপি। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এই নিয়ে উত্তপ্ত গোটা এলাকা।

ভোটগ্রহণ শুরুর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর লোকসভা। এমনকি রবিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ছিল; ব্যারাকপুর ও কাকিনাড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দলে দলে বহিরাগত ঢোকানোর অভিযোগ; তৃণমূল ও বিজেপি দুপক্ষেরই। দুপক্ষের এই সংঘর্ষে; অনেকেরই মাথা ফেটেছে। তবে তৃণমূল ও বিজেপি দুপক্ষই এলাকায় বহিরাগত ঢুকিয়েছে; বলেই অভিযোগ স্থানিয় বাসিন্দাদের।

এদিন ভোট শুরু হতেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসে; ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে। নৈহাটির একাধিক বুথে; সিপিএমের এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ ওঠে। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

দত্তপুকুরে বিজেপির আরও একটি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনে; বিজেপির এজেন্ট হওয়ার অপরাধে বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

গৌরহাটি কমিউনিটি হলে ২৭ নং বুথে; ইভিএম খারাপ থাকায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি। বৈদ্যবাটি ফান্ডা মেন্টাল এডুকেশনের ১২ ও ১৪ নং বুথে একই কারণে ভোট শুরু হয়নি। শ্রীরামপুরের চাঁপসরা প্রাথমিক স্কুলের ২১৬ ও ২১৭ পাশাপাশি দুটি বুথে মেশিন খারাপ। ভোট বন্ধ রয়েছে।

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের স্বরূপনগর বিধানসভার তেঁতুলিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথ নম্বর ২০০ তে; ইভিএম খারাপ থাকায় এখন পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শুরু হয়নি। বাইরে ভোটারদের লম্বা লাইন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় ক্ষুব্ধ ভোটাররা। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের রঘুনাথপুর বালিকা বিদ্যালয়; বুথের একটা পার্টে ইভিএম খারাপ। ওই বুথে ভোটগ্রহণ এখনও শুরু হয়নি।

আজ রাজ্যে ৭ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ব্যারাকপুর, বনগাঁ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি এবং আরামবাগ লোকসভা আসনে ভোট আজ সোমবার। পঞ্চম দফাতেও রাজ্যে কমিশনের বাহিনী দাওয়াই। সব বুথে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

৩ জেলার ৭ আসনে মোতায়েন রয়েছে; মোট ৫২৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে রয়েছে আধা সেনা। তবে এবারের নির্বাচনে বনগাঁ ও ব্যারাকপুরের ওপর বিশেষ নজর রয়েছে কমিশনের।

]]>
নকুলদানার সঙ্গে চলল আতর দাওয়াই, ঘাসফুলে ভোট কিনা গন্ধ শুঁকল তৃণমূল https://thenewsbangla.com/tmc-workers-allegedly-sprays-perfumes-beside-their-symbol-on-evm/ Mon, 29 Apr 2019 08:57:22 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=11934 চতুর্থ দফা ভোটে সম্পূর্ণ অন্য ছবি দেখলো বাংলা। বহরমপুর, আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে অশান্তির খবর। দুই পক্ষের মারামারি থেকে শুরু করে গাড়ি বাড়ি ভাঙচুর সব কিছুই শুরু হয়েছে চতুর্থ দফা ভোটের সকাল থেকেই। কিন্তু বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোট মাজিগ্রামের ভোটারদের সম্পূর্ণ অন্য অভিজ্ঞতা হলো।

আঙুল দেখানো নয়, শুঁকে দেখছেন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, ইভিএম-এ তৃণমূলের প্রতীকের পাশের বোতামে আগে থেকেই লাগিয়ে রাখা হয়েছিল আতর। ভোট দিয়ে বেরোনোর পরেই আঙুলের গন্ধ থেকেই দলের কর্মীরা বুঝে যাচ্ছেন, তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন কি না। তার পর সেই অনুযায়ী দাওয়াই। যদিও শাসক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ বীরভূমের নানুরে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীকে লাঠি হাতে পাল্টা দিলেন গ্রামের মহিলারাই

বীরভূম কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ভোটের আগে থেকেই হুমকি, শাসানি, মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আর ভোটের দিন সেই সব শাসানিতে কাজ হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত হবার জন্যই এই অভিনব কৌশল প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়ার ১৩২ নম্বর বুথে।

স্থানীয় সূত্রে খবর অনুযায়ী, কিছু ভোটকর্মীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তৃণমূল কর্মীরা ইভিএমে দলের প্রতীকের পাশের বোতামে আতর লাগিয়ে রাখে। তৃণমূলে ভোট দিলেই সেই আতরের গন্ধ লেগে যাচ্ছে আঙুলে। এর পর কেউ ভোট দিয়ে বেরোলেই তাঁর আঙুল শুঁকে পরীক্ষা করছে তৃণমূল কর্মীরা। কারও আঙুলে গন্ধ না থাকলেই তাঁকে চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, পোলিং অফিসার-বাবুল কথা কাটাকাটি

বুথের ২০০ মিটারের মতো দূরে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় বসে ছিলেন। ভোটাররা বুথে যাওয়ার আগেই তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুড়ি-নকুলদানা বা ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট। বুথের দিকে আর এগোতে দেওয়া হয়নি। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়ির পথে। ভোটাররাও অশান্তির ভয়ে ফিরতি পথ ধরেছেন।

অভিযোগ আরও রয়েছে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, ভোটকর্মী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও নিজেদের পক্ষে কাজ করাতে তৎপর ছিল তৃণমূল। ভোটের আগের রাতেই তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় শাসক দলের তরফে। বিলি করা হয় সিগারেট, প্যাকেটজাত খাবারও।

]]>
অর্জুন সিংহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ চার কাউন্সিলর সহ কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মীর https://thenewsbangla.com/four-tmc-councilors-thousand-of-tmc-workers-joined-bjp-with-arjun-singh/ Fri, 19 Apr 2019 13:22:22 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=11244 অর্জুন সিংহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন চার কাউন্সিলর সহ কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক। শুক্রবার অর্জুন সিংহের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই চার কাউন্সিলর সহ কয়েক হাজার তৃণমূল সমর্থক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। যার ফলে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী হল, এমনটাই দাবী করছে বিজেপি।

আরও পড়ুনঃ বিজেপি নেত্রী লকেটের বাড়ি ভাংচুর, বিজেপি তৃণমূল তরজা

এদিন অর্জুন সিংহের সাথে সাক্ষাৎ করে বিজেপিতে নাম লেখান ৪ অর্জুন অনুগামী কাউন্সিলর। হালিশহর পৌরসভার উপ-পৌরপ্রধান দেবাশিস দত্ত, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোপাল সাহা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহাদেব বিশ্বাস এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুনীতা বিশ্বাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে নাম লেখান।

আরও পড়ুনঃ দুদফায় ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলায় তৃতীয় দফায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী

এদিকে বিকেলে কাঁচরাপাড়ায় মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা সুদীপ্ত দাস। বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। থানা এবং পুলিশ তৃণমূলের দখলে চলে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল নেতাদের দালালি করছে পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ ভোটের পরেও অশান্ত চোপড়ায় গুলির লড়াই, গুলিবিদ্ধ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র

পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনের সময় তৃণমূলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে বলে এই যুবনেতা জানান। স্থানীয় অধিবাসীরা কোনো বিপদে পড়লে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের পাওয়া যায়না বলে জানান তিনি। এই সব কারণেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এলেন বলেই জানালেন তৃণমূলের হেভিওয়েট যুব নেতা সুদীপ্ত দাস।

আরও পড়ুনঃ নদিয়ায় ইভিএমের দায়িত্বে থাকা নোডাল অফিসার নিখোঁজ, ভোটকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য

এদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই পুলিশ সুদীপ্তকে তাড়া করে এবং তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে কটাক্ষ করেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, যতক্ষণ কেউ তৃণমূলে রয়েছে, ততক্ষণ সে ভালো। তৃণমূল ছেড়ে দিলেই তার বিরুদ্ধে কেস করা হচ্ছে বলে তোপ দাগেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ভোটের দায়িত্বে থাকা অর্ণব রায়ের উধাও হওয়া ফিরিয়ে এনেছে রাজকুমার রায়ের স্মৃতি

অর্জুন সিং আরও বলেন, “তৃণমূলের জনসমর্থন নেই। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলে তারা দিশেহারা হয়ে হতাশাজনক অবস্থা থেকে প্রতিহিংসার পথ বেছে নিচ্ছে”। এর ফলে ব্যারাকপুরে তাঁর জেতার সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলেই জানান সদ্য তৃণমূল ত্যাগি এই নেতা ও ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী।

আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় আবার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

তবে এই কাউন্সিলর ও কর্মীদের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব একদম গুরুত্ব দিতে রাজি নন। জেলার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, “দলের প্রতীক পেয়ে এরা কাউন্সিলর হয়েছিলেন। এদের নিজের কোন ভুমিকাই নেই। বেনো জল যত বেরিয়ে যায় ততই ভাল”।

আরও পড়ুনঃ মমতার সভা আলো করে বসে দাগী সমাজবিরোধী, নির্বাচন কমিশনে গেল বিরোধীরা

আপনার মোবাইলে বা কম্পিউটারে The News বাংলা পড়তে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

]]>