TMC Ministers – The News বাংলা https://thenewsbangla.com Bengali News Portal Fri, 20 May 2022 06:51:37 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.7.2 https://thenewsbangla.com/wp-content/uploads/2018/09/cropped-cdacf4af-1517-4a2e-9115-8796fbc7217f-32x32.jpeg TMC Ministers – The News বাংলা https://thenewsbangla.com 32 32 তৃণমূল মন্ত্রীদের পরে, এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসলেন বাংলার দুই বিজেপি বিধায়ক https://thenewsbangla.com/after-tmc-ministers-two-bjp-mla-from-bengal-got-involved-in-recruitment-scandal/ Fri, 20 May 2022 06:50:45 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=15140 স্কুল সার্ভিস কমিশনে তৃণমূল মন্ত্রীদের পরে; এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসলেন; বাংলার দুই বিজেপি বিধায়ক। কল্যাণী এইমসে চাকরি কেলেঙ্কারিতে; নাম জড়াল বিজেপির। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার কন্যা ও নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূর; চাকরি হয়েছে কল্যাণীর কেন্দ্রীয় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে। চাকরি হয়েছে বিজেপি নেতাদের সুপারিশে; কোনও পরীক্ষা ছাড়াই! এমন অভিযোগ নিয়ে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে নালিশ করেছেন; এক বিজেপি নেতাই। এই নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে; তোলপাড় বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে; ল্যাজেগোবরে রাজ্য সরকার। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা; সিবিআই জেরার মুখে। রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করেছে বিজেপি নেতারা। এবার সেই দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত; বিজেপি নিজেই। বাঁকুড়া ও নদিয়া জেলার দুই বিধায়কের ‘কীর্তিতে’; যথেষ্ট অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। “এই ইস্যুতে এবার বিজেপি সিবিআই চাক; কেন দুই বিধায়ককে ও তাঁদের কন্যা-পুত্রবধূকে; নিজাম প্যালেসে ডেকে জেরা করা হবে না”? প্রশ্ন তুলেছেন, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

আরও পড়ুনঃ বড় বিপদে রাজ্য সরকার, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ৩ মাসের মধ্যে ডিএ দিতে হবে

চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পূত্রবধূ; এইমস-এর নার্সিং কলেজে চাকরি পেয়েছেন আপার-ডিভিশন ক্লার্ক পদে। পাশাপাশি বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা; নার্সিং কলেজে ডেটা-এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি করছেন। প্রভাবশালী বিজেপি নেতৃত্বের সুপারিশেই; পরীক্ষা ছাড়াই দুই বিধায়কের আত্মীয়-দের এইমস-এ চাকরি হয়েছে। অভিযোগ করেছেন, বিজেপির নদিয়া সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে অমিত শাহকে; গত ৬মে চিঠি দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি চিঠিতে লিখেছেন; “চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ তাঁর পূত্রবধূকে ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা নিজের মেয়েকে; কল্যাণীর এইমসে চাকরিতে ঢুকিয়েছেন। এই নেতারা তাঁদের ব্যক্তিগত অ্যাজেন্ডা পূরণ করছেন; পার্টি এবং তাঁদের পদকে ব্যবহার করে। অথচ বিজেপির সাধারণ কর্মী, যাঁরা লড়াই করছেন; তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্নীতিপরায়ণ মনোভাবের জন্য”। এরপরেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসে।

বঙ্কিম ঘোষের দাবি; “এইমস-এর তরফে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল; পূত্রবধূ পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছে”। নীলাদ্রিশেখর দানার দাবি; “মেয়ে সুপারিশ বা প্রভাব খাটিয়ে নয়; আবেদনের মাধ্যমে ঠিকাদার সংস্থার অধীনে কাজ করছে”। কল্যাণী এইমস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রামজি সিংকে; একাধিকবার ফোন করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি।

]]>
সিবিআই তদন্তে জর্জরিত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা, শুভেন্দুকে নবান্নে ডাকল রাজ্য সরকার https://thenewsbangla.com/tmc-leaders-and-ministers-plagued-by-cbi-investigation-state-govt-called-suvendu-in-nabanna/ Thu, 19 May 2022 04:08:47 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=15124 সিবিআই তদন্তে জর্জরিত তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা; এরমধ্যেই শুভেন্দুকে নবান্নে ডাকল রাজ্য সরকার। লোকায়ুক্ত-সহ তিন নিয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে; বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আবার চিঠি দিল নবান্ন। এর আগেও দু-দুবার চিঠি দিয়ে; বিধানসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে। তবে এই প্রথম তাঁকে নবান্নে ডাকা হল।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে; নবান্নে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল। পাল্টা তিনি সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার জন্য; শর্ত দিলেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দু জানালেন, তাঁকে ভুল চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; তাতে ভুল শব্দও ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই শব্দ আগে প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে; তবে তিনি আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ লজ্জায় ডুবল বাংলা, আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী

লোকায়ুক্ত-সহ তিনটি বিভাগের কমিশনার পদে নিয়োগের জন্যই; শুভেন্দুর কাছে রাজ্য প্রশাসনের চিঠি গিয়েছিল। এই ধরনের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে; রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকাই নিয়ম। তাঁকে ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়া; একেবারের সম্ভব নয়। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি, “তারপরও তাঁর আমন্ত্রণের চিঠিতে রাজ্য সরকার লিখেছে; রাজ্যপালের সুপারিশে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিরোধী দলনেতাকে”।

তাই শুভেন্দুর অন্যতম শর্ত, তাঁকে আমন্ত্রণ করার আগে ‘ভুল’; আগে শুধরোতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর তা শুধরে ফেলতে হবে; আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যেই। শুভেন্দু জানিয়েছেন, যদি রাজ্য সরকার এই ত্রুটি শুধরে নেয়; তবে তিনি নবান্নের আমন্ত্রণ রক্ষা করার কথা ভেবে দেখতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, দুর্নীতির জালে জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন

এর আগেও লোকায়ুক্ত-সহ তিনটি বিভাগের কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য; বাধ্য হয়ে শুভেন্দুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই আমন্ত্রণ ছিল বিধানসভায়; এই সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। লোকায়ুক্ত ছাড়াও মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বৈঠকে; যোগ দিতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেবার পরে; এই প্রথম শুভেন্দুকে নবান্নে ডেকে পাঠানো হল। আগামী ২৩মে বিকেল ৪টে এবং সাড়ে ৪টের দুটি বৈঠকে; তাঁকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। আর এই নিয়েই শোরগোল; বাংলার রাজনীতিতে।

]]>
ফল বুঝতে পেরেই কি তৃণমূল মন্ত্রীদের ভয় পাচ্ছেন না পুলিশ কর্তারা https://thenewsbangla.com/exit-poll-effect-bengal-police-officers-are-not-afraid-of-tmc-ministers/ Wed, 22 May 2019 17:15:05 +0000 https://www.thenewsbangla.com/?p=13108 ইলেকশন কিতনে দিন রহেগা? ইসকে বাদ কেয়া হোগা? না, এই হুমকির পরেও পুলিশ সুপারকে বাগে আনতে পারলেন না রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সচরাচর এই জিনিস বাংলায় দেখেননি সাধারণ মানুষ। বুধবার সেই দৃশ্যই দেখল বাংলা।

গণনা কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে; জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গণনাকেন্দ্রের কিছু দূরে একটি বাড়ির সামনে; ত্রিপল এবং কাপড় দিয়ে তৈরি একটি অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে তৃণমূল।

পুলিশ সুপার অমিত কুমার সিংহ সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশ দেন যে; ওই কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। এরপরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রবীন্দ্রনাথবাবু। বেশ কয়েক মিনিট ধরে; তিনি পুলিশ সুপারকে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে; তিনি বেআইনি কিছু করেননি।

কিন্তু পুলিশ সুপার তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থেকে জানিয়ে দেন যে; ওই জায়গায় কোনও রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প অফিস করতে দেবেন না। এরপর মেজাজ হারিয়ে মন্ত্রী রীতিমতো হুমকি দেন পুলিশ সুপারকে। যে ভোট মিটে যাওয়ার পর কী হবে? মন্ত্রীর হুমকি শুনেও; অবশ্য সিদ্ধান্ত বদল করেননি পুলিশ সুপার অমিত কুমার সিংহ।

উল্টে পুলিশ সুপার পাল্টা মন্ত্রীকে জানিয়ে দেন যে; তিনি গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। মন্ত্রী দাবি করেন; ওই জমিটি গণনাকেন্দ্রের মূল দরজা থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে পড়ে না। পুলিশ সুপার কোনও ভাবেই মন্ত্রীর যুক্তি মেনে; ক্যাম্প অফিস করার অনুমতি দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।

পাল্টা মন্ত্রী বলেন; “এখানে ক্যাম্প করতে আপনার অনুমতির প্রয়োজন নেই”। মেজাজ হারিয়ে পুলিশ সুপারের উদ্দেশে মন্ত্রী হিন্দিতে বলেন; “ইলেকশন কিতনে দিন রহেগা? ইসকে বাদ কেয়া হোগা?” পুলিশ সুপারের অনড় অবস্থান দেখে তারপরই রণে ভঙ্গ দেন মন্ত্রী

অমিত কুমার সিংহ আগে কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবেও কাজ করে গিয়েছেন। কোচবিহারে নির্বাচনের দুদিন আগে পুলিশ সুপারের পদে থাকা অভিষেক গুপ্তকে কমিশন অপসারণ করে দায়িত্ব দেয় অমিত কুমার সিংহকে।

ঘটনার পর মন্ত্রী অভিযোগ করেন; বর্তমান পুলিশ সুপার পক্ষপাতিত্ব করছেন। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠে গেছে; তাহলে কি বিজেপির উঠে আসা নিশ্চিত জেনেই কি মন্ত্রীদের নির্দেশ অমান্য করার সাহস অর্জন করেছে পুলিশ।

]]>