শুভেন্দু গ্রেফতারের দাবীতে শুধু আন্দোলনই নয়; তাকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে ঘাসফুল শিবির। এই ইস্যুতে মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। শুক্রবার বিধাননগর কোর্টে হাজিরা দিয়ে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন সাংবাদিকদের কাছে বলেন; তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এমন কী তাকে ব্ল্যাকমেলও করা হত; বলে জানান সারদা কর্ণধার। এর আগেও, জেল থেকে লেখা চিঠিতেও; শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সুদীপ্ত সেন। শুক্রবার সারদা কর্তার এহেন মন্তব্যের পরই; শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবীতে ময়দানে নেমে পরেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুনঃ “প্রধানমন্ত্রী নয়, বাংলা আবাস যোজনাই থাকবে”, শুভেন্দুকে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ মমতার
সুদীপ্ত সেনের এই অভিযোগের পরেই, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচী; নেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। শুধু রাজভবনেই নয়, শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবীতে; কাঁথি হলদিয়ায় প্রতিবাদ মিছিল করে শাসক দল। সাংবাদিকের মুখমুখি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান; “শুভেন্দু অধিকারী পুরোপুরি সারদাকাণ্ডে জড়িত; তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেফতার করতে হবে”।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির টাকা পাচ্ছেন, ৩৩০০০ ‘মৃত’ কৃষক ও ৫১০০০ ‘ভুয়ো’ কৃষক
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর ওপর; চাপ বাড়াতে পথে নেমেছে তৃণমূল। সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে থেকে জেলায় জেলায়, এমনকি শুভেন্দুর খাসতালুক বলে পরিচিত কাঁথিতেও; বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করছে তারা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে গো ব্যাক স্লোগান দেয়; তৃণমূল কর্মীরা।
যদিও এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবী; ‘সবটাই তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। তৃণমূল যাই করুক না কেন; তাঁর বিরুদ্ধে কোন কিছুই প্রমান করতে পারবে না’। তবে এই ইস্যুতে সরগরম; রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
]]>একেই কি প্রবাদে বলে; ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’? পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী এবং অনুব্রত মণ্ডল; প্রত্যেককেই ভিন্ন ইস্যুতে আলাদা আলাদা জেরা করেছে সিবিআই। এবার এই তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার সম্পত্তির পরিমান; খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। তদন্তের মধ্যেই এই তিন নেতার সম্পত্তি কত? জানতে চেয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি দিল সিবিআই।
এই তিন নেতা-মন্ত্রীর প্যান কার্ডের নম্বরে কোথায়, কত সম্পত্তি রয়েছে; তার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। আয়কর দফতরের নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে; পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী ও অনুব্রত মণ্ডলের দেওয়া নথি। শুধু এদের নয়, চাওয়া হয়েছে ওই তিন নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়দের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিও। সূত্রের খবর, গত কয়েকবছরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী ও অনুব্রত মণ্ডল; যে আয়কর জমা দিয়েছেন, সেই সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ঠিকাদার থেকে ‘শাহজাহান‘, দুই বউয়ের জন্য ‘জোড়া তাজমহল’ তৃণমূলের ’শেখ‘ নেতার
এসএসসি দুর্নীতি মামলায়, হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এখন; সিবিআই তদন্তর কেন্দ্রে। গরু-পাচার মামলা এবং ভোট পরবর্তী হিং’সা মামলায়; অনুব্রত মণ্ডলকে একবার সিবিআই জেরা করেছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়–পরেশ অধিকারীও; জেরার মুখে পড়েছেন। এই দুর্নীতি এবং কর্মকাণ্ডে এনারা কেউ আর্থিক লাভবান হযেছেন কিনা; তা খতিয়ে দেখতেই সিবিআই চিঠি পাঠিয়েছে আয়কর দফতরকে। আয়কর দফতর এদের; সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে।
মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে; প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। নাকতলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর; কুকুর-দের ফ্ল্য়াট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার সেইসব খতিয়ে দেখে; সিবিআই-কে রিপোর্ট দেবে আয়কর বিভাগ। সঙ্গে পরেশ অধিকারী ও অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হিসাবও দেবে তারা।
]]>রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে; নবান্নে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল। পাল্টা তিনি সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার জন্য; শর্ত দিলেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দু জানালেন, তাঁকে ভুল চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল; তাতে ভুল শব্দও ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই শব্দ আগে প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে; তবে তিনি আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার কথা ভেবে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ লজ্জায় ডুবল বাংলা, আদালতের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী
লোকায়ুক্ত-সহ তিনটি বিভাগের কমিশনার পদে নিয়োগের জন্যই; শুভেন্দুর কাছে রাজ্য প্রশাসনের চিঠি গিয়েছিল। এই ধরনের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে; রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকাই নিয়ম। তাঁকে ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়া; একেবারের সম্ভব নয়। কিন্তু শুভেন্দুর দাবি, “তারপরও তাঁর আমন্ত্রণের চিঠিতে রাজ্য সরকার লিখেছে; রাজ্যপালের সুপারিশে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বিরোধী দলনেতাকে”।
তাই শুভেন্দুর অন্যতম শর্ত, তাঁকে আমন্ত্রণ করার আগে ‘ভুল’; আগে শুধরোতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর তা শুধরে ফেলতে হবে; আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যেই। শুভেন্দু জানিয়েছেন, যদি রাজ্য সরকার এই ত্রুটি শুধরে নেয়; তবে তিনি নবান্নের আমন্ত্রণ রক্ষা করার কথা ভেবে দেখতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, দুর্নীতির জালে জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন
এর আগেও লোকায়ুক্ত-সহ তিনটি বিভাগের কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য; বাধ্য হয়ে শুভেন্দুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই আমন্ত্রণ ছিল বিধানসভায়; এই সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। লোকায়ুক্ত ছাড়াও মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের বৈঠকে; যোগ দিতে ডাকা হয়েছিল তাঁকে।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেবার পরে; এই প্রথম শুভেন্দুকে নবান্নে ডেকে পাঠানো হল। আগামী ২৩মে বিকেল ৪টে এবং সাড়ে ৪টের দুটি বৈঠকে; তাঁকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা। আর এই নিয়েই শোরগোল; বাংলার রাজনীতিতে।
]]>মঙ্গলবার রাতে মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান; হেকমত আলিকে গ্রেফতার করে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। বীরভূমের কীর্ণাহারের বাসিন্দা মহম্মদ বদরুদ্দোজা নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে; গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা হেকমত আলিকে।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর মেয়ে, দুর্নীতির জালে জর্জরিত রাজ্য প্রশাসন
বীরভূম পুলিশ সূত্রে খবর, উপপ্রধান হেকমত আলি নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে; ২০১৯ সালে জুলাই মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বীরভূমের কীর্ণাহার এলাকায় নিজের জামাই-সহ ১১ জনের কাছ থেকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করে দেবেন বলে; প্রায় এক কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছিলেন বলেই অভিযোগ। পাঁচ চাকরি প্রার্থীকে, হেকমত আলি; ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিল বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, মেধা তালিকায় নাম না থাকলেও মন্ত্রীর মেয়ের চাকরি
“পারিবারিক বিবাদের ঘটনার জের হিসেবে; প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে বাবার বিরুদ্ধে”; এমনটাই দাবি করেছেন অভিযুক্তের মেয়ে। চাকরি দেওয়ার নামে ৮৩ লক্ষ টাকা টাকা আত্মসাতের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা; বলে দাবি করছেন হেকমত আলির মেয়ে জিন্নাতুন নিশা।
মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এনিয়ে জানাণ; “অভিযোগকারী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে; তাকে পুলিশে অভিযোগ করতে বলেছিলাম; পুলিস তদন্ত শুরু করছে। অভিযুক্ত নেতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে”। বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি গোপাল চ্যাটার্জী বলেছেন; “তদন্ত করলে আরও অনেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম উঠে আসবে; যারা চাকরি দেবার নামে টাকা নিয়েছেন”।
]]>মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর থেকে কড়া প্রশাসন৷ কাটমানি নেওয়ার অপরাধে; এবার অপসারিত রাজপুর-সোনারপুর উপ-পুরপ্রধান শান্তা সরকার৷ শনিবার অপসারণ করা হয় উপ-পুরপ্রধান শান্তা সরকারকে। কাটমানি নিয়ে একের পর এক তৃণমূল নেতার দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজপুর সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শান্তা সরকারের বিরুদ্ধে; দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। অভিযোগ, এলাকায় কোনও কাজ করাতে গেলে; টাকা চাইত শান্তার লোকজন। এছাড়াও এলাকায় পুকুর ভরাট, সিন্ডিকেট চালানোরও; অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই; দলের মধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছিল। শান্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান; দলের একাধিক নেতাকর্মী।
পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তা। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য; “শান্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছিল। এত দিন কিছু করা হচ্ছিল না। কিন্তু সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সংকেত দিতেই ব্যবস্থা নিল দল”। কী অভিযোগ শান্তার বিরুদ্ধে? স্থানীয় লোকজন এবং তৃণমূলের একটা বড় অংশের বক্তব্য; সমস্ত সরকারি প্রকল্প থেকেই কাটমানি নিতেন ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা সরকার।
অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে রাজপুর-সোনারপুর পুরপ্রধান; পল্লব দাসের সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর পুরসভায় যাওয়া বন্ধ করেন পুরপ্রধান। অভিযোগ জানান হয়; মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও। এরপরই শান্তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপপ্রধানের পদ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। যদিও এব্যাপারে তিনি কিছুই জনেন না বলে দাবি শান্তার।
দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাননি শান্তা সরকার৷ তাঁর বক্তব্য, এইরকম কোনও সার্কুলার এখনও তিনি পাননি। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান না তিনি৷ তবে পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে; সার্কুলার পৌর কর্মীর মাধ্যমে শান্তা সরকাকের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাটমানি সংক্রান্ত বিষয়ে শান্তা সরকার বলেছেন; যা করেছেন দলের নির্দেশেই করেছেন”।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে যে কাটমানি অভিযোগ সেল চালু হয়েছে; সেখানে জমা পড়েছে ভূরি ভূরি অভিযোগ। দফতরের অফিসাররা বলছেন; এযেন ঠগ বাছতে গাঁ উজার হবার যোগার।
]]>এরপরেই ১ কোটি টাকা কাটমানি খাওয়ার অভিযোগে; বুধবার মালদার রতুয়ায় গ্রেফতার করা হয় সুকেশ যাদব নামে এক তৃণমূল নেতাকে। গ্রেফতার করা হয় মিলন মণ্ডলের মতো; হলদিয়ার দাপুটে নেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, হলদিয়া শিল্পাঞ্চল সহ মহিষাদল এলাকায়; বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে মিলন মণ্ডল।
আরও পড়ুনঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে অশান্ত ভাটপাড়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় দল
হুগলির রিষড়া পঞ্চাননতলা থেকে; কয়েক লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল নেতা কালাচাঁদ পালকে। রিষড়া বাসিন্দা কালাচাঁদকে বুধবার রাতে; গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। অভিযোগ, উত্তরপাড়ার বাসিন্দা প্রণব দের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নেন কালাচাঁদ।
টাকা ফেরত চাইলে প্রণব দেকে হুমকি দেন কালাচাঁদ। তারপর প্রণব দেকে মারধরও করা হয়। প্রণববাবুর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়; কালাচাঁদ পালকে। জানা গেছে, প্রতরণার অভিযোগে এর আগেও জেল খেটেছেন কালচাঁদ।
আরও পড়ুনঃ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিনা হেলমেটের বাইক ধরার অভিযান পুলিশের
ভোটে হারের কারণ খুঁজতে ও রাজ্য জুড়ে দলের নেতাদের সচেতন করতে; গত সোমবার নজরুল মঞ্চে সভা ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিজের দলের নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধেই; মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। নেতাদের কাটমানি খাওয়ার জন্যই দলের এই হাল; পরিষ্কার জানিয়ে দেন মমতা।
পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। দুর্নীতিবাজ কাউকেই ছাড়া হবে না; পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। মমতার এই ঘোষণার পরে; মঙ্গলবার থেকেই কাটমানি ফেরত নিতে; বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে হাজির সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুনঃ মুসলিম তোষণ না করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে খোলা চিঠি মুসলিম বুদ্ধিজীবীদের
অভিযোগ অস্বীকার করেও; মানুষের সঙ্গত ক্ষোভ চাপা দিতে পারেননি তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরই; জেলায় জেলায় তত্পরতা শুরু হয়ে যায়। জেলায় জেলায়; গ্রেফতার হতে থাকে তৃণমূল নেতারা।
]]>ভোটে হারের কারণ খুঁজতে ও রাজ্য জুড়ে দলের নেতাদের সচেতন করতে; গত সোমবার নজরুল মঞ্চে সভা ডাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিজের দলের নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধেই; মুখ খোলেন তৃণমূল নেত্রী। নেতাদের কাটমানি খাওয়ার জন্যই দলের এই হাল; পরিষ্কার জানিয়ে দেন মমতা।
পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। দুর্নীতিবাজ কাউকেই ছাড়া হবে না; পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি। মমতার এই ঘোষণার পরে; মঙ্গলবার থেকেই কাটমানি ফেরত নিতে; বিভিন্ন জেলায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে হাজির সাধারণ মানুষ। অভিযোগ অস্বীকার করেও; মানুষের সঙ্গত ক্ষোভ চাপা দিতে পারেননি তৃণমূল নেতারা।
রাজ্যের মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে; মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পকেই টাকা খাওয়ার রাস্তা হিসাবে বেছে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। আবাস যোজনা থেকে শুরু করে; কন্যাশ্রী ও রুপশ্রী প্রকল্পেও যে যেমন পেরেছেন; কাটমানি খেয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
বিভিন্ন জেলার অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে; কমবেশি মমতার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে; টাকা কামিয়েছেন তাঁর দলেরই নেতারা। যে প্রকল্পে টাকার পরিমাণ যত বেশি; সেই প্রকল্পে তোলাবাজি তত বেশি। জঙ্গলমহলের চার জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুরে; মানুষের কাছে তোলাবাজি সবচেয়ে বেশি করেছেন তৃণমূল নেতারা।
জঙ্গলমহলের চার জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি; মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকাও বেমালুম মেরে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা; এমনটাই অভিযোগ সাধারণ মানুষের। সেই কারণেই মানুষের ভোট গেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে; তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আমজনতা।
বিজেপি সংগঠন দিয়ে মানুষের ভোট যত না পেয়েছে; তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষ বিজেপিকে বেছে নেওয়ায়; গেরুয়া শিবিরের জয় জয়কার হয়েছে। ঠিক যেমন ২০১১ বিধানসভা ভোটে; তৃণমূলের কৃতিত্বের চেয়েও; মানুষ বামেদের বিকল্প হিসাবে মমতার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিল।
জঙ্গলমহলের মত উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলাতেই; মুখ্যমন্ত্রী মমতারই বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁর দলের নেতাদেরই কাটমানি খাওয়াই; তৃণমূলের ভোটে খারাপ ফলের অন্যতম কারণ।
]]>নারদকাণ্ডে ১৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে; মাত্র ২ জন ভয়েস স্যাম্পল জমা দিয়েছেন। বাকি ১২ অভিযুক্তের মধ্যে ১১ জনের ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার জন্য; এবার তাঁদের ডাকতে চলেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই এফআইআরএ নাম থাকা ১২ জনের মধ্যে ১১ অভিযুক্তকে নোটিশ পাঠানো হবে।
আরও পড়ুনঃ সব্যসাচীর হাত ধরে বিধাননগর পুরসভাও কি বিজেপির হতে চলেছে
ইতিমধ্যেই তদন্ত চলাকালিন মারা গেছেন; আর এক অভিযুক্ত সুলতান আহমেদ। নিজাম প্যালেসে এই অভিযুক্তদের তলব করে; তাদের ভয়েস স্যাম্পল সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাদের জেরাও করা হবে, বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ ও নেতাদের ঘুম উড়েছে, সারদার পর নারদ কাণ্ডেও উঠেপড়ে লাগল সিবিআই
নারদ স্টিং অপেরাশনের ভিডিও ফুটেজে; এই অভিযুক্তদের কণ্ঠস্বর শোনা গিয়েছে। সেটা তাঁদের কিনা; তা জানার জন্যই এই স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে। ১৪ জন অভিযুক্তের মধ্যে; ফিরহাদ হাকিম ও মুকুল রায় অনেক আগেই ভয়েস স্যাম্পল দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মন্দিরের মূর্তিকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ ছবি পোস্ট করে পুলিশের জালে মুজিবর
অনেক নেতাই দাবি করেছিলেন; এই ভিডিও ফুটেজ নকল। এমনকী কণ্ঠস্বর তাঁদের নয় বলেও; দাবি করা হয়েছিল। তাই এই এবার সব অভিযুক্তের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে; তা পরীক্ষা করতে চাইছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় সেনার হাতে আসছে আমেরিকার আধুনিক সামরিক ড্রোন
ডাকা হবে মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায়, অপরূপা পোদ্দার, শুভেন্দু অধিকারী, শোভন চট্টোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন ব্যানার্জীর মত নেতাদের। ডাকা হবে পুলিশ কর্তা সৈয়দ মির্জাকে। ইতিমধ্যেই সৈয়দ মির্জাকে ডেকে জেরা করছে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ কঠোর সাজা পেল কাঠুয়া ধর্ষণ মামলার অভিযুক্তরা
বলা যায়, লোকসভা ভোটের পর ফের সমস্যায় পরতে চলেছে; তৃণমূলের তাবড় নেতারা। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহল মনে করছে; এবার নারদা মামলায় জাল গোটাতে চলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। সারদা ও নারদ মামলায় এবার জোর কদমে তদন্তে; গতি আনতে চাইছে সিবিআই।
]]>আসলে তৃণমূলের পাতা ফাঁদেই পা দিলেন লকেট। তৃণমূলের রণকৌশল বুঝতেই পারলেন না। আর সেই রণকৌশলের অঙ্গ হিসাবে; তৃণমূল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তাদের সব থেকে শক্ত ঘাঁটি ধনেখালী বিধানসভাতেই; সারাদিন লকেটকে ব্যতিব্যস্ত রেখে দিল। একদিকে বাকি ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নিজেদের মত করে ভোট করে গেল। অন্যদিকে নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে; লকেটকে দৌড়োদৌড়ি করিয়েও অনেকটা নিশ্চিন্তে থেকে গেল তারা।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা নয়, হওয়া উচিৎ নিষ্ঠুর ব্যানার্জী সরাসরি বললেন বাবুল সুপ্রিয়
লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। সোমবার সারাদিন তিনি দৌড়ে বেড়ালেন তাঁর কেন্দ্রের বুথ থেকে বুথে। ভোটের দিন কি করেননি তিনি! ভুয়ো ভোটার ধরার দাবি করেছেন; চড়িয়ে সিধে করে দেওয়ার কথা বলেছেন। বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্ট না থাকার জন্য; প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমকেছেন। যেন বিজেপির পোলিং এজেন্ট বসানোর দায়িত্ব প্রিসাইডিং অফিসারের!
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে চমকেছেন; নির্দল প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে বার করে দিয়েছেন। যেন নির্দল প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বসানোর অধিকারই নেই। বুথে ইভিএম ভাঙাকে সমর্থন করেছেন; থানায় ধর্ণা দিয়েছেন। আবার জেলাশাসকের দপ্তরের সামনেও ধর্ণায় বসেছেন। সব মিলিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড।
আরও পড়ুনঃ মোদীর সভা থেকে সোজা অনুমতিহীন বেশ্যাপল্লীতে ঢুকে গ্রেফতার বিজেপি কর্মীরা
কিন্তু লকেট এই এত সব কান্ড ঘটিয়েছেন; তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটিতে। ধনেখালী। পুরো দিনটার সিংহভাগ সময়; কাটিয়ে ফেললেন তৃণমূলের এই শক্ত ঘাঁটিতে। কতটা দাঁত ফোটাতে পারলেন; তা বোঝা যাবে আগামী ২৩শে মে।
তবে দিনের শেষে; পুরো ধনেখালী বিধানসভা এলাকায় পুনর্নিবাচনের দাবি তুলে; জেলাশাসক দপ্তরের সামনে ধর্ণায় বসা দেখে; মনে হচ্ছে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী নন। আসলে লকেট বোধহয় একটা ঘুর্ণির মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন; যার থেকে সারাদিন আর বেরোতে পারেননি। আর এই ঘুর্ণির নাম তৃণমূলের রণকৌশল।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় তৃণমূল এবার ১০টা আসনও পাবে না, ঝাড়গ্রামে বললেন নরেন্দ্র মোদী
আর এই রণকৌশল তৈরি করার ক্ষেত্রে ধনেখালীর বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী; অসীমা পাত্রর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর একবার বোঝা গেল। হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলে; ধনেখালী বিধানসভার লিড সব সময়েই বড় ভূমিকা নিয়েছে। এবারে সেই লিড ধরে রাখার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী; অসীমা পাত্র নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে লকেটকে আটকে দিলেন।
আর এর জেরে; হুগলী লোকসভা কেন্দ্রের বাকি ৬ টি বিধানসভা এলাকায়; বিজেপির আক্রমণাত্মক রণকৌশলকে অনেকটাই ভোঁতা করে দিতে সফল হয়েছেন। সোমবার হুগলীর সব থেকে আলোচ্য ও বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন লকেট। ২৩শে মে তিনি কতটা আলোচনার বৃত্তে থাকতে পারেন সেটাই এখন দেখার।
]]>নারদ কাণ্ডের তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি। ১ মাসের মধ্যেই জাল গুটিয়ে ফেলতে পারবেন তদন্তকারী অফিসাররা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে নারদ কাণ্ডের তদন্ত। এক মাসের মধ্যেই এই মামলায় চার্জশিট দেবে সিবিআই। এমনটাই হাইকোর্টকে জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তদের মধ্যে তৃণমূল নেতা নেত্রী, আই পি এস অফিসার, মন্ত্রী, সাংসদরা আছেন।
কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। জানান হয়েছে, তদন্ত প্রায় শেষ। তবে ম্যাথিউ সামুয়েলের অ্যাপল আই ফোনের রিপোর্ট না এলেও চার্জশিট দেবে সিবিআই, এমনটাই বলা হয়েছে। এদের মধ্যে এবারের ভোটে দাঁড়িয়েছেনও অনেকে। দারুণ সমস্যায় পড়বেন সেই সব প্রার্থীরা।
এর আগে এই মামলায়, ফরেনসিক থেকে ম্যাথিউ সামুয়েলের অ্যাপল আই ফোনের রিপোর্ট না আসায় মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছিল না। এবার এক মাসের মধ্যেই এই মামলায় চার্জশিট দেওয়া হবে বলেই আদালতে জানিয়ে দিল সিবিআই। চার্জ শিট পেশ করার জন্য লোকসভা ও বিধানসভার অনুমতি চাওয়া হবে বলেই জানা গেছে।
ভোটের মুখে ফায়দা তুলতেই ফের সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। আইন আইনের পথেই চলবে, পরিস্কার জানিয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। যদিও, ভোটের মধ্যেই নারদা মামলায় চার্জশিট দিচ্ছে সিবিআই, এটাই খুশি হাওয়া নিয়ে এসছে পদ্ম শিবিরে। ভোটের প্রচারে ফের একবার নারদা মামলা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিপদে ফেলা যাবে মনে করছে গেরুয়া শিবির।
]]>